বাংলারজমিন
বার্ধক্যে আক্রান্ত সাংবাদিকদের মাসিক ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১২ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবারবার্ধক্য জনিত কারনে কর্ম ক্ষমতা হারানো সাংবাদিকদের প্রতিমাসে ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট। এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে রয়েছে জানিয়ে ট্রাষ্টের ব্যবস'াপনা পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, বার্ধক্যে তারা দু:খ-দুর্দশায় সময় কাটান। সেসময় তাদেরকে যদি নূন্যতম ঔষধপত্রের অর্থ দেয়া যায়। এরকম চিন্তা থেকে আমরা প্রতিমাসে একটি ভাতার প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি। এনিয়ে কয়েকটি মিটিংও হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঢাকার তোপখানায় ট্রাষ্টের নিজস্ব অফিস করা ছাড়াও সেখানে সাংবাদিকদের চিকিৎসায় একটি আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের সন্তানদের বৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণকালে ট্রাষ্টের এসব কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরেন আবদুল্লাহ। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: কাউসার আহাম্মদ বলেন,উন্নয়ন কাজে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ন অবদান রয়েছে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা জনগনের কন্ঠ হিসেবে কাজ করেন। তাদের মাধ্যমেই জনগনের দাবি যৌক্তিকতা পায়। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যতো উন্নতির কথা চিন্তা করি না কেন,আমরা এর ক্রেডিট কাকে দেই, রাজনীতিবিদকে দেই,আমলাকে দেই। যে রাস্তাটা উনি করে দিয়েছে, স্কুলটা করেছেন। কিন' এসমস্ত কাজের যে যৌক্তিকতা সেটি তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। তারাই জনগনের হয়ে আওয়াজটা তুলে ধরেন-রাস্তাটা করতে হবে,স্কুলটা করতে হবে। সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জনগনের দাবী যৌক্তিকতা পায়। সরকার যৌক্তিকতার বাইরে কোন কাজ করেননা। ফলে আমাদের উন্নতির পেছনে যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদের দু:খ-কষ্ট কাম্য নয়।
মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ২১ সাংবাদিকের মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের ৪র্থ পর্যায়ের কল্যাণ, অনুদান ও আর্থিক সহায়তার ১১ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জটিল রোগাক্রান্ত । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার প্রিন্স সরকারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তৃতা করেন দীপক চন্দ্র দাস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো: আরজু ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম,সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মো: সহিদুল ইসলাম।