প্রথম পাতা
মিয়ানমার দূতকে ফেরার আদেশ, নানা প্রশ্ন
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৮ মে ২০২৫, বুধবার
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মনোয়ার হোসেনকে আচমকা ঢাকায় ফেরানো হচ্ছে। দেশটিতে তিনি দু’বছরের কম সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তাকে ফেরানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিশব্দে সেই আদেশ হয়েছে। যদিও সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ফেরতের অফিস আদেশটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পায়নি। সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা মিয়ানমার দূতের অনতিবিলম্বে ঢাকায় ফেরার আদেশ হওয়ার বিষয়টি রাতে মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন। তার ফেরতের ওই আদেশের সঙ্গে করিডর নিয়ে চলমান বিতর্কের কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের আগেস্ট মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন ড. মো. মনোয়ার হোসেন। তখন তিনি নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্বে ছিলেন। গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র সচিব পদে নাটকীয় পরিবর্তন আসে। বহুল আলোচিত সচিব জসীম উদ্দিন নিজে থেকে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। যদিও তার বিদায়ের গুঞ্জন ছিল আগে থেকে। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব করা হয়েছে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা (১১তম ব্যাচ) রুহুল আলম সিদ্দিককে। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও সদর দপ্তরে কাজের গতি আনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেশ ক’জন রাষ্ট্রদূতকে ফেরানোর কথা প্রচার করা হয়। বলা হয়, তাদের দিয়ে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিবের শূন্যপদ পূরণ করা হবে! কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের তরফে যা প্রচার করা হোক না কেন, পারসেপশন অন্য কিছু। ‘মন্ত্রণালয়ে দক্ষ কর্মকর্তা প্রয়োজন, সেই তাগিদ থেকে তাদের ফিরিয়ে এনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে পদায়ন করা হবে’ মর্মে প্রচারিত ন্যারেটিভ-এর কাউন্টার এসেছে এভাবে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা, তিনি যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার। তাকে ফিরিয়ে এনে অতিরিক্ত সচিবের চেয়ারে বসানোর যুক্তি এখানে খাটে না। তাছাড়া তার সিনিয়র আরও অনেকে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে পোস্টিংয়ে রয়েছেন। তাদের না ফিরিয়ে কেবলমাত্র মিয়ানমার দূতকে ফেরানোর বিষয়টি রহস্যময়।