অনলাইন
নরসিংদীর আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
নরসিংদী প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) ১৬ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ৪:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৯ অপরাহ্ন
নরসিংদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মানিক মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামির ফাঁসির দাবিতে আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের স্বজন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এ সময় বাদী-বিবাদী পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পৌরসভার আলোচিত সাবেক কমিশনার মানিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল। আজ দুপুরে নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে আসলে আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২০০১ সালের ১লা জানুয়ারি ভেলানগর এলাকায় প্রকাশ্যে খুন হন নরসিংদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার কমিশনার মানিক মিয়া। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আমির হোসেন আমু বাদী হয়ে নরসিংদীর পৌরসভার সদ্যবিদায়ী সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও আলোচিত-সমালোচিত যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়ার স্বামী সুমন ওরফে মতি সুমনসহ ১০ জনের নামে নরসিংদী সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। নানা ঘাত প্রতিঘাত ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলাটিকে স্থগিত করে রাখা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রায় ২১ বছর পর আজ দুপুরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি সদ্যবিদায়ী নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল আদালতে হাজিরা দিতে আসেন।
এদিকে দীর্ঘদিনেও তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ও রানিং কমিশনারের খুনিদের বিচার না হওয়া ফুঁসে উঠেছে নিহতের স্বজন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এরই প্রেক্ষিতে মানিক সমর্থক ও স্বজনরা আদালত পাড়ায় ব্যানার ফেস্টুন ও বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্লেকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় অভিযুক্ত কামরুলের ফাঁসির দাবি জানানো হয়।
নিহত মানিক কমিশনারের ভাই ও মামলার বাদী আমির ইসলাম আমু বলেন, কামরুল শুধু মাত্র আমার ভাইকেই হত্যা করেনি, সে কুলসুম নামে একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সে ডাকাতি মামালায় আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করেছে। এত অপরাধ করেও তার বিচার হচ্ছে না। শুধুমাত্র কালো টাকার জোর আর ক্ষমতা খাটিয়ে সে বার বার বেঁচে যাচ্ছে। আমু কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, আমার ভাই আওয়ামী লীগের দূর্রদিনের আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রভাগে ছিলেন। পরিতাপের বিষয় হলো চাঞ্চল্যকর এই হত্যার বিচার আমার ২১ বছরেও পাইনি।