অনলাইন
৩ দফা দাবি
যমুনার উদ্দেশে জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ ঘন্টা আগে) ১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ১:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫১ অপরাহ্ন

ছবি: সংগৃহীত
তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
লংমার্চটি রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। লংমার্চ ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে এখন পর্যন্ত ৬ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আন্দোলনকারীরা পুলিশের দেয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।
ওই তিন দফা দাবি হলো—
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
ওই লংমার্চে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়।
পাঠকের মতামত
যারা বলত দ্বিতীয় স্বাধীনতা এনেছি। তাদেরকেই স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে হবে।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নেতাদেরকে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বে বসিয়ে দিয়ে ৬ মাসের সময় নির্ধারণ করে দিয়ে বলা হউক, বাংলাদেশের সকল সমস্যা ৬ মাসের মধ্যে সমাধান করতে হবে। না পারলে ফাঁসীর দড়ি গলায় নিতে হবে।