খেলা
আগে নিজ দেশে মূল্যায়ন চান তারেক আজিজ
স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ মে ২০২৫, বুধবার
প্রায় প্রতিটি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশেই বিদেশি কোচদের নিয়োগ হয়। সেই তালিকাতে সবার আগে অগ্রাধিকার পান অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বড় বড় দেশের ক্রিকেটাররা। এমনকি জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মতো দেশের সাবেক ক্রিকেটাররাও বিভিন্ন দেশে কোচিং করান। বাংলাদেশের প্রায় সব প্রধান কোচই আসেন বিদেশ থেকে। এমনকি সহকারী কোচদের বড় একটি অংশই বিদেশি। ভিনদেশে কোচদের তালিকাতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো সাবেক ক্রিকেটারের নাম নেই। বাইরের কোনো দেশ যখন কোচের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন সেখানে প্রধান কোচ তো পরের বিষয় সহকারী কোচের তালিকাতেও নাম থাকে না বাংলাদেশিদের। ভিনদেশে কেন মূল্যায়ন হয় না এদেশের কোচরা? কেন তারা ডাক পান না! তাহলে এদেশে কি কোনো ভালো কোচ নেই? সম্প্রতি জাতীয় দলে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি কোচ কাজ করছেন। বিদেশিদের সঙ্গে তারা তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সেই সুযোগ করে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। আইসিসি’র লেভেল থ্রি কোচের ট্রেনিং করাতেও পাঠিয়েছেন দেশের দুই তরুণ কোচ তারেক আজিজ ও নাসির উদ্দিন ফারুককে। দু’জনই তা সম্পন্ন করে ফিরে এসেছেন। দৈনিক মানবজমিনের মুখোমুখি হয়ে তারেক আজিজ জানিয়েছেন প্রথমবারের মতো আইসিসি’র লেভেল থ্রি কোচের ট্রেনিং শেষে তারা মুখিয়ে আছেন নিজেদের আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার। অন্যদিকে কেন এখনো অন্য দেশে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না এদেশের কোচরা এনিয়ে পেসার তারেক জানিয়েছেন নিজের মতামত। তিনি বলেন, ‘হুম এটা সত্যি যে বিদেশে এখনো আমাদের দেশের কোচদের মূল্যায়ন করা হয় না। বড় বড় দেশগুলোর কোচ হওয়া তো পরের বিষয় ছোট দেশগুলোও আমাদের এখান থেকে কাউকে কোচ করেন না। এটার মূল কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা নিজেদের দেশেই মূল্যায়ন পাই না। তবে দিন বদলেছে বিসিবি এখন আমাদের সুযোগ দিচ্ছে, আশা করি আমরাও একটা সময় দেশ ছাড়িয়ে বাইরে নিজেদের সুনাম কুড়াবো।’
এর আগে দেশে যে ক’জন লেভেন থ্রি কোচিং সম্পন্ন করেছেন তাদের সবাই সনদ পেয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) থেকে। তবে এবারই প্রথম আইসিসি’র লেভেল থ্রি কোচ হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন তারেক ও ফারুক। এমন সুযোগ করে দেয়ার জন্য তারেক ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিসিবিকে। জানিয়েছেন দারুণ এক অভিজ্ঞতার কথাও। তিনি বলেন, ‘এমন একটা সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিসিবিকে অবশ্য ধন্যবাদ দিতে হয়। এর আগে যারা সবাই এসিসি’র মাধ্যমে লেভেল থ্রি কোচ এর ট্রেনিংটা সম্পন্ন করেছে। এবারই প্রথম আমাদের দু’জনকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। ভুটানে আমাদের সঙ্গে এই ট্রেনিংয়ে বিভিন্ন দেশের ১৯ জন ক্রিকেটার ছিলেন। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়সুরিয়াও আমাদের সঙ্গে লেভেল থ্রি কোচের ট্রেনিং নেয়। সত্যি কথা বলতে আমরা যদি লেভেল থ্রি সম্পন্ন না করি তাহলে অন্য দেশের প্রধান কোচ হিসেবে আবেদনও করতে পারবো না। এটি আমাদের জন্য দারুণ একটি অভিজ্ঞতাও বলবো। সেখানে আমরা শিখেছি জাতীয় দলের সঙ্গে কীভাবে কাজ করতে হয়। একটি দলকে কীভাবে এগিয়ে নিতে হয়। সেই ধাপগুলো কি কি তা আমরা শিখেছি। এখন আমাদের সুযোগ এসেছে এই অভিজ্ঞতা দেশের জন্য কাজে লাগানোর।’ দেশ ছাড়িয়ে নিজেদের কোচিং দক্ষতার প্রমাণ রাখতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত হতে হবে বলেও মনে করেন দেশের সাবেক পেসার। তিনি বলেন, ‘আসলে এখন আমাদের অনেক সুযোগ এসেছে। আগে দেশে কাজ করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ভালো কাজ করলে অবশ্য বাইরেও আমাদের প্রশংসা হবে। নিজেদের যদি অভিজ্ঞতা দিয়ে কোচিং পেশাতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তবেই না সুযোগের ক্ষেত্র বাড়বে। আশা করি যা শিখেছি যেখানেই কাজ করার সুযোগ আসবে সেখানে তা আন্তরিকতার সঙ্গে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবো।’