প্যারাসেলিংয়ের সময় ১৫০ ফুট উঁচু থেকে সমুদ্রে আছড়ে পড়ে মৃত্যু হলো তরুণীর

১৯ বছরের মডেল তিজানা রাদোনজিকের সাথে  ঘটে গেলো এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। প্যারাসেইলিং কোম্পানির হয়ে প্রচারণার সময় প্রাণ হারালেন এই তরুণী। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদন বলছে, তিয়ানা আত্মীয়দের সঙ্গে মন্টেনেগ্রোয় ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, স্থানীয় একটি সংস্থার উদ্যোগে সমুদ্রসৈকতে প্যারাসেলিং করা হয়। প্যারাসেলিং করার সময় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তিয়ানা। তার ‘প্যানিক অ্যাটাক’ হয়। আর তার পরই ‘সেফটি হারনেস’ খুলে ফেলেন। 

তিয়ানা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০ ফুট উঁচুতে ছিলেন। ‘সেফটি হারনেস’ খোলামাত্রই তিনি সমুদ্রে আছড়ে পড়েন। তাকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু সমুদ্রের পানিতে  পড়েই মৃত্যু হয় তিয়ানার। 

তিয়ানা রাদোনজিক ছিলেন সার্বিয়ার নোভি সাদের ১৯ বছর বয়সী মডেল। ২৮শে মে তাকে একটি ছোট ছবির অংশ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।প্যারাসেইলিং কোম্পানির হয়ে প্রচারণার সময় তাকে বিকিনি পরে বুদভা নদীর উপর দিয়ে ওড়ার কথা বলা হয়েছিল, একটি নৌকা তার প্যারাসেইলটি টেনে নিয়ে যেত। মন্টিনিগ্রোর বুদভায় একটি নামহীন প্রতিষ্ঠানের জন্য এই শুটিং করা হয়েছিল, পর্যটন মৌসুমের আগে তাদের ব্যবসা আরও বাড়াতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।

ফুটেজে, তিজানাকে শান্ত এবং প্রফুল্ল দেখাচ্ছিল। তাকে নিরাপত্তা নির্দেশাবলী সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। প্যারাসেলটি অ্যাড্রিয়াটিক সাগর থেকে ১৫০ ফুট উপরে পৌঁছানোর পর, প্রত্যক্ষদর্শীরা তার আচরণে হঠাৎ পরিবর্তনের কথা জানান। 

দ্য মিরর ইউএস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, তিজানা তার লাইফ জ্যাকেট এবং সেফটি হারনেস উন্মত্তভাবে টানতে শুরু করলে, অবশেষে তার কোমরের বেল্টটি খুলে যায়। 

সমুদ্র সৈকতে থাকা একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে, তারা তিজানার চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন। ডুবে মারা যাবার ঠিক আগে ‘আমাকে নামিয়ে দাও, আমাকে নামিয়ে দাও’ বলে চিৎকার করছিলেন।

সমুদ্র থেকে কিশোরীকে টেনে তোলার পর প্যারামেডিকরা জানান ওপর থেকে পড়ার পর মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। কোম্পানির মালিক মিরকো ক্রডজিক বলেছেন যে, তিনি মডেল তিজানা রাদোনজিকের মৃত্যুর জন্য ‘দুঃখিত’। 

মিরকো বলেন, ‘প্যারাসেলিং করার সময় কোনও ভয় বা আতঙ্ক ধরা পড়েনি তিয়ানার চোখেমুখে বা হাবভাবে। কীভাবে প্যারাসেলিং করতে হয় তার প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছিল। তার পরে কীভাবে দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস