অনলাইন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক
ডিসেম্বরের আগেই অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন চেয়েছে: সালাহউদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার
(১ দিন আগে) ২ জুন ২০২৫, সোমবার, ৭:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ অপরাহ্ন

সংস্কারের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে বৈঠকে ডিসেম্বরের আগেই অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন ঐকমত্য কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোডম্যাপের জন্য কোন তারিখ চেয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অবশ্যই, আমরা মনে করি- ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা খুবই সম্ভব। এর আগে জরুরি ভিত্তিতে যেসমস্ত সংস্কার করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নির্বাচনমুখী। সে সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে আমরা ঐক্যমতের মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়ন করি। এমন কোন সংস্কার নেই, যেগুলো একমাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। আমরা আজকে রিপোর্ট পেয়েছি, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনেকগুলো সংশোধনী এসেছে বিভিন্ন সেক্টরে, যেগুলো ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। আরও অনেকগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় আছে। সেগুলো অডিয়েন্সের মাধ্যমে এবং নির্বাহী আর্দেশের মাধ্যমে করা সম্ভব। এমনিক কিছু কিছু সংস্কার তো অফিস আর্দেশের মাধ্যমেও করা সম্ভব। সেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ উল্লেখ করার মতো নেই। এই বিষয়টা আমরা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। আজকে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আমরা যেটা দেখলাম, প্রায় সবাই ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য তাদের প্রস্তাব আছে। এখন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সেটা বিবেচনা করবেন। সেটা আমরা আশা করি। আমরা মনে করি, তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে সেই ভূমিকা পালন করবেন। কারো প্রতি রাগ-অনুরাগ, বিরাগ প্রদর্শন করবেন না। আমরা মনে করি, জাতি তার কাছে চূড়ান্ত নিরপেক্ষতা আশা করে, আমরা আশা করি।
সালাহউদ্দিন বলেন, এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা, উনারা আমাদের সঙ্গে যেভাবে আলাপ করেছেন, তাতে মনে হয়েছে- কিছু কিছু জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, বিশেষ করে সংবিধান সংক্রান্ত কিছু ইস্যুতে তারা একমত হওয়ার জন্য সমস্ত দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। হয়তো বা আমরা জাতীয়ভাবে সব বিষয়ে একমত পোষণ করতে পারবো না। এটাই হচ্ছে বিউটি অব দ্যা ডেমোক্রেসি। কিন্তু আমরা আলাপ-আলোচনা করবো। আমরা কোথাও কোথাও দ্বিমত পোষণ করবো, কোথাও কোথাও হয়তো বা আমরা একমত হতে পারবো। কোথাও আমরা একমত হওয়ার কাছাকাছি আসতে পারবো। এভাবেই একটা জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, সংবিধান সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাব যে দলগুলো দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখাচ্ছেন, একটা ঐকমত্যে আশা সম্ভব। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে। আমার কাছে মনে হয়েছে, উনারা যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু ইতিমধ্যে উনারা যথেষ্ট সময়ক্ষেপণ করেছেন। আশা করি, আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে সবকিছু কম্পাইল করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দ্বিতীয় পূর্বের আলোচনা কি হবে, কিভাবে হবে এবং কখন সনদ তৈরি হবে, এবিষয়ে উনারা মতবিনিময় করেছেন। আমরা আমাদের বক্তব্য রেখেছি। আমরা বলেছি, সংস্কার কমিশন যথেস্ট সময় ইতিমধ্যে অতিবাহিত করেছেন। আমরা বিস্তারিতভাবে আগেও সংস্কার কমিশনের আলাপ-আলোচনায় আন্তরিকতায় সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছি। সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট প্রণয়নের আগেও, আমরা সংস্কার কমিশনগুলোতে আমাদের দলের পক্ষ থেকে মতামত দিয়েছিলাম। সেই মতামত এবং অন্যান্য দলের মতামতের ভিত্তিতে সংষ্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট প্রণয়ন করেছিল। সেই বিস্তারিত রিপোর্ট আমরা আমাদের দলে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত স্প্রেডশিটের মাধ্যমে উনারা ১৬৬টি প্রস্তাব আমাদের কাছে দিয়েছিলেন। তার উপরে আমরা কোন মনোযোগ দেয়নি। কারণ এটা অনেকটা বিভ্রান্তিমূলক ছিল। আমরা সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত রিপোর্টগুলোর উপরে আমাদের বিস্তারিত মতামত প্রদান করেছি।
পাঠকের মতামত
এই যে মিস্টার সালাউদ্দিন সাহেব নির্বাচন নিয়ে আপনার এই মাত্রা অতিরিক্ত উৎসাহ অত্যন্ত সন্দেহজনক। আপনি এতদিন ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছিলেন না। ৫ই আগস্ট এর পরেই কেন হঠাৎ বাংলাদেশ আসলেন জবাব দিবেন কি।
We don't belive Mr. Salauddin's speech. Let's wait till government speech.
বাংলাদেশ একটি অদ্ভুত দেশ যেখানে রজনের উপর ডজন রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হয় যারা পূর্ণ কমিটিও করতে পারেনা ঠিক মতো গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় দল করার অধিকার আছে কিন্তু পৃথিবীতে বাস্তবতায় এরকম বিশৃংখলভাবে দল দর্শনের নমুনা নেই। আমি দল তুমি দল আমরা দল তোমরা দল এগ্রি মিলিয়ে মিশিয়ে একটা আওয়াজ তুলে দিলেই সেগুলি বেশিরভাগ দল হয়ে যায় না সালাউদ্দিন সাহেব জনগণ এখন অনেক সচেতন এটা ২০২৫ সাল এখনো দুই আশি সালের বক্তব্যই দিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা তো দেশের মালিক না দেশের মালিক জনগণ এত প্যাঁচাল ছুঁয়ে হা না ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে যাক যে এই সরকারের কতদিন থাকবে নির্বাচন কবে হবে।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই এখনই চাঁদাবাজিতে সারাদেশের মানুষ অস্থির। ক্ষমতায় গিয়ে সারাদেশে গিলে খাবে।
একটা অনলাইন ইলেকশন এর আয়োজন করা হোক। ভোট এর তারিখ ৫ আগষ্ট ২০২৫ ভোট কেন্দ্র : অনলাইন ভোটার নং : এন আই ডি নাম্বার ভোটের পক্ষ : ২ টা (১) ভোট ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ (২) ভোট ৩০ জুন ২০২৬ ভোট এর আয়োজন করার জন্য সরকার ২ মাস সময় হাতে পাবে, খরচ হবে মিনিমাম, প্রতিটি নাগরিক তার এন আই ডি নাম্বার দিয়ে একটি মাত্র ভোট দিতে পারবেন। পাগলা হয়ে যাওয়া দল গুলার জন্য মেডিসিন এর মত কাজ করবে আশা করি।