শেষের পাতা
রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ
স্টাফ রিপোর্টার
২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার
রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফসহ কয়েকটি স্থানে স্থাপিত হয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির, যেখানে ১৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। তারা নিজ দেশের আবাস ছেড়ে দীর্ঘ আট বছর ধরে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে। এই সমস্যাকে এখন সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের সাধ্যমতো প্রচেষ্টা নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি মানবতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে, এখন তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গতিশীল কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মানবিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর। রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা, তাদের নিয়ে বাংলাদেশ কী কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে, মিয়ানমার কীভাবে তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে, প্রত্যাবাসনের নামে মিয়ানমার কীভাবে বারবার কথার বরখেলাপ করছে ইত্যাদি বিষয়াদি বর্তমান সরকারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের যথাযোগ্য মর্যাদায় নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে আমি বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সকল শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনসহ তাদের প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব শরণার্থী দিবস, প্রতি বছর ২০শে জুন জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস। এটি বিশ্ব জুড়ে শরণার্থীদের উদ্যাপন, সম্মান এবং অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পালন করা হয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও আজ এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে। পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এই দিবস পালনের লক্ষ্য হলো- সেইসব শরণার্থীদের শক্তিকে স্বীকৃতি দেয়া, যারা দেশের সংঘাত ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আশ্রয় খুঁজে পেতে এবং উন্নত জীবন-যাপনের আশায় অন্য দেশে গিয়ে থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদেরও সেই করুণ অভিজ্ঞতা আজও আমাদের স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি।