ঢাকা, ৫ মে ২০২৫, সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

হেফাজতের ২০৩ মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু

অনলাইন ডেস্ক

(৬ ঘন্টা আগে) ৫ মে ২০২৫, সোমবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

mzamin

আজকের পত্রিকা

‘হেফাজতের ২০৩ মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা ২০৩টি মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য থানাগুলোতে তদন্ত শুরু হয়েছে, দেওয়া হবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন। যেসব মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর নিষ্পত্তি হবে আদালতের মাধ্যমে।

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সাত জেলায় ৮৩টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় ৩ হাজার ৪১৬ জনের নামোল্লেখসহ ৮৪ হাজার ৯৭৬ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। ১৮টি মামলার অভিযোগপত্র দিলেও এগুলোর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

হেফাজতের নেতারা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতেই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) মামলাগুলো প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা হয়নি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আশার আলো দেখছেন তাঁরা।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সরকারের মন জোগাতে এসব মামলা করেছিলেন। এখন আর হয়রানির জায়গা নেই। মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশনা এসেছে।

সূত্র বলেছে, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৫৪টি মামলা করা হয়। তবে অধিকাংশ মামলার তদন্ত থেমে ছিল। এখন সেগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি সেগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করা হবে। অভিযোগপত্র দাখিল হওয়া মামলাগুলো আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক সাগর এ বিষয়ে বলেন, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য যে কেউ আবেদন করতে পারবেন। এরপর ওই কমিটি যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ করবে, প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত শনিবার হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ থেকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হয়। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের আমলে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রথম আলো

‘করিডর’ নিয়ে চুক্তি হয়নি-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ‘মানবিক করিডর’ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মানবিক করিডর নিয়ে কোনো আলোচনা করিনি। আমরা মানবিক করিডর কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি করিনি।’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহায়তা পৌঁছাতে মানবিক করিডর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ কথা জানান। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) অডিটরিয়ামে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত ২৭ এপ্রিল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাখাইনে মানবিক সহায়তার বিষয়ে সরকারের ‘নীতিগত সিদ্ধান্তের’ কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর ওই বক্তব্যের সপ্তাহ না পেরোতেই সরকারের ভিন্ন অবস্থানের কথা জানালেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

‘মানবিক করিডর’ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মানবিক করিডর নিয়ে কোনো আলোচনা করিনি। আমরা মানবিক করিডর কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি করিনি।’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহায়তা পৌঁছাতে মানবিক করিডর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ কথা জানান। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) অডিটরিয়ামে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত ২৭ এপ্রিল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাখাইনে মানবিক সহায়তার বিষয়ে সরকারের ‘নীতিগত সিদ্ধান্তের’ কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর ওই বক্তব্যের সপ্তাহ না পেরোতেই সরকারের ভিন্ন অবস্থানের কথা জানালেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

যুগান্তর

দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘১৪শ শহিদ পরিবার নিখোঁজ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, মহান স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। এরমধ্যে অসংখ্যবার কাটছাঁট হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা। দলীয় বিবেচনায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ সুবিধা। অথচ রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে শহিদ প্রায় ১৪শ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের খোঁজ রাখেনি কেউ। অন্তর্বর্তী সরকার এসব নিখোঁজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার খুঁজে বের করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের নিয়ে একটি পৃথক তালিকা তৈরি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকায় ২ বীরশ্রেষ্ঠ, ৫ বীর বিক্রম ও ২ বীর প্রতীকের নাম আছে। সেই তালিকা যুগান্তরের হাতে পৌঁছেছে।

নিখোঁজ শহিদ পরিবারের সন্ধান করে প্রাপ্য সম্মান বুঝিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে মনে করছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি যুগান্তরকে বলেন, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা কোথায় আছেন কেউ জানেন না। এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। কোনো সরকার এসে তাদের খোঁজ নেয়নি। যে যার মতো ক্ষমতায় এসেছে আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করেছে। আমরা এসব নিখোঁজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার চিহ্নিত করে তাদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে চাই। এরজন্য যা যা করণীয় আমরা করব।

গেজেট অনুযায়ী শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৭৫৭ জন। এর মধ্যে ভাতা গ্রহণ করছেন ৫৩৫৮ জনের পরিবার। বাকি ১৩৯৯ জনের পরিবারের হদিস নেই। তাদের খুঁজতে মাঠ প্রশাসনকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিভাগ, জেলা, উপজেলাভিত্তিক নিখোঁজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। দ্রুত এসব তালিকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনে পাঠানো হবে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি, শহিদের সহযোদ্ধা ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন প্রকৃত ওয়ারিশ নির্ধারণ করবেন।

কালের কণ্ঠ

‘আমদানি হ্রাসে শিল্পে বিপর্যয়’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আমদানিতে লাগাম টানার চড়া মূল্য দিচ্ছে দেশের শিল্প খাত। রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানিতে লাগাম টেনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা দীর্ঘ সময় অব্যাহত ছিল। এতে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি কমেছে। এর অর্থ হলো বিনিয়োগ কম হচ্ছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, আমদানি কমিয়ে ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অর্থনীতির জন্য হিতে বিপরীত হয়েছে। ডলার সংকটে কাঁচামাল আনতে না পেরে, চড়া মূল্য দিয়েও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি না পেয়ে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো কারখানা সক্ষমতার অর্ধেক কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফলে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় খেলাপিতে পরিণত হয়ে পড়ছেন ভালো ঋণগ্রহীতারাও।

এমন পরিস্থিতিতে গভীর সংকটের মুখে পড়েছে বেসরকারি খাত। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান—সব নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতের জন্যই উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমার কারণ চলমান অনিশ্চয়তা। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়নি, কারখানায় জ্বালানি নিরাপত্তা নেই, ব্যাংকঋণের সুদহার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৬ শতাংশ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা স্বস্তি বোধ করছেন না। এমন পরিবেশে বিনিয়োগ হওয়ার কোনো কারণই নেই।  অনিশ্চয়তার মধ্যে কেউ বিনিয়োগ করবেন না।

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘ইসিতে নিবন্ধন পেতে তৎপর নামসর্বস্ব ৬৫ রাজনৈতিক দল’। খবরে বলা হয়, নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে নামসর্বস্ব অনেক রাজনৈতিক দল। এসব দলের কোনোটির নেই কার্যকরী কমিটি; কোনোটি আছে শুধুই কাগজ-কলমে। আবার কোনো দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তো দূরের কথা, সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এখন পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ৬৫টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক দলই গঠিত হয়েছে গত বছর ৫ আগস্টের পর। এসব দলের অফিস ও ঠিকানা, সাংগঠনিক কার্যক্রম খুঁজে বের করা এবং নথি-সংবলিত সব ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে মাঠে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির কাছে আবেদন করে নিবন্ধন পায়নি ৮৭টি দল। তারাও তাদের আবেদন পুনর্মূল্যায়নের জন্য ইসিকে অনুরোধ জানিয়েছে। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৫টি।

অন্যদিকে, নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ৪৬টি দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ এপ্রিল আগামী ২২ জুন পর্যন্ত দুই মাস সময় বাড়ায় ইসি।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে পরিকল্পনা করবে ইসি।

ইত্তেফাক

‘ইঞ্জিন-সংকটে পূর্বাঞ্চলে ৩২ ও পশ্চিমাঞ্চলে ৩৮ ট্রেন বন্ধ’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ও কোচ-সংকটের কারণে সারা দেশে স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বে বন্ধ রয়েছে ৭০টি ট্রেন। এর মধ্যে ৩৩টি কমিউটার ট্রেন, ২১টি লোকাল, ১০টি মিশ্র, চারটি মেইল ও দুইটি শাটল ট্রেন।  রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইঞ্জিন ও কোচ-সংকট এবং জনবল স্বল্পতার কারণে সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ ট্রেনের মধ্যে সান্তাহার-পঞ্চগড় রুটের উত্তরবঙ্গ মেইল বন্ধ হওয়া ট্রেনগুলোর একটি। ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় সারা দেশেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর অন্যগুলো চালু হলেও ট্রেনগুলো তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে।

পূর্বাঞ্চলে বন্ধ ৩২টি ট্রেন: সংস্থাটির তথ্য বলছে, পূর্বাঞ্চল রেলে বন্ধ রয়েছে মোট ৩২টি ট্রেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটের দুটি লোকাল, ময়মনসিংহ-ভৈরববাজার রুটের চারটি লোকাল, সিলেট-ছাতকবাজার রুটের চারটি লোকাল, আখাউড়া-সিলেট রুটের দুইটি মেইল, লাকসাম-চাঁদপুর রুটের দুইটি কমিউটার, লাকসাম-নোয়াখালী রুটের দুইটি কমিউটার, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটের ছয়টি কমিউটার, চট্টগ্রাম-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রুটের চারটি কমিউটার, ঢাকা-হাই-টেক সিটি রুটের দুইটি কমিউটার ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের চারটি কমিউটার ট্রেন।

পশ্চিমাঞ্চলে বন্ধ ৩৮টি ট্রেন: পশ্চিমাঞ্চল রেলে গোয়ালন্দ-ঈশ্বরদী ও ঈশ্বরদী রাজবাড়ী রুটে একটি করে মিশ্র ট্রেন, রাজবাড়ী-গোয়ালন্দঘাট রুটে একটি লোকাল, ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর রুটে দুটি লোকাল, পার্বতীপুর-চিলাহাটি রুটে দুটি মিশ্র, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে দুটি শাটল, রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রুটে দুটি কমিউটার, ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে দুটি কমিউটার, সান্তাহার-পঞ্চগড় রুটে দুটি মেইল, পার্বতীপুর-লালমনিরহাট রুটে দুটি কমিউটার, পার্বতীপুর-পঞ্চগড় রুটে দুটি কমিউটার, লালমনিরহাট-পার্বতীপুর রুটে দুটি কমিউটার, রংপুর-লালমনিরহাট রুটে একটি কমিউটার, কাউনিয়া-রমনাবাজার রুটে একটি কমিউটার, রমনাবাজার-রংপুর রুটে আরো একটি কমিউটার ট্রেন বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে লালমনিরহাট পার্বতীপুর রুটে দুইটি করে লোকাল ও মিশ্র ট্রেন, পার্বতীপুর-পঞ্চগড় রুটে দুটি করে লোকাল ও মিশ্র ট্রেন, লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে দুটি করে লোকাল ও মিশ্র ট্রেন এবং সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে দুটি লোকাল ট্রেন।

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ‘মিয়ানমারের সাথে প্রক্সিযুদ্ধে জড়াবে না বাংলাদেশ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অন্যান্য অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বলেছেন, মানবিক করিডোরের নামে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মিয়ানমারের সাথে কোনো প্রক্সি যুদ্ধে বাংলাদেশ জড়াবে না। এটা নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা নিছকই অপতথ্য ও গুজব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশটিতে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরি হোক, এমন কিছুই বাংলাদেশ করবে না। এ ব্যাপারে মিয়ানমারকে আশ্বাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন: আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ও ভবিষ্যৎ’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

‘মানবিক করিডোর’ ইস্যুতে সাম্প্রতিক বিতর্ক প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান বলেন, এটি কোনো করিডোর নয়। আমরা শুধু মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে একটি ‘চ্যানেল’ গঠন নিয়ে আলোচনা করেছি। করিডোর আর চ্যানেল এক বিষয় নয়। মানবিক চ্যানেল বাস্তবায়িত হলে তা জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এবং শুধু ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে ব্যবহৃত হবে।

ড. খলিল আরো বলেন, ‘রাখাইনে কোনো ধরনের মানবিক তৎপরতা পরিচালনার জন্য উভয় পক্ষের সম্মতি আবশ্যক।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘আরাকান আর্মি ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে-কিভাবে যুদ্ধবিরতি হবে, যখন তাতমাদাও (মিয়ানমার সেনাবাহিনী) এখনো বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সাথে আলোচনা করেছি। তারা বলেছে, যদি আরাকান আর্মি স্থল অভিযান বন্ধ করে, তবে তারা বিমান হামলা চালাবে না। এরপর সংঘর্ষ হয়নি, বিমান হামলাও হয়নি। যুদ্ধে একটি বিরতি এসেছে, এটাই এ পর্যন্ত অর্জন।’

বণিক বার্তা

‘পাঁচ বছরে কৃষিজমি কমেছে ২ শতাংশ, চালের উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ২%’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে বাড়ছে না খাদ্যশস্যের উৎপাদন। কৃষিজমি হ্রাস, উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের অভাব, কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি এবং সে অনুপাতে কৃষক আয় করতে না পারাসহ নানা কারণ কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে। আর তাতে গত কয়েক বছর দেশের কৃষি খাত এক প্রকার অচলায়তনে রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বড় ধাক্কা লাগতে পারে দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ধানের আবাদ হয়েছিল ১ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ১ কোটি ১৫ লাখ হেক্টরে। আর সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আবাদকৃত জমি ১ কোটি ১৪ লাখ হেক্টরে নেমে আসে। অর্থাৎ সর্বশেষ পাঁচ বছরে আবাদকৃত জমির পরিমাণ কমেছে প্রায় ২ শতাংশ। এভাবে প্রতি বছরই কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। এর বিপরীতে পাঁচ বছরে হেক্টরপ্রতি ফলন বেড়েছে কেবল ৪ শতাংশ। আর চাল উৎপাদন মাত্র ২ শতাংশ বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের দুই-তিন ফসলি জমি নানাভাবে অকৃষিকাজে ব্যবহার হচ্ছে। অথচ আইনে কৃষিজমিকে অন্য কাজে ব্যবহারের সুযোগ নেই। কিন্তু সে আইনের কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। আর কৃষকের ন্যায্যমূল্যও বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে হবে না। সরকারকে উদ্যোগী হয়ে মূল্যসহায়তা দিতে হবে। কেননা সিন্ডিকেটের সঙ্গে কৃষক পেরে ওঠেন না। এতে পরের বছর একই পণ্য উৎপাদনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন তারা।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর ‘ভুয়া ঠিকানায় দলের ছড়াছড়ি’। খবরে বলা হয়, ঢাকার ওয়ারীর ২৭ শশীমোহন বশাক লেন। এই ঠিকানা দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনে ‘বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি (বাজাপা)’ নামে একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চেয়েছেন ড. সৈয়দ জাভেদ মো. সালেহউদ্দিন। তিনি নিজেকে পার্টির সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন নিবন্ধন আবেদনে। কিন্তু সরেজমিনে এই ঠিকানায় কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয় পাওয়া যায়নি। বাড়ির নামফলকে দেওয়া রয়েছে মো. মমিনউদ্দিনের নাম।

বাড়ির ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি’ নামে কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এখানে কখনোই ছিল না; এখনো নেই। তবে এই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক বলেন, সালেহউদ্দিন এই বাড়ির জামাই। তবে তাকে কখনো দেখিনি। কেন তিনি এই বাড়ির ঠিকানায় দলের কার্যালয় দেখিয়েছেন সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ ছাড়া বাড়ির আশপাশের লোকজনও জানেন না এই বাড়ির ঠিকানায় কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয় রয়েছে।

চট্টগ্রামের ২২০/বি, জুবিলি রোডের ঠিকানা ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশনে ‘জনতা কংগ্রেস পার্টি’ নামে দলের নিবন্ধন চেয়েছেন মোহাম্মদ আরমান আলী। তিনি নিজেকে পার্টির সুপ্রিম লিডার হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন নিবন্ধন আবেদনে। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েত বাজার এলাকার জুবিলি রোডের ওই ঠিকানায় গিয়ে ‘জনতা কংগ্রেস পার্টি’ নামে কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে ২২০-বি, জুবিলি রোডের এই ঠিকানায় গোলাপ জান মার্কেট নামে একটি পাঁচতলা ভবন আছে। ভবনের নিচ তলায় বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ড্রিল মেশিনের ওয়ার্কশপ ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিক্রির দোকানের ভাড়া গোডাউন। তৃতীয় তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ফ্লোরে আবাসিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ভবনটিতে কোনো রাজনৈতিক দলের অফিস তো দূরের কথা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসও নেই। এই চিত্র নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করা অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের অফিসের ঠিকানার। ইসির কাছে দেওয়া ঠিকানায় অনেকের অফিস নেই।

পাঠকের মতামত

হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চার্জশীট বা বিচারিক প্রক্রিয়ার কোন প্রয়োজন নাই। এগুলা যে ভুয়া মামলা সেটা তো পরিষ্কার। কারণ রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত, নামাজরত, তেলাওয়াতরত অবস্থায় নিরীহ হেফাজত নেতা কর্মীদের উপর গণহত্যা করা হলো আবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলো। যারা মার্ খায় তাদের বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে? কোন যুক্তিতে হবে? মামলা তো হবে যারা মারলো তাদের বিরুদ্ধে। যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অতএব হেফাজতের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য কোন আইনি প্রক্রিয়ার দরকার আছে বলে মনে করি না। এগুলা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা সেটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার।

Mohammed Rafiqul Isl
৫ মে ২০২৫, সোমবার, ১২:৪০ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status