অনলাইন
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ইশরাক
দুই ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টার পদত্যাগ ছাড়া রাস্তা ছাড়বেন না
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ ঘন্টা আগে) ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:২২ অপরাহ্ন

ছবি: মানবজমিন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টার পদত্যাগের খবর না আসা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের রাস্তায় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে তার ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান তিনি।
ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘আন্দোলনকারী ভাইদের বলবো-এইসব মূলা দিয়ে গাধা বশ করা যায়, আমাদের না। দুই ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টার পদত্যাগের খবর না আসা পর্যন্ত চলেছে লড়াই, চলবে। রাস্তা তো ছাড়বেন না, আরও বিস্তৃত করতে হবে।’
এর আগে এদিন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আদালতের এই আদেশের ফলে মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিতে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের রায়ের খবর পাওয়ার পরপরই ইশরাকের মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা সমর্থকরা আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা সমর্থকরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। কাকরাইল মসজিদের সামনে ইশরাক হোসেনের হাজার হাজার সমর্থকরা যুমনার প্রবেশমুখে ব্যারিকেড সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘দফা এক, দাবি এক, আসিফের পদত্যাগ’, ‘যমুনা রে যমুনা, আমরা কিন্তু যাবো না’, ‘আসিফের পদত্যাগ, ঢাকাবাসীর দাবি এক’। কয়েকদিন ধরেই তার পদত্যাগ দাবি করছেন আন্দোলকারীরা।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই সরকারে বর্তমানে দুইজন ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা রয়েছেন। তারা হলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
পাঠকের মতামত
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে অন্তত আমি আর তাদের ভোট দিবো না।
নৈরাজ্য বাদীরা আবার পতিত স্বৈরাচার কে ক্ষমতায় আনতে চায় ।
এই মুহূর্তে বি এন পির বিরুদ্ধে না নামলে আবার হাসিনার শাসন আসবে।
শিশু উপদেষ্টা বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছেন। জনগণের ভোগান্তির জন্য আপনি দায়ী।
এই ইশরাক মেয়রের চেয়ারে বসতে চায় অনির্বাচিত ভাবে, এখন মানুষকে যে দুর্ভোগ দিচ্ছে ক্ষমতা পেলে কী করবে!
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম তারা একটা রাজনৈতিক দলের নেতা। রাজনৈতিক দলের নেতারা যদি সরকারে থাকে সেই সরকার নিরপেক্ষ হয় কিভাবে ? নিরপেক্ষ লোক ছাড়া কোন অবস্থাতেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম এই দুই জনকেই পদত্যাগ করতেই হবে।
কই আমরাতো ভোটই দেই নাই ঢাকা দক্ষিণ নির্বাচন এ এই ভেবে যে হাসিনার সময় সব নির্বাচন সাজানো। আবার নির্বাচন দিক।
বিএনপি ১৫ বছরে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারে নি। এখন যদি দুই জন ছাত্র উপদেষ্টাকে তারা সরতে বাধ্য করতে পারে, এটা হবে বিএনপির ইতিহাসের সবচাইতে বড় রাজনৈতিক বিজয়।
বিএনপি কোনভাবেই যেন এককভাবে দেশ পরিচালনার সুযোগ না পায়। এরা আওয়ামী লীগের চেয়ে খারাপ কিছু করে দেখাবে। ইশরাক চায় সে যেন অবৈধ মেয়র হয় আসলে এরা মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।
বিএনপির পক্ষ থেকে এবার সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। কারণ, এই ২ জন নব্য ফ্যাসিস্ট। এরাই দিনের পর দিন এন সি পি কে দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করাচ্ছে । পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়ার টেবিল থেকে দূরে রাখছে। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিচ্ছে।
সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে সাধারণ মানুষের দল বিএনপিকে জনগনের প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফায়দা তুলছে একটি গোষ্ঠী।
বর্তমান দুর্নিতীপরায়ন সরকারী সুবিধাভোগী প্রায় সকল ছাত্রনেতা আগে ছিলো ছাত্রলীগ, যারা আন্দোলনে মারা গেছে তারা সবাই আওয়ামিলীগ বিরোধী। এরা নিজেদের ব্যাক্তিগত সুবিধা চাকরীর আশায় আন্দোলন শুরু করেছিলো, আবার চাপে পরে হারুনের হোটেলের ভাত খেয়ে আন্দোলনকে বাতিল করেছিলো। বিএনপির জনগন যুদ্ধের মাঠে না নামলে এই ছাত্র নেতাদেরকে শেখ হাসিনা ভ্যানিস করে দিতো। এখানে আল্লাহ্ র হুকুমে কে কাকে বাঁচাইলো? কার কাছে কে কৃতজ্ঞ থাকবে? আমাদের দেশে এমনটাই হয়, কষ্ট করে ক্ষেত আবাদ করে একজন, চক্রান্ত করে ফসল খায় আরেকজন। হাসিনার ছানাপোনা এই বালকেরা তাদের স্বভাবমতো রাষ্ট্রক্ষমতা জবর দখল করে নতুন স্বৈরাচার হয়েছে, আর বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ চালাতে চাইছে, দুইদিক বিবেচনা করলে বিস্তর ফারাক। জনগনের দল জনগনের পক্ষেই থাকবে, ভারতে পালিয়ে যাওয়া অপশক্তির লেজ এখন বিদায় করতে হবে, নাহলে দেশটা আরো মহাবিপদে পরবে। খারাপ বালকদের সাথে মিশে ভালো বাচ্চাদের ভবিষ্যত নষ্ট হবে, অন্ধকার হবে।
এখন ক্ষমতা দেখাচ্ছে। অহংকার করছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে থেকে বালুর ট্রাক সরাইতে পারে নাই। বেগম খালেদা জিয়াকে যখন বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে আর বেগম খালেদা জিয়া শিশুর মতো ডুকরে কেঁদেছিলেন তখন এরা বসে বসে আঙ্গুল চুষেছিল।
বিএনপির এ-ই আন্দোলন বিগত স্বৈরাচারী সরকারের নির্বাচন সহ সকল কার্যক্রমকে বৈধতা দিল কিনা বা স্বৈরাচারী জালিম সরকারের পক্ষে গেল কিনা সকলকে ভাববার সুযোগে করে দিল।
ছাত্ররা যদি ক্ষমতার মোহে না পড়ে তাদের নিজস্ব অবস্থানে থাকত তাহলে সারাজীবনই তাদের সবাই সম্মান ও শ্রদ্ধা করত।সুন্দর ও সুশৃঙ্খল জীবন কে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।আল্লাহতায়ালা সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক।
ছিঃ লজ্জ্বা বিএনপি !
জনদুর্ভোগ হয় এধরনের কর্মসুচী থেকে বিরত থাকা উচিৎ। যাতে বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক কোন চিন্তা-ভাবনা না আছে।
যারা কোর্টের রায় মানে না , অনির্বাচিত প্রশাসক নিয়োগ দেয় , দূর্নীতি করে ঐ ছাত্রদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই । আসিফের পদত্যাগ চাই ।
তার মানে বিএনপি আগের সব অবৈধকেই বৈধতা দিতে যাচ্ছে ………… মূদ্রার এপিট - ওপিঠ প্রমানিত হলো …..। ফ্যাসিস্টের আর একটি নগ্নরুপ ......... এখন আমাদের দেখতে হচ্ছে । ছিঃ লজ্জ্বা বিএনপি !
ছাত্রদের দেশ পরিচালনার অভিঞ্জতা নাই। এখন তারা লেখা পাড়া বাদ দিয়ে রাজনীতি করতে চায়। অতিত ছাত্রদের সংগ্রাম করার ইতিহাস আছে। সংগ্রামে জয় লাভ করে দেশ চালানো ইতিহাস নাই। এই দেশে ছাত্রদের অনেক ত্যাগ আছে বিনিময় তারা কিছু আশা করেন নাই ।
উপরের মন্তব্য কারিদের মন্তব্য পরে সত্যি আমার মতো একজন অতি অল্প শিক্ষিত একজন হয়েও এই ত্বক বুজলাম যাই হোক কেন আমার মন মতো হতে হবে। হায়রে অতি শিক্ষিত বাংলাদেশী।
যারা কোর্টের রায় মানে না , অনির্বাচিত প্রশাসক নিয়োগ দেয় , দূর্নীতি করে ঐ ছাত্রদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই । আসিফের পদত্যাগ চাই ।
জনগনের স্বাভাবিক চলাফেরার রাস্তা বন্ধ করা একজন জনপ্রতিনিধি/রাজনীতিবিদের কাজ হতে পারে না!! এটা অশুভ লক্ষন!!! যেই ছাত্রদের জন্য আজকে স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছেন, যারা নির্যাতন, জেল, জুলুমের হাত থেকে বাঁচালো তাদের সাথে বেইমানি ভালো ফল বয়ে আনবে না!!!
অকৃতজ্ঞের দল! যাদের ত্যাগে এই স্বাধীনতা তাদেরকেই পদত্যাগের কথা বলা হচ্ছে! শুধু ছাত্র উপদেষ্টারা কেন সবাইকে পদত্যাগ করতে বলুন তারপর ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে তার হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিন !
ইশরাক চাহেব,ভাড়া করা লোক দিয়ে আনদোলন সফল হয় না। এরা তো দেখি খমতায় যাওয়ার আগেই স্বৈরাচারী আচরণ মনোভাব।
মেয়রের চেয়ারে না বসতেই স্বৈরাচারী আচরণ শুরু করে দিয়েছে।
ছাত্রদের জীবনের বিনিময়ে এ দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে তা না হলে আপনারা এখনও আয়নাঘরে থাকতেন।
ছাত্রদের দেশ পরিচালনার অভিঞ্জতা নাই। এখন তারা লেখা পাড়া বাদ দিয়ে রাজনীতি করতে চায়। অতিত ছাত্রদের সংগ্রাম করার ইতিহাস আছে। সংগ্রামে জয় লাভ করে দেশ চালানো ইতিহাস নাই। এই দেশে ছাত্রদের অনেক ত্যাগ আছে বিনিময় তারা কিছু আশা করেন নাই ।
এরা তো দেখি নির্বাচিত হওয়ার আগেই স্বৈরাচারী আচরণ শুরু করে দিয়েছে।
তাপস গেছে যেই পথে ইশরাক যাবে সেই পথে ইনশাআল্লাহ।
অবৈধ সরকারের নির্বাচন বৈধ করার পায়তারা।
ভদ্রলোক ছয় দিন ধরে যে নাগরিক সেবা দিচ্ছেন তা আর কতদিন অব্যহত রাখবেন তা যদি দয়া করে বলতেন।
এদের কোন লজ্জা নাই। এতো বছর এরা কিছু করতে পারল না এখন বড় বড় কথা। এরা ক্ষমতায় আসলে আগের চেয়ে দেশের অবস্থা খারাপ হবে মনে হয়। তারেক সাহেব খুব খারাপ উদাহরণ তৈরি করছেন।
ভারতের ইশারায় বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কিছু ভারতীয় কর্মচারীরা পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকারের বিরোধ তৈরি করার চেস্টা করছে। যার ফল স্বরুপ আমরা ইশরাক খেলা দেখছি।
ছি!ছি! এক সাথে সরকার কে নেমে যেতে বলুন, আপনারা সরকার গঠন করুন। নির্বাচন কে নির্বাসন এ পাঠাও।........ ( স্বৈরাচার এর আগমন বার্তা.....?)
অবৈধ নির্বাচনের মেয়র আপনি । আপনার মুখে একথা মানায় না।