অনলাইন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
একাট্টা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এখন কাকরাইলে
অনলাইন ডেস্ক
(২ ঘন্টা আগে) ১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ৯:৩৭ অপরাহ্ন

রাতেও অবস্থান ধরে রেখেছেন আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কাকরাইল মোড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নতুন করে যোগ দিয়েছেন কয়েকশ’ শিক্ষক-শিক্ষার্থী। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত আটটি বাসে করে আসেন তারা।
শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কাকরাইল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একাট্টা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীনও।
দুপুরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাটিচার্জ-টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি, এতে শিক্ষকসহ অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন। এসময় তারা বলেন, শিক্ষক-ছাত্রদের উপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার বিচার করতে হবে। ঘাতক পুলিশের বিচার করতে হবে।
এরআগে শিক্ষার্থীরা লং মার্চ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যমুনায় উদ্দেশ্যে আসেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তিন দাবিতে আন্দোলন করছেন। আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
এদিন সকাল ১১ টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। লং মার্চটি গুলিস্থান, মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে আসলে ১২.৪০ এর সময় পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে লং মার্চে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের উপর। এসময় ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয় গরম পানি। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহত প্রায় ৩০ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শিক্ষকদের মধ্যে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ইংলিশ বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেলাল হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকি, প্রক্টর অধ্যাপক ড.তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মোশাররফ হোসেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান ধরে রেখেছেন।
পাঠকের মতামত
আহ কি মজা. মামা বাড়ি আবদার নিয়ে হাজির সবাই । পড়ালেখার নাম নাই. দাবি দাওয়ার অভাব নাই ।
এ অরাজকতা সহ্য করা সমীচীন নয়। আচরণ বিধি লংঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। ঢাকাবাসী এদের উৎপাতে বিরক্ত, জন সমর্থন পাবে না।
এই সরকার কি তোমাদের দাবীর জন্য আসছে
দুঃখজনক। ছাত্র ছাত্রীরা তো আবাসিক সুবিধা নেই জেনেই জবি তে ভর্তি হয়েছে। তাহলে আন্দোলনের নামে জন দূর্ভোগ সৃষ্টি কেন? আজকে ঢাকায় যে কটা আন্দোলন হলো (নার্স - নগর ভবন) সবই অযৌক্তিক।
ঢাকা যেহেতু অচল হয়ে যাচ্ছে বা অচল করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে উপদেষ্টা ও সচিবদের ঢাকা থেকে বিভিন্ন বিভাগে দপ্তর স্থানান্তর করতে হবে।