বাংলারজমিন
সিলেটে সংবাদ সম্মেলন
ভোলাগঞ্জে বিধবার ভূমি থেকে ২ কোটি টাকার পাথর লুট
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবারতিন ছেলেকে নির্মম নির্যাতনের পর পুলিশ দিয়ে আটকে রেখে বিধবার ভূমি থেকে ২ কোটি টাকার পাথর লুটে নিয়েছে ভোলাগঞ্জের আলোচিত বাহার সিন্ডিকেট। এ সময় তারা অস্ত্র দিয়ে এলাকায় ভয়ের রাজত্ব কায়েম করে। এতে সহযোগিতা করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। গতকাল সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সালাতুন নেছা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন- বিএনপি নেতা শওকত আলী বাবুলের নির্দেশে গত ৮ই এপ্রিল সশস্ত্র অবস্থায় পাথরখেকো চক্রের প্রধান যুবদল নেতা বাহার ও চক্রের সদস্যরা তার মালিকানাধীন ভূমিতে জোরপূর্বক পাথর লুটতে নামে। এ সময় সালাতুন নেছার ছেলে বিলাল, হেলাল ও ইউনুছ বাধা দিলে তাদের বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত তিন ছেলে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে লাছুখাল ব্রিজের কাছে ফের হামলা করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে হামলাকারী বাহার, গিয়াস, নাজিম, জুবায়ের, আজিদ, হেকিম মিয়া, হাবিবের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতে রাতে বাহারের ভাই নাজিম উল্টো মামলা করে বিধবার তিন ছেলেকে আসাসি করে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বাহারের মামলা নিলেও বিধবার মামলা গ্রহণ করেননি। পরে তার তিন ছেলেকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর এই সুযোগে বাহার ও চক্রের সদস্যরা ভোলাগঞ্জে সশস্ত্র অবস্থায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিধবার ভূমি থেকে ২ কোটি টাকার পাথর লুট করে নিয়ে যায়। এখনো তাদের লুটপাট অব্যাহত আছে। সংবাদ সম্মেলনে সালাতুন নেছা জানান- ঘটনার পর তিনি ওসি উজায়েরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টির তদন্ত করছে। গত ২০শে এপ্রিল তিনি আদালতে বাহার ও চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ মামলাটি বর্তমানে ডিবি পুলিশের তদন্তে আছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওসি উজায়েরের অপসারণ দাবিসহ বাহার ও তার চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার দাবি করেন। একইসঙ্গে তার ক্ষতিপূরণ আদায়েরও দাবি জানান।