শেষের পাতা
মিরপুরে ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে গ্রেপ্তার ৬
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
রাজধানীর মিরপুরে প্রকাশ্য মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অস্ত্রসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জাফর, মোস্তাফিজুর রহমান, সৈকত হোসেন ওরফে দিপু মৃধা, সোহাগ হাসান, জলিল মোল্লা ও পলাশ আহমেদ। পেশাদার এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে আসছিল। সর্বশেষ মিরপুরের ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সূত্র ধরে সংঘবদ্ধ এই ডাকাতদলের সন্ধান মেলে। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে তারা এর আগে গত ২৪শে জানুয়ারি রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ৫০ ভরি স্বর্ণ ও ধানমণ্ডি সাত মসজিদ রোডে গুলি চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাতেও জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গতকাল ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৭শে মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের মালিক রাসেল ও তার ভগ্নিপতি জাহিদুল হক চৌধুরী মিরপুর-১১, সি ব্লকের বাসা থেকে ২১ লাখ টাকা ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নিয়ে হেঁটে মিরপুর-১০ নম্বরের অফিসে যাচ্ছিলেন। শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ও ফায়ার সার্ভিসের মাঝামাঝি গলির মুখে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে ওত পেতে থাকা ৭ থেকে ৮ জন মুখোশধারী ডাকাত তাদের গতিরোধ করে। ডাকাতদের একজন পিস্তল ঠেকিয়ে টাকাভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে আরেকজন গুলি ছোড়ে এবং একজন ধারালো চাপাতি দিয়ে জাহিদুলের কোমরে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ডাকাতরা চারটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। ঘটনার ভিডিও একজন পথচারী মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় আহত জাহিদুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিবি পুলিশ প্রথমে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি হায়েস মাইক্রোবাস শনাক্ত করে। মাইক্রোবাসের নম্বরের সূত্র ধরে প্রথমে মালিককে খুঁজে বের করা হয়। পরে তিনি জানান, মাইক্রোবাসটি তার এবং এটি ভাড়া করেছিল চালক জাফর। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জাফর ডাকাতির ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত একজনের ছবি দেখানো হলে সে তার পরিচয় জানায়। সেই সূত্র ধরেই পরবর্তী সময়ে তথ্য বিশ্লেষণ করে একযোগে ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের মূল পরিকল্পনাকারী জলিল মোল্লাসহ চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।