বিশ্বজমিন
কাশ্মীরে হত্যা মিশন
পাইন বন থেকে বেরিয়ে আসে রাইফেল হাতে ঘাতক
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় ৫ থেকে ৬ জনের একটি গ্রুপ। তারা তৃণভূমির পাশের একটি পাইন বন থেকে বেরিয়ে আসে। এ বর্ণনা দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, এরপর তিনটি জায়গায় ভাগ হয়ে যায় তারা। তাদের হাতে ছিল রাইফেল। কোনো কোনো রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হামলাকে রেকর্ড করার জন্য তাদের কাছে বডিক্যামও ছিল। পর্যটকরা অনেক পরে খুনিদের উপস্থিতি টের পান। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। হামলার আগে বাচ্চারা সেখানে ট্রামপোলিনের (বাচ্চাদের একরকম খেলনা) ওপর লাফালাফি করছিল। বড়রা ভেলপুরি খাচ্ছিলেন। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে প্রথম গুলি চালানো হয়। ১০ মিনিট ধরে চলে গুলি। বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো থেকে জানা যায়, সন্ত্রাসীরা প্রথমে তাদের দিকে এগিয়ে আসে। তাদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে এবং ইসলামিক আয়াতের ওপর তাদের পরীক্ষা নেয়। এরপর তাদেরকে হত্যা করে। বেশির ভাগ মানুষকেই মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তারা জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়, যেখান থেকে তারা এসেছিল। ঘটনার ৩০ মিনিট পর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পুলিশ হামলার বিষয়ে জানতে পারে। পূর্বেই বলা হয়েছে, গাড়িতে করে বৈসরণ থেকে পহেলগাঁওয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। পথটি একটি জটিল ভূখণ্ডের মধ্যদিয়ে গেছে। এর চারপাশে ঝর্ণা, বন ও কর্দমাক্ত পথ। ট্রেকিং বা ঘোড়ায় চড়ে যেতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা লাগে। ফলশ্রুতিতে উপত্যকাটিতে সাহায্য পাঠালেও তা পৌঁছাতে বেলা ৩টার বেশি বেজে যায়। বেঁচে ফেরা অনেকে বলছেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হামলার কিছুক্ষণ পরও জীবিত ছিলেন। জরুরি ব্যবস্থা নিলে হয়তো তাদের বাঁচানো যেতো। হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও পর্যটকদের ঘোড়ার পিঠে চড়া এমন এক কাশ্মীরি নিহত হন। এমন সময় ওই নৃশংস হামলা হলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স চারদিনের সফরে ভারতে। এদিকে ওই ঘটনার আগে সৌদি আরব সফরে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে হামলার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক তিনি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন। এক্সে এক পোস্টে মোদি বলেন, জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তারা পার পাবে না। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সন্দেহ করছে এর পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। আরও দাবি করা হয়, দেশটি অতীতে কয়েকবার ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদত দিয়েছে। এদিকে ওই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
পাঠকের মতামত
ইহুদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল - ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রায় একলক্ষ মুসলিম জনগনকে হত্যা করে ফেলছে এবং প্রায় বিশ লক্ষ লোক আহত করেছে কিন্তুু বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো কোন বাল ছিড়তে পারছে না, ভারত শাসিত কাশ্মীরে মাওবাদীরা ২৫ জন পযটক হত্যা করেছে তাতে ভারত পাকিস্তানকে হুমকি দিচ্ছে, ভারত পাকিস্তানের বাল ছিড়ে ফেলবে। ভারত কি জানে তাদের জন্য অদুর ভবিষ্যতে কি অপেক্ষা করছে??? ভারত ভেংগে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে এবং সেভেন সিষ্টাস ভেংগে রাজ্যে আলাদা হবে।