অনলাইন
মঙ্গল গ্রহে বিশ্বের উচ্চতম আগ্নেয়গিরি চেয়েও উঁচু আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেলো নাসা
মানবজমিন ডিজিটাল
(১০ ঘন্টা আগে) ৯ জুন ২০২৫, সোমবার, ৩:০৫ অপরাহ্ন
২০০১ সালে মঙ্গলে পাঠানো নাসার মার্স ওডিসি অরবিটার লাল গ্রহের মেঘের মধ্য দিয়ে উঁকি দিয়ে ২০ কিলোমিটার উঁচু একটি আগ্নেয়গিরির অত্যাশ্চর্য ছবি তুলে এনেছে। নাসার ওডিসি অরবিটার লাল গ্রহের বেশ কিছু ছবি পাঠিয়েছে। তা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলের ওই আগ্নেয়গিরির নাম আরসিয়া মনস। মঙ্গলের নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে এর অবস্থান। পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয়গিরি মাউনা লোয়া (হাওয়াইতে অবস্থিত) ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯ কিলোমিটার উঁচুতে দাঁড়িয়ে। তুলনা করলে মঙ্গলের ওই আগ্নেয়গিরির কাছে প্রায় বামন মাউনা লোয়া। কারণ ১২০ কিলোমিটার প্রশস্ত, আরসিয়া মনস শীর্ষ শৃঙ্গ ক্যালডেরা পৃথিবীর অনেক আগ্নেয়গিরির চেয়েও বড়। ওডিসির নতুন ছবিতে দেখা গিয়েছে, লাল গ্রহের এই অংশটি সূর্য থেকে অনেকটা দূরে। তাকে ঘিরে রয়েছে মেঘের বলয়, যাকে বলা হচ্ছে ‘অ্যাফেলিয়ন ক্লাউড বেল্ট’।
এই অংশে ধুলো এবং বরফশীতল মেঘের অবস্থান টের পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলের আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে এখানকার পরিবেশও বদলায়। ২রা মে তারিখে থার্মাল ইমিশন ইমেজিং সিস্টেম (THEMIS) ব্যবহার করে তোলা প্যানোরামা ছবিতে প্রথমবারের মতো লাল গ্রহের বিশাল আগ্নেয়গিরি দেখা গেছে। টেম্পের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির জোনাথন হিল যিনি THEMIS অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলছেন, আমরা আরসিয়া মনসকে বেছে নিয়েছিলাম এই আশায় যে আমরা ভোরের মেঘের উপরে চূড়াটি দেখতে পাবো। এবং এটি আমাদের হতাশ করেনি।
গবেষকরা বলেছেন যে, আরসিয়া মনসের উপর মেঘ বিশেষ করে ঘন থাকে যখন লাল গ্রহটি সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে, এই সময়কালকে বলা হয় অ্যাপেলিয়ন। নাসা জানিয়েছে, মঙ্গলের আবহাওয়া এবং ধুলো ঝড়ের মতো ঘটনা কীভাবে ঘটে তা বোঝার জন্য এই গ্রহের মেঘের ধরণ বোঝা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ওডিসি অরবিটারটি ২০০১ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং এটিকে দীর্ঘতম চলমান মিশন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মঙ্গল পৃষ্ঠের ছবি তোলার জন্য, অরবিটারটি কক্ষপথে থাকাকালীন ৯০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে । ক্যামেরার এই অবস্থান বিজ্ঞানীদের ধুলো এবং পানির বরফের মেঘের স্তর দেখতে সক্ষম করে , যার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে ঋতুর পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে অবস্থিত নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গ্রহ বিজ্ঞানী মাইকেল ডি. স্মিথ বলেছেন, দিগন্তের চিত্রগুলোতে আমরা সত্যিই কিছু উল্লেখযোগ্য ঋতুগত পার্থক্য দেখতে পেয়েছি। এটি আমাদের মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল সময়ের সাথে সাথে কীভাবে পরিবর্তিত হয় সে সম্পর্কে নতুন তথ্য দিচ্ছে।'
সূত্র : এনডিটিভি