ঢাকা, ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

চবির সমাবর্তনে ড. ইউনূস

কোনোদিন নোবেল পাবো এটা ভাবিনি, কাজ করে গেছি

চবি প্রতিনিধি

(৫ ঘন্টা আগে) ১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ৮:১৮ অপরাহ্ন

mzamin

কোনোদিন নোবেল পাবো এটা ভাবিনি। আমি আমার কাজ করে গেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমার শুরুটা এখান থেকেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আরও বলেন, ঋণ মানুষের মানবিক অধিকার। আগামীর অর্থনীতির ভিত্তি হবে মানুষ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় মাঠে আয়োজিত ৫ম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। দীর্ঘ ১৮ বছর পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তিনি আরও বলেন, ঋণ মানুষের মানবিক অধিকার। যখন কথাটি বলেছিলাম, অনেকেই হাসাহাসি করেছিল। আবার বললাম, আমরা দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাবো। বলল, আপনি কে জাদুঘরে পাঠাবেন? আমি বললাম, আমি আপনার মতোই একজন মানুষ। তখন বলল, এটা আপনার কাজ না, এটা সরকারের কাজ। আমি বললাম, আমি আমার কাজ করি, সরকার আমাকে বাধা দিলে দেখা যাবে। আমরা যে ধরনের বিশ্ব গড়তে চাই, সেই বিশ্ব গড়ার ক্ষমতা সকল মানুষেরই আছে। কিন্তু আমরা গৎবাঁধা পথে চলি বলে নতুন পৃথিবীর কথা চিন্তা করিনা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম শিক্ষক হিসেবে। তবে দিন দিন ছাত্র হয়ে গেছি। চবি দুটি নোবেল পুরস্কারের জন্য গৌরব বোধ করতে পারে। প্রথমত, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকা অবস্থায় ব্যক্তিগতভাবে একটি নোবেল পেয়েছি। আর দ্বিতীয়, যেই গ্রামীণ ব্যাংক সৃষ্টি হলো তার গোড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে পরিষ্কার লেখা আছে, এই ব্যাংকের জন্ম হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। গ্রামীণ ব্যাংকও নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। তাই চবি দু’টি নোবেল পুরস্কারের জন্য গৌরব বোধ করতেই পারে।

সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টাকে ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তন সভাপতি ও চবি ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করেছি। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার জীবনের অর্জনগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক রয়েছে। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গৌরবোজ্জ্বল দিন।

চবি ভিসির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড এসএমএ ফায়েজ, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এছাড়া চবি প্রো-ভিসি (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, শিক্ষক ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া চবির সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ২২ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী। গ্রাজুয়েট ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পদচারণায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status