বাংলারজমিন
ফুলবাড়ীয়ায় প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
১২ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবারময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে কুশমাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুর্শিদা বেগমের নামে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টাকা আত্মসাৎ, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে মিটিং ছাড়াই ভুয়া রেজ্যুলেশন তৈরি করে বিল উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ।
গত ১২ই ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও অভিভাবক হেলাল উদ্দিন অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ময়মনসিংহ উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ ৬ মাসের তদন্তে মুর্শিদা বেগমের বিরুদ্ধে সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মুর্শিদা বেগম যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করে আসছেন। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উন্নয়ন জন্য স্ল্লিপ, ক্ষুদ্র মেরামতের ১০ লাখ টাকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সহযোগীয় সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপ ও রাউটার নিজ বাসায় ব্যবহার করে আসছেন।
আরও বলা হয়, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফারানাজ পাঠান হঠাৎ বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা বেগমের কক্ষে ঢোকে দরজা বন্ধ করে আলোচনা করে চলে যায়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহী দিলসাদ এলিন যোগদান করার পর এখনো এ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যায়নি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। ?এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মুর্শিদা বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। তাছাড়া এসব মামলায় আমার কিছুই হবে না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহী দিলসাদ এলিন বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা সত্যতা পেয়েছেন। তদন্তের প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, তদন্তে মুর্শিদা বেগমের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ১লা জুন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।