অনলাইন
বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তারে অনুমতির সিদ্ধান্ত স্থগিতের আদেশ আপিলে বহাল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ দিন আগে) ১ জুন ২০২৫, রবিবার, ৯:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:২৭ অপরাহ্ন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে পুলিশের এমন সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এসংক্রান্ত রুল হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন। আদেশের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ দেয় নাই। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকছে।
আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ না দিয়ে হাইকোর্টে এসংক্রান্ত রুল শুনানি করতে বলেছেন।
গত ৯ই এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে অফিস আদেশ জারি করে। ওই অফিস আদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন ২০শে এপ্রিল রিটটি করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩শে এপ্রিল হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, ডিএমপি এমন সিদ্ধান্তের কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। রুলে ৯ই এপ্রিলের ডিএমপি’র সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গত মাসে আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা গত ৭ই মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। সেদিন আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে। আগের ধারাবাহিকতায় গতকাল আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ২৬ নম্বরে আবেদন ২টি একসঙ্গে শুনানির জন্য ওঠে।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর থেকে কমিশনারের পক্ষে ৯ই এপ্রিল ‘অফিস আদেশ’ জারি করেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন। অফিস আদেশের ভাষ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত রুজুকৃত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম/বাণী/প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনাসংশ্লিষ্ট ভিডিও/অডিও/স্থির চিত্র ও সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।