বাংলারজমিন
নবীগঞ্জে সাবেক এমপিকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে
৩ মে ২০২৫, শনিবার
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য আলহাজ শেখ সুজাত মিয়াকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে জামিল হোসেন রানা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর এলাকার তিমিরপুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলাকারীকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শেখ সুজাত মিয়ার চাচাতো ভাই শেখ শিপন বাদী হয়ে পুলিশের নিকট আটক জামিল হোসেন রানাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ৭ জনকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। পুলিশ ও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সুজাত মিয়ার সঙ্গে পৌর এলাকার তিমিরপুর গ্রামের আহমদ মিয়ার ছেলে জামির হোসেন রানার বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় সুজাতের সঙ্গে থাকা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নিতাকর্মী জামিলের ওপর চড়াও হয়। এ সময় জামির হোসেন রানাও একটি রামদা নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এ সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জামিলকে নিবৃত করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র সহযোগী সংগঠন শ্রমিক দল, যুবদল ও ছাত্রদল একাংশের নেতকর্মীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এর কিছুক্ষণ পর শহরের হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত শেখ সুজাত মিয়ার বাসায় রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন অগুন নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদশন করে। এ সয়ম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের তরফে কোনো প্রকার মন্তব্যে অপারগতা প্রকাশ করে।
এ নিয়ে সাবেক এমপি সুজাত বলেন, শ্রমিক দলের উদ্যোগে মে দিবসের আলোচনা সভা ও র্যালি শেষে গাড়িতে ওঠার সময় কয়েকজন যুবক পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার সঙ্গে নেতাকর্মী থাকায় আমি রক্ষা পেয়েছি। জমি নিয়ে বিরোধ নিয়ে বাকবিতণ্ডার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার পৈতৃক সম্পদ। ওদিকে, দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, জমির মালিকানা সূত্রে পুলিশের নিকট আটক জামির হোসেন রানার পরিবার প্রতিবারের ন্যায় এবারো চাষাবাদ করে। বৃহস্পতিবার মে দিবসের নামে উপজেলা শ্রমিক দলের ব্যানার নিয়ে ও জমিতে ধান কাটতে গেলে সাবেক এমপি’র সঙ্গে রানার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এটিকে রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেয়াকে দুঃখজনক হিসেবে অভিহিত করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ ছাড়াও আটক জামিল হোসেন রানার যুবলীগ সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক পদবি খুঁজে পাওয়া যায়নি।