বাংলারজমিন
ঝিনাইদহে গ্রাম আদালতে ১৬ মাসে দুই হাজার ৪০ মামলা, নিস্পত্তির হার ৬৩ শতাংশ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবারদ্রুত নিস্পত্তি হওয়ায় ঝিনাইদহের ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম আদালতে মামলার সংখ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১৬ মাসে ঝিনাইদহে দুই হাজার ৪০টি মামলা হয় গ্রাম আদালতে। এরমধ্যে মামলা নিস্পত্তির হার ৬৩.৫৭%। ৫৭৭ জন নারী গ্রাম আদালতে সুফল পেয়েছেন। এছাড়া ন্যায় বিচারের মাধ্যমে ভিকটিমকে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা আদায় করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অতি সহজে বিরোধ ও বিবাদ নিষ্পত্তির করতে ঝিনাইদহে সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
বুধবার সকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প। এতে সভাপতিত্ব করেন স'ানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল এবং অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.বি.এম. খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, স'ানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, টেলিভিশন মিডিয়ার রাজিব হাসান, গ্রাম আদালতের জেলা ব্যবস'াপক রহিদুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও সংবাদ কর্মীরা অংশ গ্রহন করেন।
কর্মশালায় বিচার ব্যবস'ায় বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও গতিশীল করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
কর্মশালায় স'ানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায় জানান, ১৬ মাসে জেলায় দুই হাজার ৪০টি মামলা গ্রাম আদালতে দায়ের করা হয়। নিস্পত্তিকৃত মামলার পরিমান ৬৩.৫৭%। এছাড়া মামলা বাস্তবায়নের হার ৯২.৯২%।
তিনি আরো জানান, উচ্চ আদালত থেকে গ্রাম আদালতে প্রেরিত মামলার সংখ্যা ১৬২। গ্রাম আদালতে বিচার পক্রিয়ায় ২৫% নারী অংশ গ্রহন করেন বলেও কর্মশালায় বলা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, গ্রাম আদালত একটি সরকারী সেবা। এই বিচার ব্যবস'া স'ায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ ভুমিকা রাখবে। সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির মাঝে ন্যায় বিচার পৌছে দিতে সরকার এই গ্রাম আদালত স'াপন করেছে। খরচ ছাড়াই মানুষ এই আদালতে বিচার পাচ্ছেন। তবে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের প্রতি আস'া না থাকলে ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্যরা (মেম্বর) এই আদালতের প্রধান হতে পারবেন।