খেলা
৩ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করে আবরারের চোখ বিশ্বকাপে
স্পোর্টস রিপোর্টার
৪ মে ২০২৫, রবিবার
শ্রীলঙ্কায় রীতিমতো উড়ছে জাওয়াদ আবরারের ব্যাট, সঙ্গে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলও। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা ৩ ম্যাচে পাত্তাই পেলো না লঙ্কান যুবারা। আবরারের সেঞ্চুরিতেই দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরা জুনিয়র টাইগাররা। এবার গতকাল তার আরেকটি রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে আরও একবার লঙ্কান যুবাদের পরাস্ত করলো বাংলাদেশ।
কলম্বোতে গতকাল যুব ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৪৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৮ উইকেটে ৩৩৬ রান। ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৫ বলে ১১৩ রান করেন আবরার। যুব ওয়ানডেতে একাধিক সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের চতুর্থ ওপেনার তিনি। দেশের বাইরে যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটি। দেশের মাঠেও এর চেয়ে বড় ইনিংস আছে স্রেফ একটি। ২০১৯ সালে লঙ্কানদের বিপক্ষে চট্টগ্রামে রান ছিল ৩৪০। রান তাড়ায় শুরু থেকে ধুঁকতে ধুঁকতে শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত করতে পারে ১৯০ রান। ছয় ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের পরের ম্যাচ আগামীকাল। তবে ম্যাচে লঙ্কান বোলারদের ওপর যতটা অবলীলায় বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন আবরার, ক্যামেরার সামনে ঠিক ততটাই লাজুক তিনি। সেঞ্চুরি আর ম্যাচ জয়ের অনুভূতির প্রশ্নে আবরার বলেন, ‘দেশের হয়ে সেঞ্চুরি করতে পেরেছি তাও ৩ ম্যাচে ২টা, ভালো লাগছে। দল আমার জন্য জিতেছে, আমার কন্ট্রিবিউশন ছিল সবমিলিয়ে আমি খুশি।’
শ্রীলঙ্কায় সিরিজ খেললেও আবরারের চোখ এখনই বিশ্বকাপে। পরের লক্ষ্য নিয়ে বলতে গিয়ে এই ডানহাতি ওপেনার বলেন, ‘আমাদের বিশ্বকাপ আছে সামনে। আমাদের দলটাও অনেক ব্যালেন্সড, ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব মিলিয়ে দারুণ। ইনশাআল্লাহ্ আমরা দেশের জন্য ভালো কিছুই করবো।’ কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে রান তাড়ায় শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লঙ্কানরা। ওপেনার দুলনিথ সিগেরাকে শূন্য রানে ফেরান আল ফাহাদ, আরেক ওপেনার রেহন পেইরিসকে ১ রানেই থামান অভিষিক্ত সানজিদ মজুমদার। চামিকা হিনাটিগালা চেষ্টা করছিলেন পাল্টা আক্রমণের। সাত চারে ১৮ বলে ৩০ রান করা ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে দেন ফাহাদ। ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। অধিনায়ক দেনুরা দিনসারা লড়াই করে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন ৭২ বলে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন বাংলাদেশের আবরার। ম্যাচের প্রথম বলেই চার দিয়ে শুরু করেন জাওয়াদ, তৃতীয় বলে বল বাউন্ডারিতে পাঠান তিনি আরেকবার। ম্যাচের প্রথম ছক্কাটি মারেন চতুর্থ ওভারেই। কালাম সিদ্দিকীর সঙ্গে প্রথম সাত ওভারে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় রান তোলেন ৪৯। ২৪ বলে ১৯ রান করে কালামের বিদায়ে ভাঙে শুরুর জুটি। ম্যাচের সবচেয়ে বড় জুটি আসে জাওয়াদ ও রিজান হোসেন চতুর্থ উইকেটে, দু’জনে যোগ করেন ১৩৫ রান। ৪৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করা আবরার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৯৫ বলে। বাংলাদেশের হয়ে যুব ওয়ানডেতে দু’টি করে সেঞ্চুরি করা ওপেনার তার আগে আছে কেবল অমিত মজুমদার, পিনাক ঘোষ ও সাইফ হাসান। রিজান যুব ওয়ানডেতে প্রথম ফিফটির স্বাদ পান ৪৯ বলে। শেষ ৬ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৮৫ রান। ৩ ছক্কায় ৮ বলে ২৩ করেন সামিউন বশির, ৯ নম্বরে নেমে ৫ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন আল ফাহাদ।