খেলা
৫১ বছর পর শিরোপা বোলোনিয়ার
স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার
রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ল বোলোনিয়া। সেমিফাইনালে শক্তিশালী ইন্টার মিলানকে উড়িয়ে আসা এসি মিলান শিরোপার মঞ্চে দ্যুতি ছড়াতে পারল না একদমই। বুধবার ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ১-০ গোলের জয়ে দীর্ঘ পাঁচ দশকের শিরোপা খরা কাটাল বোলোনিয়া। ম্যাচ শেষে কোচ ভিনসেনজো ইতালিয়ানো জানান, তার বিশ্বাস ছিল যে শিরোপা তারাই জিতবেন।
ইতালির শীর্ষ লীগ সিরি আ’তে এর আগে ৭ বার শিরোপার উৎসবে মেতেছে বোলোনিয়া। তবে শেষবার এই প্রতিযোগিতায় তাদের সাফল্য এসেছে ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে, ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে। দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে ক্লাবটির এর আগের শিরোপা এই ইতালিয়ান কাপেই, ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে। ৫১ বছর পর ফাইনালের মুখ দেখেই দল করলো বাজিমাত। পুরো ম্যাচে ৫৪ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখা মিলান ৭টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে রাখতে পারে স্রেফ ২টি। বিপরীতে ১১টির মধ্যে ৫টি শটই লক্ষ্যে থাকে বোলোনিয়ার। বিরতির আগ পর্যন্ত বল পজিশনে এগিয়ে থাকা বোলোনিয়া গোলের দিকেও মিলানের চেয়ে বেশি শট নেয়। শুধু কাজের কাজটিই করতে পারেননি দলের কেউ। তবে গোলশূন্য বিরতির পর মাঠে ফিরে খুব বেশি দেরি করতে হয়নি তাদের। ৫৩তম মিনিটে সতীর্থের পাস ধরে ডি বক্সের ভেতর ঢুকে যান দান এনদোয়ে। জোরালো শটে জয়সূচক গোলটি করেন এই সুইস ফরোয়ার্ড। গোল হজমের পরও প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে পারেনি মিলান। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে বোলোনিয়া কোচ ভিনসেনজো, খেলোয়াড় ও সমর্থকরা। শেষ হয় ক্লাবটির পাঁচ দশকের অপেক্ষার। ম্যাচের পর বোলোনিয়া বস বলেন, ‘অনেক হতাশার পর, আমি বিশ্বাস করি আমরা এই শিরোপার যোগ্য ছিলাম। ফাইনালে আমরা অসাধারণ পারফর্ম করেছি, এবং এটি ছিল একটি অবিস্মরণীয় মৌসুম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম মিলান দ্বিতীয়ার্ধে কী করবে, এবং আমরা এর জবাব দিতে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা মনোযোগ এবং শৃঙ্খলার সাথে খেলেছি এবং যা প্রয়োজন তা অর্জন করেছি।’ জয়সূচক গোলটির ব্যাপারে এই ৪৭ বছর বয়সী কোচ বলেন, ‘(দান), এনদোয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে এবং একটি মূল্যবান গোলটি করেছে, যা আমাদের শিরোপা এনে দিয়েছে। ’
চলতি মৌসুমে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না এসি মিলানের। ইতালির শীর্ষ লীগে ৩৬ ম্যাচে ১৭ জয়, ৯ ড্র ও ১০ হারে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার অষ্টম ক্লাবটি। সমপরিমাণ ম্যাচে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে সপ্তম বোলোনিয়া। এমনিতেও হাতছাড়া হয়ে গেছে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লীগ, তাই এই শিরোপার মধ্য দিয়ে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় সুযোগ করে নেয়ার দারুণ এক সুযোগ ছিল প্রতিযোগিতাটির সাত বারের চ্যাম্পিয়নদের। সেই আশাতেও বাধ সাধলো বোলোনিয়া। আপাতত সিরি আ’তে শেষ দুই রাউন্ডের ম্যাচে অবিশ্বাস্য কিছু হলে ইতালিয়ান জায়ান্টদের দেখা যেতে পারে ইউরোপা লীগের মঞ্চে।