অনলাইন
সহযোগীদের খবর
অপরাধের সব সূচক বাড়ছে
অনলাইন ডেস্ক
(১০ ঘন্টা আগে) ২৬ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:১২ অপরাহ্ন

সমকাল
দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘অপরাধের সব সূচক বাড়ছে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এমন উদ্বেগের কথা শোনা যায়। পুলিশের গত তিন মাসের অপরাধবিষয়ক পরিসংখ্যান তাদের উদ্বেগকে জোরালোভাবে সমর্থন করছে। এই পরিসংখ্যান অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাকেও তুলে ধরছে।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সংঘটিত অপরাধের ঘটনায় করা মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়– খুন, অপহরণ, ডাকাতি, ছিনতাইসহ ছয় ধরনের অপরাধ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে। যদিও গত বছরের এই সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমান সময়ের বড় ধরনের পার্থক্য আছে। ফারাক আছে পুলিশের সামর্থ্যের জায়গায়ও।
সারাদেশের সব ধরনের অপরাধের তথ্য নথিভুক্ত করে পুলিশ সদরদপ্তর। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শুধু হত্যার ঘটনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে মামলা হয়েছে ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি এবং মার্চে ৩১৬টি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে সারাদেশে হত্যা মামলা নথিভুক্ত হয়েছে যথাক্রমে ২৩১, ২৪০ ও ২৩৯টি। গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের মার্চে হত্যা মামলা বেশি হয়েছে ৭৭টি। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বেশি হয়েছে যথাক্রমে ৬৩ ও ৬০টি।
যদিও পুলিশের ভাষ্য, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা মামলা করতে পারেননি, এমন বেশ কিছু ঘটনার মামলা নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ কারণে সংখ্যা বেড়েছে। পুলিশে দেওয়া হিসাবমতে, জানুয়ারিতে এ ধরনের পুরোনো ঘটনার মামলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৫৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৪৮টি এবং মার্চে আগের ঘটনার ৭৭টি মামলা যুক্ত হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম ও পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার সুযোগ নেয় দুর্বৃত্তরা। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। কিন্তু সরকারের আট মাস পার হয়েছে। এখন অপরাধের যে চিত্র, তাকে উদ্বেগজনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, পুলিশকে এখনই অপরাধ দমনের কৌশল ঠিক করতে হবে। তা না হলে সমাজে অপরাধজনিত অস্থিরতা তৈরি হবে।
জানতে চাইলে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বাহারুল আলম গত বৃহস্পতিবার সমকালকে বলেন, সমাজে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশের যে প্রাধান্য, তা প্রতিষ্ঠিত করতে কিছুটা সময় লাগছে। সমাজে অনেকের মধ্যে এমন ধারণা– এখন চাইলে যা ইচ্ছা তা করা যায়। পুলিশ তো শত্রু! তারা কিছু করতে পারবে না। ৫ আগস্টের পর এমন ধারণা তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
আইজিপি বলেন, এখনও পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। থানায় হামলা হচ্ছে। জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ১২, ফেব্রুয়ারিতে ২২ ও মার্চে ৪০টি। তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে অনুরোধ, আমাদের কাজ করতে দেন। আমাদের কাছে টেনে নেন। পুলিশ ছাড়া এই সমাজ চলবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নানা উদ্যোগ নেয়। অস্ত্র উদ্ধার, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সারাদেশে চালানো হয় অভিযান। এর পর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘ডেভিল হান্ট’ নামে আরেকটি বিশেষ অভিযানও শুরু হয়। তবে মার্চের শুরুর দিকে জানানো হয়, অপারেশনের নাম ডেভিল হান্ট না থাকলেও অভিযান চলমান থাকবে। দেশব্যাপী আভিযানিক কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় খুনোখুনি, অপহরণ, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন ঘটছে।
গত বছরের ২০ জানুয়ারি পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মো. বাবু নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়। নিহতের স্বজন ও পুলিশের দাবি, ওই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্বে দেন মুসা সিকদার। বাবু ও মুসা গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। ৫ আগস্টের পর জামিনে বেরিয়ে মুসা তার সঙ্গীদের নিয়ে বাবুকে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন এই মুসা। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ওমানে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনে পুলিশ।
গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে কম্পিউটার ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক ও ওয়াহিদুল হাসান দীপুকে ১০-১২ জনের একটি দল এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দীপু শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন।
এ ছাড়া ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মিরপুরের আব্বাস আলী, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। অভিযোগ আছে, কারাগারে থেকেও নানা কৌশলে তারা অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন।
পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, অপরাধের তথ্য বিশ্লেষণ করে সংখ্যাগত হিসাব পাওয়া যায়। তাতে কোন অপরাধ কী কারণে বাড়ছে বা কমছে তার বিশ্লেষণ থাকে না। এখন থেকে অপরাধের পরিসংখ্যানের পাশাপাশি তা সংঘটিত হওয়ার পেছনের কারণ ও মোকাবিলায় করণীয় নিয়েও সুপারিশ রাখার চিন্তাভাবনা চলছে।
বিজু উৎসব উদযাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সাত দিন পর গত বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে সারাদেশে অপহরণের ঘটনা ঘটে ১০৫টি, ফেব্রুয়ারিতে ৭৮টি এবং মার্চে ৮৩টি। ২০২৪ সালের একই সময়ে অপহরণের ঘটনা ছিল যথাক্রমে ৫১, ৪৩ ও ৫১টি।
অপরাধের পরিসংখ্যান বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের আরেক কর্মকর্তার দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঠিকঠাক মামলা ও জিডি নেওয়া হতো না। এখন যে কোনো অপরাধ ঘটলেই মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার এখন কোনো ঘটনা ঘটলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। এতে ছোটখাটো অনেক ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
গত ১ মার্চ মাগুরায় শিশু আছিয়া খাতুন তার বোনজামাইয়ের বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়। হাসপাতালে মারা যায় আছিয়া। ওই ঘটনা দেশব্যাপী তীব্র আলোড়ন তোলে। এর পরও নানা স্থানে ধর্ষণের ঘটনা ক্ষুব্ধ করে মানুষকে।
সারাদেশে পুলিশের মামলার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৫৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৪৩০ এবং জানুয়ারিতে ১ হাজার ৪৪০টি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৩৭১ ও মার্চে ১ হাজার ৫০৯টি।
পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ‘আমরাই পারি’র প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক সমকালকে বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বা কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সমাজের যে বাধাগুলো রয়েছে, তাতে নারী আঘাতপ্রাপ্ত হয়। নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা বন্ধে সরকার সংবেদনশীল– এটা দৃশ্যমান হতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে অপরাধপ্রবণতা ও পরিস্থিতির বিষয় তুলে ধরা হয়। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী অপরাধের ঘটনার পেছনের কয়েকটি কারণ তারা উল্লেখ করেছে। তার মধ্যে আছে– আইনের প্রতি মানুষের মধ্যে সাময়িক অনাস্থা ভাব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে মনোবলের অভাব। অপরাধীরা একে কাজে লাগিয়ে মানুষের মধ্যে ভয় তৈরি করছে।
পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ডাকাতি ও চুরির ঘটনাও বেড়ে গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক সমকালকে বলেন, অপরাধীর পার পেয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি যখন থাকে, তখন অপরাধ বাড়ে। আইনের দ্রুত প্রয়োগ না হলে ও আইনের শাসনের ঘাটতি থাকলে এগুলো সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, অপরাধের কারণ মাথায় রেখে প্রতিকারের উপায় খুঁজতে হবে। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় তার সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিচয় দেখা যাবে না। যদি চিহ্নিত কোনো অপরাধীর কোনো পৃষ্ঠপোষক থাকে, তাকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে সাজা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ ছাড়া আইনি কাঠামোর বাইরে প্রভাব বিস্তার করে বা হুমকি-ধমকি দিয়ে যেন কোনো মামলা নিষ্পত্তি না করা হয়, সেদিকে নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।
এসবের পাশাপাশি ভুক্তভোগী পক্ষকে আইনি সহায়তা ও সুরক্ষা দিলে আস্তে আস্তে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করেন ড. তৌহিদুল হক।
প্রথম আলো
‘সীমান্তে গোলাগুলি, ফিরছেন ভিসা বাতিল হওয়া নাগরিকেরা’-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর এ গোলাগুলি হয়। এই পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুই দেশকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে পাল্টাপাল্টি ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে ভারত। এ ঘটনায় পাকিস্তানকে জড়িয়ে ভারতের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতকে সতর্কও করেছে পাকিস্তান। এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ সব সময়ই উদ্বেগের। যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তাহলে এই সংঘাত একটি করুণ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি হামলার স্থলও পরিদর্শন করেন। আগের দিন সর্বদলীয় বৈঠকে কাশ্মীরে নিরাপত্তাব্যবস্থায় যথেষ্ট গাফিলতি ছিল বলে স্বীকার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
যুগান্তর
দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘নির্বাচন ঘিরে ভিন্ন কৌশলে জামায়াত’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সরকার, বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তরুণদের দল এনসিপি-কারোর সঙ্গেই দূরত্ব চায় না দলটি। এজন্য নির্বাচনের সময়সীমা ইস্যুতে বারবার অবস্থান পরিবর্তন কৌশলেরই অংশ। বিএনপির সঙ্গে থাকার বিষয়ে জামায়াতের ওপর তৃণমূলের একটি বড় অংশের চাপ রয়েছে। আগামী দিনে বিরোধী দলে থাকলে দলের জন্য বড় ক্ষতি হতে পারে-এমনটি মনে করছে তৃণমূল।
আবার সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেও চলতে চায়। কারণ, দলের নিবন্ধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির বিষয়টিও ঝুলে আছে। অন্যদিকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে তরুণদের দল এনসিপির সঙ্গেও দূরত্ব চায় না। নির্বাচন সামনে রেখে এমন নানা হিসাবনিকাশ করেই একেক সময় একেক কৌশল নিচ্ছে জামায়াত। দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না করা হলেও নির্বাচনি মাঠ গোছাচ্ছে জামায়াত। দুই শতাধিক আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীও ঘোষণা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলীয় অবস্থানকে অনেকে ‘অস্পষ্ট’ বলছেন। পাশাপাশি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির বিষয়েও দলীয় অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে সমালোচনা করছেন।
কালের কণ্ঠ
‘স্থিতিশীলতায় দরকার নির্বাচন, দক্ষ সরকার’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, সার্বিক উন্নয়ন এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে উষ্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করা দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এর জন্য রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ সরকারের বিকল্প নেই। আর তা পেতে হলে দরকার দ্রুত সংসদ নির্বাচন।
বুদ্ধিবৃত্তিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত দেশের কয়েকজন অরাজনৈতিক ব্যক্তির তৈরি করা এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত্ করণীয়’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনের মূল কথা হলো, বাংলাদেশ একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে যে ধরনের সংকট দেখা দিয়েছিল, বাংলাদেশেও বর্তমানে তার সবই বিদ্যমান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সংকট কিছুটা বেশি। তাই দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণ প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন যে সরকার হবে তাকে অবশ্যই অভিজ্ঞ হতে হবে। তা না হলে নতুন যে সরকার আসবে এবং তার সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো মোকাবেলা করা কঠিন হবে, এমনকি দেশ নতুন করে সংকটে পড়তে পারে।
প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। তবে পুরো সরকার যেভাবে একটি ‘টিম’ হিসেবে কাজ করার কথা তা হয়ে ওঠেনি বলেও মন্তব্য করা হয়।
ইত্তেফাক
‘নিয়ম মানছে না বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, নিয়মের মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে না দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আইন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হবে। কিন্তু অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার বয়স এক যুগেরও বেশি। বারবার দেওয়া সময় পার হলেও এখনো অনেকে সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি। বেশির ভাগই চলছে ভাড়া বাড়িতে। অনেকে আবার বাড়ি ভাড়া নিয়ে একাধিক স্থানে খুলেছেন শাখা। কারো জমি কেনা হলেও ভবন নির্মাণের সামর্থ্য হয়নি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে।
যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের অর্থিক অনিয়ম, অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের অনুপাত বেশি, আর্টস ফ্যাকাল্টিতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ডিন নিয়োগ দেওয়া, একই ব্যক্তি ডিন এবং বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন, গবেষণায় অবহেলা, সনদ বাণিজ্যসহ আরো অনেক অভিযোগে অভিযুক্ত দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। নানা অনিয়মে জড়িত থাকায় লাল তালিকাভুক্ত হয়েছে ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিল তদারক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সম্প্রতি সেই প্রতিবেদনের আলোকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে গত ১৬ বছর ধরে উচ্চশিক্ষার সনদ বাণিজ্য ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভর্তি, শ্রেণিকক্ষে পাঠ ও পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। টাকা দিলেই মিলছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সনদ। বলতে গেলে ‘এক হাতে টাকা তো অন্য হাতে সনদ’ ধরিয়ে দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠানের ছড়াছড়ি। এক শ্রেণির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই সনদ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে ‘হোম ডেলিভারি’তে সনদ মিলছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড বন্ধের সুপারিশ হয়, পরিকল্পনাও হয়, কিন্তু শেষমেশ কাজের কাজ কিছুই হয় না। সনদ বাণিজ্যের প্রমাণ পেয়েছে ইউজিসিও।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘সেনাবাহিনীর সমর্থন প্রত্যাহারে চূড়ান্ত পতন হয় স্বৈরশাসকের’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ সালের ১৯ নভেম্বর। এরশাদ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অভিন্ন রূপরেখা ঘোষণা করে তিন জোট। এদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে অটল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আন্দোলন একপর্যায়ে রূপ নেয় গণ-অভ্যুত্থানে। ওই সময় তৎকালীন সেনাপ্রধানসহ পুরো সেনাবাহিনী অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীদের পক্ষে। অবশেষে উপায়ান্তর না দেখে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন এরশাদ। এর ৩৪ বছর পর গত বছরের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় গণ-অভ্যুত্থানে। নড়বড়ে হয়ে যায় শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসন। ১
৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট নানা কৌশলে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেষ্টা করেন শেখ হাসিনা। বিক্ষোভ দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়। শত শত মানুষকে হত্যা করেও আন্দোলন দমাতে পারেনি হাসিনা সরকার, বরং আরো তীব্র হয়। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকেও গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালায়নি সেনাবাহিনী। সবশেষে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালান শেখ হাসিনা।
বিশ্লেষকদের মতে, স্বাধীনতা-পরবর্তী দুটি গণ-অভ্যুত্থানেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। ফলে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এ দুই গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের পাশে না দাঁড়ালে প্রাণহানি ও বিশৃঙ্খলার ভিন্ন রূপ দেখা যেত।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুনের প্রথম সপ্তাহে আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে সংগঠিত হয়। সেই সঙ্গে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের সরকারি বিজ্ঞপ্তি পুনরায় বহালের দাবিতে টিএসসিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ক্রমেই বিক্ষোভ জোরালো হতে থাকে। একপর্যায়ে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলন আরো জোরালো রূপ নেয়। একদিকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে সারা দেশে, এর সঙ্গে বাড়তে থাকে ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দমন-পীড়ন।
আজকের পত্রিকা
‘আওয়ামী লীগ ক্রমেই মিছিল বড় করতে চায়’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ৫ আগস্টের বিপর্যয়ের ধাক্কায় কিছু সময় স্থবির থাকার পর একপর্যায়ে দলটি কেন্দ্রীয় কিছু কর্মসূচি পালন শুরু করে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে। প্রথম দিকে এতে উপস্থিতি ছিল নিতান্ত হাতে গোনা। তবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মিছিলের আকার বাড়ার পাশাপাশি সংখ্যাও বাড়ছে। দলের কয়েকজন নেতা বলেছেন, তাঁদের ‘সাংগঠনিক পুনর্গঠন’ চলছে এবং কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি হওয়ায় মিছিলগুলোতে অংশগ্রহণ বাড়ছে।
দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম এ সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ধরেই আগাচ্ছি। আস্তে আস্তে আমাদের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়বে। তবে আমরা তো নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না। নিরাপত্তার বিষয়টা অগ্রাধিকারে রেখেই আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়ন করছি।’
আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের নেতৃত্বে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল হয়েছে। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে মিছিল হচ্ছে। একাধিক কর্মী জানিয়েছেন, এসব মিছিলের সমন্বয় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই করছেন।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘রাজনৈতিক দলের ঠিকানা শ্বশুরবাড়ি স্টোররুম!’। খবরে বলা হয়, রাজধানীর পুরান ঢাকার রমাকান্ত নন্দী লেনের ১৬ নম্বর বাড়িটিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেখিয়ে নিবন্ধন পাওয়ার আবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি নামের একটি রাজনৈতিক দল। উল্লিখিত ঠিকানায় গিয়ে দেখা গেছে, ওই নামে কোনো দলের কার্যালয় সেখানে নেই। দলের সাইনবোর্ডও পাওয়া যায়নি।
ঠিক নিচেই একটি মুদি দোকান রয়েছে ভবনের মালিকের। তার কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে চাইলে বেশ অবাক হন তিনি। বলেন, ‘আমার ভবনের ওপরে সব ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট। নিচের তলার ঘরগুলো দোকানের জন্য ভাড়া দেওয়া। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের অফিস নেই। এই প্রথম দলটির নাম শুনলাম। তাদের কোনো কার্যক্রম কখনো দেখিনি।’
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া আবেদনে দলটির চেয়ারম্যান হিসেবে মো. শিপন ভূঁইয়া এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে হাজি মো. বাখু মৃধার নাম উল্লেখ রয়েছে। আবেদনে উল্লিখিত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে কয়েক মিনিট পর হাজির শিপন ভূঁইয়া। দলের কার্যালয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পাশের একটি গলিপথ দিয়ে ভেতরে নিয়ে যান। এরপর তালাবদ্ধ একটি স্টোররুম খুলে বলেন, ‘এটাই আমাদের কার্যালয়।’
দেখা গেল, ভেতরে মাত্র ২০-৩০ স্কয়ার ফিট জায়গা। সেখানে চশমার বিভিন্ন জিনিস রাখা হয়েছে। স্টোররুমের পাশেই ঘি তৈরির কারখানা আর ভাজা-পোড়ার দোকান।
তিনি জানান, ‘আমরা এটাকেই পার্টি অফিস বানাব। এখন স্টোররুম। ছেলেদের বলেছি পরিষ্কার করতে। দু-একদিনের মধ্যে চেয়ার-টেবিল আনা হবে।’