অনলাইন
গাজা যুদ্ধ অবসানের জন্য আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ দিন আগে) ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ২:৪৫ অপরাহ্ন
ইসরায়েলের কাছে যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানিয়ে সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিল হামাস। পাশাপাশি শর্ত সাপেক্ষে ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিল এই ফিলিস্তিনি সংগঠন।
অফিসিয়াল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন ভাষণে হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল হায়া জানান, “আমরা শান্তির লক্ষ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত। যে চুক্তিতে থাকবে সকল জিম্মির মুক্তি, ইসরায়েলের হাতে আটক হওয়া ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, যুদ্ধের অবসান এবং গাজার পুনর্গঠন।”
তিনি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তুতির কথা নিশ্চিত করেন। যদিও খলিল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের যে প্রস্তাব ইসরায়েল দিয়েছে তা তারা মেনে নেবেন না। একইসঙ্গে ইসরায়েলের ৪৫ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও খারিজ করেছে হামাস। খলিলের স্পষ্ট বার্তা, “চুক্তি যদি হয় তবে তা হবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির, গাজা ভুখণ্ড থেকে ইসরায়েলের সেনা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং গাজা পুনর্গঠনের নিশ্চিত প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে।'
আল-হায়া জিম্মি বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত অ্যাডাম বোহেলারের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন, যিনি বৃহস্পতিবারের শুরুতে জিম্মি সমস্যা এবং যুদ্ধ উভয়ই শেষ করার পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন। আল জাজিরার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বোহলার বলেছিলেন, ‘আমি আপনাকে বলতে পারি যে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে, যদি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়।’
আল-হায়া গাজার উপর ইসরায়েলি অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গাজার দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ অনাহারের কারণে গণহত্যার শিকার হচ্ছে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, ২৯শে মার্চ রমজান মাসের শেষে হামাস মধ্যস্থতার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল, কিন্তু নেতানিয়াহু পরে তা প্রত্যাখ্যান করেন। যদিও আল-হায়া স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে অযৌক্তিক কোনো শর্তাবলী হামাস মেনে না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় ৫১,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর পাশাপাশি ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি