বাংলারজমিন
খুলনায় পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৪
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৬ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবারখুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা এলাকায় পুলিশ সদস্য সেজে চাঁদাবাজিকালে এক নারী সাংবাদিকসহ সিন্ডিকেট চক্রের ৬ সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি গত ১২ই আগস্ট রাতে আড়ংঘাটা থানা এলাকার রায়েরমহল খ্রিষ্টানপাড়ার জনৈক অপুর বাড়ির ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলামে বাসায় ঘটে। এ ঘটনায় মো. ওয়াহিদ উল আলম বাদী হয়ে বড় বয়রা রায়েরমহল মীরেরঘাট এলাকার বাসিন্দা মৃত গফুর মোল্লার মেয়ে তানজিলা পারভীন লাবণী (২৮), উত্তর মুজগুন্নি পেটকা বাজার এমএ খালেকের বাড়ির ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাহারিয়ার আহমেদ (৩২), গল্লামারী এলাকার রাইসা ক্লিনিকের পাশের বাসিন্দা মো. কুদ্দুস মোল্যার মেয়ে আলিশা রহমান মুন (১৯), বড় বয়রা খ্রিষ্টানপাড়া এলাকার বাসিন্দা সম্পা করালী (২৩), খালিশপুর ১২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা (পিতা- অজ্ঞাত) তানভীর তপন (৫০) ও গল্লামারীর পাশের এলাকার বাসিন্দা (পিতা-অজ্ঞাত) ওসমান গাজী (২৬) এর বিরুদ্ধে আড়ংঘাটা থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন।
আড়ংঘাটা থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী ওয়াহিদ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত। বাদীর সঙ্গে সম্প্রতি আসামি আলিশা রহমান মুনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের জের ধরে ওয়াহিদ মুনের সঙ্গে কয়েকবার দেখা করে। গত ১২ই আগস্ট রাত ৯টার দিকে ওয়াহিদ ও আতিশা রহমান মুন তার পরিচিত রায়েরমহল খ্রিষ্টানপাড়ার জনৈক অপুর বাড়ির ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলামে বাসায় পৌঁছায়। ওই ঘরের ভেতর বসে তার কথা বলার একপর্যায়ে আসামি নারী তানজিলা পারভীন লাবণী, শাহরিয়ার আহম্মেদ, তানভীর তপন ও অপর আসামি ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ছবি তোলা, দেহ তল্লাশি করে এবং চড়-থাপ্পড় মেরে বাইরে রাখা প্রাইভেট কারে করে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের নির্জন জায়গায় নিয়ে পুলিশের পরিচয় দিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি-ধামকি দিয়ে একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদী ওয়াহিদ তাদেরকে বন্ধুদের নিকট হতে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে দিতে সম্মত হন।
অতঃপর তারা পুনরায় বাদীকে সোনাডাঙ্গা থানার সম্মুখে খুলনা শিববাড়ি মোড়ে নিয়ে যায়। শিববাড়ি মোড়ে অবস্থান করাকালীন বাদী ওয়াহিদের বন্ধুদের হস্তক্ষেপে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আড়ংঘাটা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তবে ওই ঘটনায় বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজহার আলী জানান, অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করে। পুলিশ সেজে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মো. ওয়াহিদ-উল আলম।
আসামিদেরকে ১৩ই আগস্ট দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। মামলা তদন্তাধীন। আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, পুলিশের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের কারা হয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।