ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি 'স্বাভাবিক', বলছেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা

রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি প্রধান আলেক্সি লিখাচেভ শুক্রবার বলেছেন যে, ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ এবং ‘নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’। এখানে  শত শত রাশিয়ান বিশেষজ্ঞ কাজ করেন। বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছিল যে, তারা রাশিয়ার নির্মিত বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে  হামলা চালিয়েছে, কিন্তু পরে তারা ভুল সংশোধন করে নেয়। রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের প্রধান লিখাচেভ বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, বুশেহর বিদ্যুৎকেন্দ্রে যেকোনো আক্রমণ চেরনোবিল-ধাঁচের পারমাণবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বুশেহর ইরানের একমাত্র কার্যকর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এটি রাশিয়ান জ্বালানি ব্যবহার করে। শুক্রবার বুশেহরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে লিখাচেভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনও  পর্যন্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, সবকিছু স্বাভাবিক। গতকালের রাতটি স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগজনক ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রি -মোবিলাইজেশন মোডে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি যে গতকাল থেকে আমাদের সমস্ত সংকেত ইসরাইলি নেতৃত্বের কাছে পৌঁছেছে।’ প্রাক-মোবিলাইজেশন মন্তব্যটি জরুরি পরিস্থিতিতে কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে লিখাচেভ বলেছেন বলে অনুমান করা  হচ্ছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সপ্তাহে বলেছেন যে রাশিয়ার বুশেহরে ৬০০ জন কর্মী রয়েছে, যার মধ্যে ২৫০ জন স্থায়ী কর্মী এবং অন্যান্যরা অস্থায়ীভাবে কর্মরত। তিনি বলেন, তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে ইসরাইল রাশিয়াকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। লিখাচেভ জানিয়েছেন যে,  কিছু কর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কিন্তু মূল কর্মীরা আপাতত রয়ে গেছেন। ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে থাকা রাশিয়া, এক সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া বিমান যুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে দৃঢ়ভাবে সতর্ক করেছে। ইসরাইল জানিয়েছে, তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার জন্যই তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরান, এই ধরনের কোনও উদ্দেশ্যর কথা  অস্বীকার করে এসেছে। ইসরাইলি শহরগুলোতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে তারা পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স