খেলা
ইতালির হয়ে ইউরো জিতেই ফেলেছিলেন রাফিনহা!
স্পোর্টস ডেস্ক
৭ মে ২০২৫, বুধবার
ব্রাজিল জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর থেকেই সেলেসাওদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাফিনহা। খেলে ফেলেছেন ৩৩ ম্যাচও। তবে এই ব্রাজিলিয়ান তারকাই ইতালি জাতীয় দলের হয়ে খেলার একদম দ্বারপ্রান্তেই ছিলেন। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২০-এ ইতালিয়ানদের হয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা তুলে ধরতেন তিনি। সম্প্রতি স্বদেশি সাংবাদিক ইসাবেলা পাগলিয়ারির চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাফিনহা জানান, শুধুমাত্র পাসপোর্টটা সময়মতো এলে এখন হয়তো তাকে ইতালির দলেই দেখা যেতো! রাফিনহার জন্ম ব্রাজিলের পোর্তো আলেগ্রেতে। তার বাবা রাফায়েল দিয়াস বেলোল্লি ইতালিয়ান নাগরিক। বেলোল্লি ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত হওয়ায় তার ছেলেও ইতালি জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্য হন। দেশটির পাসপোর্ট আছে রাফিনহারও। তবে সেটি আসতে দেরি হওয়ার কারণে ইতালির হয়ে খেলা হয়নি তার। বার্সেলোনা তারকা জানিয়েছেন, ২০২০ ইউরো সামনে রেখে তাকে পাইপলাইনে রেখেছিল ইতালির ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি)। মনে মনে প্রস্তুত ছিলেন নিজেও। তবে সময়মতো পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় দুইয়ে-দুইয়ে মেলেনি। সেবার শিরোপা ঘরে তোলে ইতালিয়ানরাই। কোভিডের কারণে ২০২০ ইউরো পিছিয়ে নেয়া হয় পরের বছরে, একাধিক দেশে তা অনুষ্ঠিত হয় ১১ই জুন থেকে পরের এক মাস। ফাইনালে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচটিতে টাইব্রেকারে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। এ নিয়ে ইসাবেলা পাগলিয়ারির চ্যানেলকে রাফিনহা বলেন, ‘ইতালি জাতীয় দলের ডাকে সাড়া দেয়ার খুব কাছেই ছিলাম। ইউরোতে খেলার কথা ছিল, যেটা তারা জিতেছে ২০২০-এ। আমি যেতে প্রস্তুত ছিলাম, পাসপোর্ট পাইনি।’ রাফিনহার বর্তমান ক্লাব বার্সার পরিচালক ও তাদের সাবেক মিডফিল্ডার ডেকোও ২০২১-এ জানান যে, এর আগের বছর ইতালিয়ান ফেডারেশন থেকে রাফিনহার জন্য খুব তোড়জোড় করে খবর নেয়া হচ্ছিলো। রবার্তো মানচিনির ইউরোজয়ী সেই দলে ব্রাজিলিয়ান-ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত আরও যারা ছিলেন তারা হলেন- মিডফিল্ডার জর্জিনহো এবং দুই ডিফেন্ডার এমারসন পালমিয়েরি ও রাফায়েল তোলোই। তাদের সঙ্গেও সে সময় ফোনে কথা হয়েছে বলে জানান রাফিনহা। তবে ইতালিয়ানদের এমন প্রস্তাবে খুশি হওয়ার পাশাপাশি রাফিনহার মনে জন্মভূমি ব্রাজিলের হয়ে খেলার আশাও ছিল। সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একই সময়ে আমি ব্রাজিলের জার্সি পরার আশাও মনে পুষে রাখি। সৌভাগ্যবশত আমি সময়মতো ইতালির পাসপোর্ট হাতে পাইনি।’ সেবারের ইউরো শেষেই ২০২১-এ সেলেসাওদের দলে ডাক পান রাফিনহা। এ পর্যন্ত হলুদ জার্সিতে ৩৩ ম্যাচে গোল করেছেন ১১টি ও অ্যাসিস্ট ৭টি।