অনলাইন
সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত মিয়ানমারে প্রথমবার ভ্রমণ করলেন জাতিসংঘের দূত
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ বছর আগে) ১৬ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ১:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:০৩ অপরাহ্ন

মিয়ানমারের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত গত অক্টোবরে এই পদে নিযুক্ত হওয়ার পর সোমবার প্রথমবারের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ভ্রমণ করলেন। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি নোলেন হেজারকে মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে যাতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে সব ধরনের সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ঘটে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ''হেজার সেদেশের অবণতিশীল পরিস্থিতি এবং তাত্ক্ষণিক উদ্বেগগুলির পাশাপাশি অন্যান্য অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলিতে মনোনিবেশ করবে।" হেজার মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের সাথে দেখা করবেন নাকি দেশটির কারাবন্দী সাবেক নেতা অং সান সুচির সাথে দেখা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। সোমবারের শুরুতে আরও দুর্নীতির অভিযোগে সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, তার আগের ১১ বছরের কারাদণ্ডের সাথে আরো ছয় বছর যোগ করা হয়েছে । ডুজারিক বলেছেন, “মায়ানমারে যেভাবে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখবেন হেজার। সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ ও এই লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সব পক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পরই এই সফরে গিয়েছেন তিনি।” তবে, জেলবন্দি আং সান সু কি-র সঙ্গে তিনি আদৌ সাক্ষাৎ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র। এই মাসের শুরুতে, কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা ১০সদস্যের অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশীয় নেশনস-এর জন্য মিয়ানমারের বিশেষ দূত প্রাক সোখোন বলেছেন, সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত দেশটিতে শান্তি ও স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য মিয়ানমারের প্রতিবেশীদের প্রচেষ্টা দেশটির সাম্প্রতিক মৃত্যুদণ্ডের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং তারপরে তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর বলপ্রয়োগ করতে শুরু করে। মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য ২০২১ সালের এপ্রিলে একটি পাঁচ-দফা আসিয়ান পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছিল, যার মধ্যে সহিংসতা বন্ধ করা এবং সব পক্ষের মধ্যে একটি সংলাপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু দেশটির সামরিক বাহিনী পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য সামান্য প্রচেষ্টা করেছে, এবং মিয়ানমার এমন একটি পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে যেটিকে জাতিসংঘের কিছু বিশেষজ্ঞ গৃহযুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। হেজার, সিঙ্গাপুরের একজন নারী অধিকার কর্মী, ১৯৯৪-২০০৭ সালে জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা UNIFEM-এর নেতৃত্ব দেন যেটি নারীদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রচারে মনোনিবেশ করে।তিনিই প্রথম মহিলা যিনি ২০০৭-১৪ সালে এশিয়া ও প্যাসিফিকের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের নির্বাহী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সূত্র : .usnews.com