ঢাকা, ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

বিশ্বজমিন

স্ত্রী ও শশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ, আত্মহত্যা প্রকৌশলীর

মানবজমিন ডেস্ক

(১১ ঘন্টা আগে) ২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৭:২৫ অপরাহ্ন

mzamin

যদি ন্যায়বিচার না পাও তাহলে আমার দেহাভস্ম নর্দমায় ফেলে দিও- আত্মহত্যা করার আগে এটিই ছিলো ভারতের উত্তর প্রদেশের ইটাওয়ারের এক প্রকৌশলীর শেষ কথা। স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে আত্মহত্যা করেছেন মোহিত যাদব (৩৩)। মৃত্যুর পূর্বে একটি ভিডিও রেকর্ড করেন তিনি। সেখানে ওই অভিযোগ করেন মোহিত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। বৃহস্পতিবার ইটাওয়া রেল স্টেশনের কাছে জোলি হোটেলে ওঠেন মোহিত। পরের দিন সকালেও তাকে কক্ষ ত্যাগ করতে দেখা যায়নি। পুলিশ সুপার অভয় নাথ ত্রিপাঠি বলেন, সন্ধ্যায় হোটেলের কর্মচারী মোহিতকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। মোহিত আউরাইয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম প্রিয়া। বিয়ের আগে প্রিয়ার সঙ্গে তার সাত বছরের সম্পর্ক ছিলো। এরপর ২০২৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ওই যুগল। দুই মাস আগে বিহারে একটি বেসরকারি শিক্ষকতার চাকরি পান প্রিয়া। ওই সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তবে প্রিয়ার মা তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করেন বলে ভিডিওতে দাবি করেন মোহিত। 

তিনি আরও বলেন, স্ত্রীর সকল গহনা নিজের কাছে রেখে দেন তার শাশুড়ি। মোহিত বলেন, তার যৌতুকের কোনো দাবি ছিলো না। তবে তার স্ত্রী মোহিতের পরিবারের সকলের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলার হুমকি দেন। মোহিত আরও বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে হুমকি দিয়েছে। আমি যদি আমার বাড়ি ও সম্পত্তি তার নামে লিখে না দেই তাহলে সে আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দেবে। এরপর থেকে প্রায়দিনই মোহিতের সঙ্গে ঝগড়া করতেন প্রিয়া। এতে নিজের পরিবারের সমর্থনও পেতেন তিনি। নিজের পিতামাতার কাছে ক্ষমা চেয়ে ভিডিও শেষ করেন মোহিত। ভিডিওতে তিনি অবশ্য নারীদের দায়ের করা মিথ্যা মামলার থেকে পুরুষদেরকে রক্ষার কোনো আইন না থাকার বিষয়ে অভিযোগ করেন। বলেন, ভিডিওটি যখন দেখা হবে তখন হয়তবা আমি পৃথিবীতে থাকবো না। পুরুষদের জন্য কোনো আইন থাকলে আমি এই পদক্ষেপ নিতাম না। উল্লেখ্য, মোহিত কোটার উদ্দেশে রওনা দেন। তবে তিনি ইটাওয়াতে থামেন বলে মন্তব্য করেন তার ভাই তারীন প্রতাপ। এদিকে ওই ঘটনায় নারীদের মিথ্যা অভিযোগ থেকে পুরুষদেরকে রক্ষায় আইন তৈরির দাবির বিষয়টি আরও জোরদার হয়েছে। গত বছরও ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। অতুল সুবাশ নামের এক প্রকৌশলী স্ত্রীর বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ এনে আত্মহত্যা করেন। এসব ঘটনা পুরুষদের অধিকার বিষয়ক কর্মীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status