বিশ্বজমিন
কানাডার জাতীয় নির্বাচনে কার্নির লিবারেল পার্টির জয়
মানবজমিন ডেস্ক
(৭ ঘন্টা আগে) ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫৬ অপরাহ্ন

কানাডার জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে মার্ক কার্নি নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় জোরালো ভূমিকা রাখতে দলটির যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন তা এখনও পূরণ হয়নি। ভিন্ন এক রাজনৈতিক পরিবেশে সোমবার ভোট দিয়েছে কানাডার জনগণ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, কানাডার হাউস অব কমন্সের জন্য মোট নির্বাচনী আসনের সংখ্যা ৩৪৩টি। এর মধ্যে কোনো দল যদি ১৭২টি আসনে জয় পায় তাহলে তারা হাউস কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এক্ষেত্রে ছোট ছোট দলগুলোর সমর্থন ছাড়াই তারা দেশ শাসনের সুযোগ পায়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এখনও ভোট গণনা শেষ হয়নি। তবে বুথ ফেরত ফলাফল থেকে জানা গেছে- লিবারেলরা ১৬১টি আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে কনজারভেটিভরা পেয়েছে ১৫০টি আসন। কানাডার সর্বপশ্চিমের প্রদেশ হচ্ছে বৃটিশ কলাম্বিয়া। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে এখানে ভোটগ্রহণ চলেছে। এই প্রদেশের ওপরই লিবারেলদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ভাগ্য ঝুলে আছে। এখানে বলে রাখা ভালো, কানাডার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কোনো সরকারই আড়াই বছরের বেশি স্থায়ী হয় না।
জরিপকারী সংস্থা অ্যাঙ্গাস রিড ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট শচি কুর্ল রয়টার্সকে বলেছেন, লিবারেলদের জয়ের পেছনে তিনটি বিষয় কাজ করেছে। সেগুলো হচ্ছে বিরোধী কনজারভেটিভ দল, ট্রাম্পের শুল্ক এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ট্রুডোর সরে যাওয়া। এসব কারণেই অনেক বামপন্থী ও ঐতিহ্যবাহী উদারপন্থী ভোটারদের দলে ধরে রাখতে পেরেছে লিবারেলরা। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী বিষয় ছিল দিন দিন অজনপ্রিয় হয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ।
এ বছরের শুরুতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেশ কিছু মন্তব্য কানাডার জনগণের মধ্যে দেশ প্রেমের গতি বাড়িয়ে দেয়। তার মধ্যে একটি ছিল- কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব। সেসময় এর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন কার্নি। পাশাপাশি তিনি কানাডার ওপর ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের বিষয়ে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেন এবং তা মোকাবিলা করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমাতে কানাডাকে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করতে হবে। তবে সেসময় টানা নয় বছরের উদারপন্থী শাসনের অবসানের জন্য কার্নির কিছুটা বিরোধীতা করেছিলেন রক্ষণশীলরা।
মার্ক কার্নি পূর্বে ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর ছিলেন এবং সম্প্রতি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন এবং লিবারেলদের মধ্যমপন্থি অবস্থানকে সামনে এনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ, শুল্ক বৃদ্ধি এবং কৌশলগত হুমকিকে কাজে লাগিয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন তিনি।