অনলাইন
সহযোগীদের খবর
বাজেট ‘স্মল’, কিন্তু ‘বিউটিফুল’ নয়
অনলাইন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১১ অপরাহ্ন

প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরানাম বাজেট ‘স্মল’, কিন্তু ‘বিউটিফুল’ নয়। খবরে বলা হয়, ‘স্মল ইজ বিউটিফুল’ বা ছোটই সুন্দর—অর্থনীতিতে এই ধারণা বিখ্যাত করেছিলেন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ আরনেস্ট ফ্রেডারিক সুমাখার। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত স্মল ইজ বিউটিফুল: এ স্টাডি অব ইকোনমিকস অ্যাজ ইফ পিপল ম্যাটারড বইয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, এই যে বিশ্বব্যাপী বড় বড় প্রকল্প, বিশাল ব্যয়, বড় বড় কোম্পানি—এসবই কি উন্নয়ন। নাকি মানুষের কল্যাণই আসল উন্নয়ন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করলেন, সেটিও বড় ব্যয়ের বাজেট নয়, বড় বড় প্রকল্পের কথাও তিনি বলেননি। কিন্তু এই বাজেট মানুষকে স্বস্তি দেবে কতটা সেই প্রশ্ন যেমন আছে, তেমনি মানুষ যে আরও দারিদ্র্য হচ্ছে, কাজ হারাচ্ছে, কমছে আয়—তা থেকে উত্তরণ ঘটানোর মতো পরিকল্পনাও তিনি দেননি। ফলে নতুন বাজেট সব অর্থেই ‘স্মল’, তবে ‘বিউটিফুল’ কি না, সেই প্রশ্ন করাই যায়।
নতুন বাজেট বক্তৃতা ছোট, বাজেটের আকার কম, প্রতিশ্রুতি স্বল্প, আকাঙ্ক্ষা সীমিত। আবার অর্থ উপদেষ্টা সম্ভবত ধরেই নিয়েছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাঁর তেমন কিছু করার নেই, বেসরকারি বিনিয়োগের বাধা দূর করার মতো শক্তি আয়ত্তে নেই, কর্মসংস্থানের সংকট কাটবে না, যাবে না রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এ কারণে নতুন যে বাজেট তিনি দিয়েছেন, তা দিয়ে হয়তো আপাতত টিকে থাকা যাবে, সামনে খুব বেশি আগানো যাবে না।
যদিও অর্থ উপদেষ্টা বাজেট বক্তৃতার শুরুতেই নতুন বাজেট কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী বলে উল্লেখ করেছেন। কেননা দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিগত বাজেটের চেয়ে ছোট আকারের বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক ধারণা থেকে সরে এসে চেষ্টা করা হয়েছে সামগ্রিক উন্নয়নের ধারণায় জোর দিতে। তাই প্রথাগত ভৌত অবকাঠামো তৈরির খতিয়ান তুলে ধরার পরিবর্তে বাজেটে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে মানুষকে।
অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বললেও বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যের বরাদ্দে, প্রস্তাবে বা পরিকল্পনায় এর তেমন কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। একমাত্র বড় ব্যতিক্রম হচ্ছে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাব। কিন্তু ব্যক্তি বিনিয়োগ না বাড়লে সামগ্রিক অর্থনীতিতে যে শ্লথগতি চলছে, তা ঠেকানোর মতো উদ্যোগ অর্থনীতিতেই নেই। যদিও বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, জ্বালানির সংকট কাটানোর দায় অর্থ উপদেষ্টার একার নয়। তা তিনি ভালো করে জানেন বলেই হয়তো ছোট বাজেট, ছোট বক্তৃতা আর ছোট আকাঙ্ক্ষার মধ্যেই থেকে গেছেন।
ফলে ব্যাংক খাতের উচ্চ মাত্রার খেলাপি ঋণ (২০ দশমিক ২০ শতাংশ), মূলধন ঘাটতি এবং ব্যাংকিং সুশাসনের অভাব বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর পথে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়েই থাকছে। আবার সরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সরকার অতি সতর্ক। আছে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও সংকোচনমূলক রাজস্ব নীতি। এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড়ের ধীরগতি ও সামগ্রিক কৃচ্ছ্র নীতি বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধিকে সীমিত রাখবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যুগান্তর
‘করজালে নিরুত্তাপ বাজেট’-আমেরিকান বিনিয়োগকারী রবার্ট কিয়োসাকির অভিমত- ‘একটি আর্থিক সংকট পেশাদার বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি দুর্দান্ত সময় এবং গড় বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভয়ংকর সময়’। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অর্থনৈতিক সংকটে দাঁড়িয়ে প্রথম বাজেট দিতে গিয়ে কিছুটা রবার্ট কিয়োসাকির পথে হাঁটার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কতটা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারবেন-তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
তবে কোষাগারের নাজুক পরিস্থিতি উত্তরণে তিনি নজর দিয়েছেন কর ও ভ্যাটে। রান্নাঘরের সামগ্রী, গৃহস্থালি ও প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যসহ বেশ কিছুতে চাপিয়ে দেন বাড়তি ভ্যাটের বোঝা। এতে অনেকটা চাপের মুখে পড়বেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। পাশাপাশি সম্প্রসারণ করেছেন করজালের পরিধি। এসি-ফ্রিজসহ বেশকিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর বৃদ্ধি করায় এসব পণ্যে দাম বেশি গুনতে হবে ভোক্তাদের।
এছাড়া শিল্প খাতে কর অব্যাহতির সুবিধায় লাগাম টেনে দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। ২০২৫ সালের জুনে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর অব্যাহতির সুবিধার মেয়াদ শেষ হবে, নতুন করে প্রতিষ্ঠানগুলো এই বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে না। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে যেসব প্রতিষ্ঠান কর অব্যাহতি পাচ্ছে এবং হ্রাসকৃত হারে কর দেওয়ার সুবিধা ভোগ করছে-এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও বাতিল করা হয়েছে।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘কঠিন হবে ব্যবসা-বিনিয়োগ’। খবরে বলা হয়, আস্থাহীনতায় বিনিয়োগ তলানিতে। উচ্চ সুদের কারণে কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। ডলারের উচ্চ দরে আমদানিতে বাড়তি খরচ। এর মধ্যে করের বোঝা চাপানো হলেও বেসরকারি খাতের জন্য স্বস্তির বার্তা নেই প্রস্তাবিত বাজেটে।
উল্টো আমদানি পণ্যের বাজার বানানো আর স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষার বদলে বরং দেশে উৎপাদিত পণ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরও এ রকম বহু পণ্যের শুল্ককর কমিয়ে অসম প্রতিযোগিতা তৈরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে ডলার সংকট আরো জটিল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কারখানা বন্ধ হচ্ছে একে একে। কিন্তু এসব কারখানা চালু ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর কর্মপরিকল্পনা নেই।
ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রকৃত স্থানীয় শিল্পের উন্নয়নে নীতি সহায়তা দেওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো দিকনির্দেশনা নেই। অন্যদিকে সরকারের পরিচালনা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। পুঁজিবাজারে আস্থাহীনতা চরমে। এর জন্য নেই কাঙ্ক্ষিত নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় স্বীকার করেছেন, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি। এ জন্য বিনিয়োগের পথে বিদ্যমান অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুততম সময়ে দূর করার চেষ্টা করবেন। এটি বলে তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনের সাফল্যের কথা বলেছেন। অথচ এই সম্মেলনে মাত্র ১৫ কোটি ডলারের বিনিয়োগের সমঝোতা সই হয়েছে। আর স্টার্টআপ শপআপের ১১ কোটি ডলারের বিনিয়োগ এসেছে।
সমকাল
‘সংস্কারের বৈঠকেও নির্বাচনের সময় নিয়ে আলোচনা’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সংস্কারের সুযোগ হাতছাড়া না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৮ রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
দলগুলো নিয়ে আজ একই স্থানে শুরু হবে সংস্কারের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ। প্রথম দিনে ৭০ অনুচ্ছেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, সংসদের নিম্নকক্ষে নারী আসনের নির্বাচন এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হবে।
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো আগের অবস্থানই পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে গতকালের বৈঠক সূত্র সমকালকে জানিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, সিপিবি, বাসদ, ১২ দলীয় জোট, বাংলাদেশ জাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অন্তত ৯টি দল একই দাবি জানিয়েছে।
অন্য অনেক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনে রাজি। এর আগেই সংস্কার সম্পন্ন হতে হবে– এ শর্ত দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, জুলাই সনদ সই হওয়ার পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়সূচি, অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনকে সমর্থন জানিয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দল ও জোটের ৩৪ প্রতিনিধির ২৬ জন বক্তৃতা করেন। বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে আড়াই ঘণ্টা চলে বৈঠক।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক সংকটের স্বীকৃতি, ধীরে উত্তরণের আশা’। খবরে বলা হয়, এবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর স্বীকৃতি মিলেছে। সাধারণ মানুষ যে উচ্চমূল্যস্ফীতিতে কষ্টে আছেন সেটি স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত দুই বছর ধরে মানুষের প্রকৃত আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু বাজেটে মানুষের প্রকৃত আয় বাড়ানোর উদ্যোগগুলো সীমিত। করমুক্ত আয় সীমা বৃদ্ধির সুবিধা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পাওয়া যাবে না।
২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে এই সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন অর্থ উপদেষ্টা। কর কাঠামোতে যে পরিবর্তন এনেছেন তাতে গৃহস্থালি খরচ কিছুটা হলেও বাড়ছে। বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নাগরিক সুবিধা, কর্মসংস্থানে জোর দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। তবে এবারের বাজেটের কর কাঠামোতে দেশীয় শিল্পে সুরক্ষা কমে যাওয়ায় কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গেছে। বাজেটের ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্য ভাবাচ্ছে উদ্যোক্তাদের।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে উচ্চ মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, শ্রমিক অসন্তোষ প্রশমিত করে শিল্প খাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনাই ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অর্থ উপদেষ্টা তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, মাত্র অল্প কয়েক মাসে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে স্থিতিশীল করার কাজটি প্রায় সম্পন্ন করে আনা সম্ভব হলেও পরিপূর্ণ সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে আমাদের এখনো অনেকটা পথ পেরোতে হবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা দেখা গেলেও তা এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, গত এপ্রিল মাসে মার্কিন প্রশাসন কর্তৃক আরোপিত অতিরিক্ত শুল্কের নেতিবাচক প্রভাবও আমাদের অর্থনীতির ওপর পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, সমপ্রতি যে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করা হয়েছে, তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব আপাতত বাজারের ওপর পড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও, এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হচ্ছে। এ সকল ঝুঁকি মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বৈষম্যহীন ও টেকসই ভিত্তি নিশ্চিত করা এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নয়া দিগন্ত
‘এ সুযোগ যেন হারিয়ে না ফেলি’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, একটি চমৎকার ‘জুলাই সনদ’ করা সম্ভব হবে, এমন আশা প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এ সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।’
সোমবার বিকেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার শুরুতেই কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এই আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ৩০টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর সংস্কারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য সংস্কার কমিশন গঠন ও পরবর্তীকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং ঐকমত্য কমিশনের সাথে দলগুলোর প্রথম পর্বের আলোচনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছিল যে হয়তো দলগুলো এ কাজে আগ্রহ পাবে না, ভেতরে ঢুকতে চাইবে না। কিন্তু দলগুলো যেভাবে গভীরে গেছে, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে, ঐকমত্য কমিশনের সাথে বিতর্ক করেছে, তাতে আমি আনন্দিত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অনেকগুলো বিষয় আছে, কাছাকাছি এসে গেছি, আরেকটু হলে আমাদের তালিকাতে আরেকটা সুপারিশ যুক্ত হয়, ওই ঐকমত্যের সুপারিশে। এ সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।
প্রথম পর্বের আলোচনায় যেসব বিষয়ে দূরত্ব রয়ে গেছে, দ্বিতীয় পর্বে সেগুলো ঘুচে যাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যেটুকু দূরত্ব ছিল, তা ঘুচিয়ে এনে যাতে জুলাই সনদে বর্তমানে যতগুলো ঐকমত্যের বিষয় আছে, তার মধ্যে আরো কিছু যোগ করতে পারি। দেখতে সুন্দর লাগবে, জাতীয় একটা সনদ হলো।’
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘বেহাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ঋণের বোঝা আরো বাড়বে’। খবরে বলা হয়, ‘ঋণ করে ঋণ শোধ’ করার যে নীতি বিগত সরকারের মেয়াদে গড়ে উঠেছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটেও তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ মুহূর্তে সরকারের ঘাড়ে চাপা ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই সে বোঝা বেড়ে ২৩ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হবে বলে প্রাক্কলন করেছে সরকার। আর ২০২৬-২৭ অর্থবছরে এ ঋণ আরো বেড়ে ২৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকায় ঠেকতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি’তে সরকারের ঋণ বৃদ্ধির এ চিত্র তুলে ধরা হয়।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত দেড় দশকের শাসনামলে ঘোষিত বাজেট ছিল অনেকটাই ঋণনির্ভর। প্রতি বছরই ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বাড়ানো হয়েছে বাজেটের আকার। তবে আয়ের উৎস সম্প্রসারণ করে নয়, বরং ঋণনির্ভর ঘাটতি বাজেটের মাধ্যমেই এর আকার বড় করা হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল যে বাজেট ঘোষণা করেছেন, তাতেও ঋণনির্ভরতা কাটানোর দৃশ্যমান কোনো চেষ্টা দেখা যায়নি।
সংসদ না থাকায় বেলা ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মাধ্যমে বাজেট বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত এ বাজেটের শিরোনাম দেয় হয় ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’। পরে রাতেই রাষ্ট্রপতির সচিব ড. হাফিজ আহমেদ স্বাক্ষরিত ‘অর্থ অধ্যাদেশ ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। জারি করা অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারের আর্থিক প্রস্তাবগুলো কার্যকর করা এবং এ-সংক্রান্ত উদ্দেশ্যগুলো পূরণের জন্য কিছু আইন সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন। বর্তমানে সংসদ না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেছেন। তবে প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে অংশীজনসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে কোনো ধরনের সংশোধনের প্রয়োজন হলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অধ্যাদেশ সংশোধনের ভিত্তিতে আবার জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন গত বছরের জুলাই-আগস্টে হওয়া আন্দোলনের অকুতোভয় শহীদদের। তারা দ্বিধাহীন ত্যাগের মহিমায় মৃত্যুকে ছাড়িয়ে অনন্য উচ্চতায় আরোহণ করেছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজকের পত্রিকা
‘বদল সামান্য, সবই আগের মতো’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আমদানি পণ্যের শুল্ক-করহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে ১১০ টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে ঘোষিত বাজেটে। পাশাপাশি ৬৫ টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯ টির সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টির সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রস্তাতি বাজেটে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ । প্রস্তাবিত তালিকায় যেসব পণ্য রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ, তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল, ম্যান মেড ফাইবার,উল, বর্জ্যপানি শোধনাগার (ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট), ডায়ালাইসিস ফিল্টার, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং কিছু নির্দিষ্ট ধরনের অস্ত্র।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ওপরও ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর শুল্ক ইস্যুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চিঠিতে ৩ মাসের জন্য বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত রাখার আহ্বান জানান তিনি। এর পর চীন ছাড়া সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য জন্য বাজেট দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
গতকাল সোমবার তিনি ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, “বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমরা এগোচ্ছি।’ এই একটি মন্তব্যেই যেন উঠে আসে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় চিত্র — কীভাবে এক গভীর সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চলছে, আর কেন এই যাত্রাপথ এখনো দীর্ঘ। তবে এই কঠিন বাস্তবতা মোকাবিলায় অর্থ উপদেষ্টা বাজেট যেভাবে সাজালেন, তার খুব প্রশংসা করতে পারছেন না অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক এবং রাজনৈতিক দলগুলো।
তারা বলছে, এই বাজেট যেন আগের সরকারেরই ধারাবাহিকতা। এতে সেই অর্থে পরিবর্তন আছে খুবই সামান্য। শুধু এই খাতে কিছু কম, ওই খাতে কিছু বেশি। তবে বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, সংকটের দিকগুলোতে সরকারের চোখ খোলা আছে।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘সুদ গুনতে ব্যয় হবে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা’। খবরে বলা হয়, একসময় বাজেটের সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত ছিল শিক্ষা। কিন্তু ধীরে ধীরে সরকারের প্রাধিকার স্থানান্তরিত হতে থাকে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধীরে ধীরে ভৌত অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বাড়তে থাকে। আর এসব অবকাঠামো বাস্তবায়নে দেশি-বিদেশি নানা উৎস থেকে অনেক বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। এসব ঋণের মধ্যে অনেকগুলো অপ্রয়োজনীয় ঋণও ছিল। সময়ের পরিক্রমায় সেসব ঋণ পরিশোধের সময় হয়েছে। ফলে বর্তমানে বাজেটের খাতভিত্তিক ব্যয়ে সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হিসেবে স্থান দখল করে নিয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধ। আগামী অর্থবছরের জন্য ঋণের সুদ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ও অর্থায়নের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে আমাদের সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ও ঋণ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে নির্বাহ করার প্রস্তাব করছি। আগামী অর্থবছরে সুদ পরিশোধ বাবদ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ২২ হাজার কোটি টাকা।
আর বাকি ১ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হবে অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ঋণ ও সঞ্চয়পত্রের সুদ পরিশোধে। গত অর্থবছরের বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এ বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ লাখ ২১ হাজার ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, মূল বাজেটের তুলনায় সংশোধিত বাজেটে সুদ বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। অথচ অন্যসব খাতে সংশোধিত বাজেটে ব্যয় কমানো হয়েছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, সরকারের বর্তমান যে ঋণ পরিস্থিতি, তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী বছরগুলোয় ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বাড়তে থাকবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
‘নতুন বাংলাদেশে পুরোনো বাজেট’-এটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, চরম আর্থিক সংকট এবং বিশৃঙ্খলা সত্ত্বেও অতীতের সরকারের মতোই ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বিশাল আকারের বাজেট ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। যদিও এ বাজেটের মোট আকার চলতি বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। মানুষের আয় বৃদ্ধি ও জীবনমান উন্নয়নের তেমন কোনো বিশদ পরিকল্পনার উল্লেখ নেই প্রস্তাবিত বাজেটে।
যদিও বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’। অতীতের সরকারগুলোও এ রকম বৈষম্যহীন সমাজ ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে এসেছিল যুগ যুগ ধরে। অথচ প্রকৃত অর্থে সে সময়ে মানুষের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। বদলায়নি সমাজব্যবস্থা, উন্নয়ন হয়নি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের। কমেনি অনিয়ম-দুর্নীতিও। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত বাজেটের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনমানের তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অবশ্য এবার ধান, গম, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, হলুদ, শুকনো মরিচ, ভুট্টা, মোটা আটা, আটা, লবণ, চিনি, ভোজ্য তেল, কালো গোলমরিচ, দারচিনি, বাদাম, লবঙ্গ, খেজুর, ক্যাসিয়াপাতা, কম্পিউটার ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এবং সব ধরনের ফলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তবে এসব নিত্যপণ্যের ব্যবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের যে সিন্ডিকেট রয়েছে, তা ভাঙার কোনো কৌশল বাজেটে নেওয়া হয়নি। একইভাবে মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন, প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্র, এলপিজি সিলিন্ডার, চকলেটসহ আরও কিছু পণ্যে নতুন করে কর বাড়ানো হয়েছে। এতে শহর কিংবা গ্রামে বসবাসকারীদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে করমুক্ত আয়সীমা এবং করপোরেট কর। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে সীমিত আকারে।