খেলা
সোহান অঙ্কনের জোড়া সেঞ্চুরিতে সিরিজ বাংলাদেশের
স্পোর্টস রিপোর্টার
৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
রংপুর রাইডার্সের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এ দারুণ খেলেছেন নুরুল হাসান সোহান। সেই ফর্ম বজায় ছিলো ঢাকা প্রিমিয়ার লীগেও। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে দারুণ পারফর্ম করে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে জায়গা পেয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার, কাঁধে উঠেছিল নেতৃত্বের ভারও। সেই ফর্মটা তিনি টেনে নিয়ে এসেছেন দেশের জার্সিতে। গতকাল সিলেটে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ৫০ ওভারের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন সোহান। তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন আরেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। দুজনের সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৫ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৪৪ রান। যে সংগ্রহ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে ৮৭ রানের জয়। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে সোহানের দল। সিলেটেই আগামী ১০ই মে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ধবলধোলাই করার লক্ষ্যে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ‘এ’ দল আগের ম্যাচে জিতেছিল বোলিং দাপটে, কিউইদের মাত্র ১৪৭ রানে অলআউট করে। গতকাল নিজেদের সামর্থ্য তুলে ধরেছেন ব্যাটাররা। এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ‘এ’ ১২ রানেই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে (৮) হারায়। এরপর এনামুল হক বিজয় (৩৪ বলে ৩৯) ও মোহাম্মদ নাঈম (৪১ বলে ৪০) আশা দেখিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তারা দুজন ফিরে যাওয়ার পর জুটি বাঁধেন নুরুল হাসান সোহান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। চতুর্থ উইকেটে তাদের করা ২২৫ রানের জুটিতেই তো এই বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত জুটিটা গড়ার পথে সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন দুজনে। অঙ্কনের ১০৫ রানের বিপরীতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১২ রানের ইনিংস খেলেছেন সোহান। ১০১ বলের ইনিংসটি সোহান সাজিয়েছেন সমান ৭ চার ও ছক্কায়। অন্যদিকে অঙ্কন ১০৮ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন ৭ চার ও ৫ ছক্কায়। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক। লক্ষ্য শুরু করতে নেমে ভালো করেছিল নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেল ফিলিপস ও কার্টিস হেফি। ব্যক্তিগত ৫ রানে হেফিকে উইকেটরক্ষক সোহানের ক্যাচ বানিয়ে ৫২ রানের জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জুটি ভাঙলেও নিজের সহজাত খেলাটা ঠিক খেলছিলেন অন্য ওপেনার ফিলিপস। কিউইদের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে যখন দলীয় ৯৯ রানে আউট হলেন তখন তার ব্যক্তিগত রান ৭৯। ৫৪ বলের ইনিংসটি ১৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজান ফিলিপস। তার বিদায়ের পরেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। সেই নিয়ন্ত্রণ এনে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন প্রথম উইকেট নেওয়া সৈকত। দ্রুত আরও ২ উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষের স্কোর দাঁড় করান ১১৬ রানে ৫ উইকেট। পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। শেষ দিকে মিচ হেই ৩৮ রান ও ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধানটা ১০০ রানের নিচে নেমে এনেছেন। প্রতিপক্ষ ২৫৭ রানে অলআউট হওয়ায় ৮৭ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া সৈকতের বিপরীতে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী।