খেলা
চুক্তিতে ফিরলেন বিদ্রোহী ১৮ নারী ফুটবলার
স্পোর্টস রিপোর্টার
৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবারগত ৩০শে জানুয়ারি কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তার অধীনে অনুশীলনে অস্বীকৃতি জানান সাবিনাসহ ১৮ নারী ফুটবলার। দুইবার আলোচনা করেও লাভ না হওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে ৩৬ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তি করে বাফুফে। তবে অবশেষে অভিমান ভুলে চুক্তিতে এসেছে বিদ্রোহী ফুটবলাররাও। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি বলেন, বাকি ১৮ জন খেলোয়াড় গত সপ্তাহে ছয় মাসের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। চুক্তির মেয়াদ স্বাক্ষরের তারিখ থেকেই কার্যকর হয়েছে। এর ফলে চুক্তিবদ্ধ নারী ফুটবলারের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ৩৬ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এই মেয়াদি চুক্তি করেছিল দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলারের মধ্যে বর্তমানে ৮ জন কোচ পিটার বাটলারের অধীনে ঢাকায় চলমান ক্যাম্পে অনুশীলন করছেন। বাকি ১০ জন বর্তমানে খেলছেন ভুটানের নারী ফুটবল লীগে। গত সপ্তাহে সেখানে চুক্তির কপি পাঠিয়েছিল বাফুফে। ভুটান বসেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ১০ নারী ফুটবলার। তারা হলেন সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মানডা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভিন, কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার (সিনিয়র) ও মাতসুশিমা সুমাইয়া।
এই ১৮ জনের মধ্যে দশ বারো জনের বেতন ৫ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে ৫৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। বাকিদের বেতন ২৫ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা করে ধরা হয়েছে। প্রথম দফায় চুক্তিতে আসা ৩৬ জনের বেতন ৬টি শ্রেণিতে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার, ২৫ হাজার, ২০ হাজার, ১৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা করে ধরা হয়েছিল। মূলত, বিদ্রোহের অবসান ঘটে মার্চের শেষদিকে, যখন ঈদের ছুটি শেষে বিদ্রোহীরা বাটলারের অধীনে পুনরায় অনুশীলনে ফিরতে সম্মত হন। এখন সামনে রয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। আগামী ৩১ মে তারা মুখোমুখি হবে জর্ডানের, এরপর ৩ জুন খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। জানাগেছে এই ম্যাচের জন্য ভুটানে খেলতে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচ জনকে ডেকেছেন পিটার বাটলার। দ্রুতই পিটারের ক্যাম্পে যোগ দেয়ার কথা মনিকা, মারিয়া, রুপনা, শামসুন্নাহার ও ঋতুপর্ণার।