ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

বিএনপি এখন কী করবে

অনলাইন ডেস্ক

(১ দিন আগে) ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৬:১০ অপরাহ্ন

mzamin

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর ‘বিএনপি এখন কী করবে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলেও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনে অনড় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। সরকারের কাছ থেকে ‘নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ’ চেয়েও পায়নি বিএনপি।

গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে অসন্তুষ্ট দলটি। এ অবস্থায় কী করবে বিএনপি জানতে চাইলে দলীয় মহাসচিব কৌশলে উত্তর এড়িয়ে গেলেও দ্রুত নির্বাচনের ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারকে অব্যাহত চাপের মুখে রাখবে দলটি। সারা দেশে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দেবে একের পর এক। ইউনিয়ন/পৌরসভা থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলা, মহানগর, বিভাগ থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণমিছিল, গণঅবস্থানসহ নিয়মতান্ত্রিক নানা কর্মসূচি দেবে বিএনপিসহ মিত্র দলগুলো। এ নিয়ে ইতিপূর্বেও তারা আলোচনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ‘অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সুষ্পষ্ট রোডম্যাপ’ দেয়নি।

এ অবস্থায় বিএনপির করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) আমাদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক আছে। সে বৈঠক শেষে আমরা দলীয় ফোরামের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করব। এরপর আমাদের সমমনা ও মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছি। এখনো দিয়ে যাচ্ছি। আামরা চাই এই সরকার যেন কোনোক্রমেই ব্যর্থ না হয়। কাজেই সরকারেরও উচিত আর দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা।

সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বিএনপি চায় একটি অর্থবহ নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করুক। এতে শেষ পর্যন্ত যদি আরও দুই-এক মাস দেরিও হয়, অর্থাৎ নির্বাচন যদি ডিসেম্বরের পরিবর্তে শেষ পর্যন্ত জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতেও যায় সে পর্যন্ত তারা ধৈর্য ধরতে পারে। তবে সেটি কোনোক্রমেই আগামী মার্চের পরে যেতে পারবে না।

বিএনপির সিনিয়র একাধিক নেতা বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আর যে বিষয়গুলো আছে- সেগুলোর মধ্যে যে বিষয়গুলো নিয়ে সব দল ঐকমত্য হবে, আমরা সেগুলোর চার্টার (সনদ) করতে রাজি বিএনপি। আর সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে সব রাজনৈতিক দল একমত হলে তারা নির্বাচনের দিকে চলে যেতে পারেন। বাকি যে সংস্কার থাকবে, সেগুলো যে রাজনৈতিক দল নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেবে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। তবে তিনি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করবেন না, তা বলেননি।

আজকের পত্রিকা

‘বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনের পথ’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। খবরে বলা হয়,  দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের এমন দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এ জন্য নতুন একটি অধ্যাদেশের খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেলে শিগগির এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশনার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ তড়িঘড়ি করে সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। সাধারণত সংশ্লিষ্ট উইং থেকে ফাইল তৈরি করে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাতে হাতে ফাইল প্রস্তুত করেছেন।

একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে সেখানে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হতে পারে। তিনজনের বেশি সরকারি কর্মচারী একসঙ্গে যাতে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে এতে। সংশোধিত আইনটির অধ্যাদেশ হলে সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনে নামার আর কোনো উপায় থাকবে না।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘বেশি জোর থাকবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে’। খবরে বলা হয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে ১ নম্বর অগ্রাধিকারে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সাজাচ্ছে সরকার। বাজেটে সুযোগ তৈরি করা হবে গ্রামীণ পর্যায়ে কর্মসংস্থানের। এ জন্য উজ্জীবিত করা হবে রাস্তাঘাট নির্মাণ, সংস্কারসহ গ্রামীণ অবকাঠামো খাতের কর্মযজ্ঞকে। তবে বড় তেমন কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না। করা হবে না ঢাউস আকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিও (এডিপি)।

বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতায় ভাতা কিছুটা বাড়ানো হবে। এমনকি বাড়ানো হবে ভাতাভোগীর সংখ্যা। সবই করা হবে সীমিত সাধ্যের মধ্যে থেকেও।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট তৈরির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ ধারণা পাওয়া গেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের এটি হবে প্রথম বাজেট।

বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজস্ব সংগ্রহের বড় কোনো উৎসের সন্ধান না পাওয়ায় আগামী বাজেট তেমন বড় করা হচ্ছে না। এ কারণেই চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার কমানো হচ্ছে অন্তত সাত হাজার কোটি টাকা। অহেতুক উচ্চাভিলাষী নয়; বরং একটি বাস্তবভিত্তিক বাজেটের দিকেই এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, যা ৯–১০ শতাংশের ঘরে থাকছে। সূত্রগুলো জানায়, নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা থাকবে। সরকার প্রথমে আগামী অর্থবছর শেষে এ হার ৭ শতাংশে নামিয়ে আনবে বলে ঠিক করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ায় এ হার আরও কমবে বলে সরকার আত্মবিশ্বাসী।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন ২ জুন সোমবার। প্রতি অর্থবছরে জুন মাসের কোনো বৃহস্পতিবারকে বাজেট ঘোষণার জন্য বেছে নেওয়া হয়। এবারই তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। তবে বাজেট ঘোষণার পরদিন রেওয়াজ অনুযায়ী অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলন ঠিকই করবেন অর্থ উপদেষ্টা।

যুগান্তর

‘চার সংকটে কমছে বাজেট বাস্তবায়ন’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্প বাদ দেওয়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি কমছে। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ও বিনিয়োগে মন্দার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, শ্রমিক অসন্তোষের মুখে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রাজস্ব আহরণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও কমছে। এসব সংকটের কারণে চলতি অর্থবছরের শুরুতে (জুলাই) ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেও ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে জুনের মধ্যে সংশোধিত বাজেটের আকার অনুযায়ী অবশিষ্ট চার লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে।

এদিকে অর্থ ব্যয় না হওয়ার শঙ্কায় চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের বাজেট থেকে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ছেঁটে ফেলা হয়েছে। এতে সংশোধিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের মতে, বছরের শেষ সময়ে একসঙ্গে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করে। পাশাপাশি অপচয়, দুর্নীতি ও গুণগত মান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে। অর্থ বিভাগ এ শঙ্কার কথা জানিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেষ সময়ে মন্ত্রণালয়গুলোর অস্বাভাবিক খরচের কারণে সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। এছাড়া রাজস্ব আহরণ ও ব্যয়-এ দুয়ের মধ্যে কোনো পরিকল্পনা থাকছে না। এতে অপরিকল্পিত ঋণ গ্রহণ এবং ঋণসংক্রান্ত ব্যয়ের দায়ভার বহন করতে হয় সরকারকে। যা আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে দিচ্ছে।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘ব্যবসা-বিনিয়োগে সংকট বাড়ছে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণের উচ্চ সুদ, জ্বালানির উচ্চমূল্য, অতিমূল্যায়িত ডলার, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ অভ্যন্তরীণ নানা সংকটের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যবসা-বিনিয়োগ। বৈশ্বিক শুল্কযুদ্ধ নিয়ে রপ্তানি বাজারেও নানা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। শুধু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির জন্য কমে আসা মূল্যস্ফীতি ১২.৬৭ শতাংশ ছাড়ানোর শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

শিল্প-কারখানার উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্যাসের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে টিকবে না শিল্প খাত। নতুন বিনিয়োগ আসবে না, কর্মসংস্থানও পড়বে ঝুঁকিতে। বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রপ্তানি শিল্পে।

তাঁরা বলেছেন, শিল্প খাতে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানোয় পুরো শিল্প খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। এর আগে ২০২৩ সালেও শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম ১৭৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। এবারের মূল্যবৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের জন্য অতিরিক্ত বোঝা হয়ে দাঁড়াবে বলেও মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বাড়তি দাম দিয়েও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি না পেলে বেসরকারি খাতের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কমবে।

দেশের বেসরকারি খাতভিত্তিক থিংকট্যাংক বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এসেছে যখন বৈশ্বিক কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি বিদ্যমান, মার্কিন  ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, রপ্তানি বাজারে অস্থিরতা, বিদ্যুৎ ঘাটতি, জ্বালানির অনির্ভরযোগ্যতা, যুক্তরাষ্ট্রের ভারসাম্যমূলক শুল্কারোপ ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়াই করছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন বৈদেশিক বিনিয়োগের অপেক্ষায় থাকা শিল্প খাত এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেকটাই নিরুৎসাহী হবে।

সমকাল

‘নির্বাচনের সময় নিয়ে অসন্তুষ্টই থাকতে হচ্ছে বিএনপিকে’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবির প্রতি আপাতত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মতি আদায় করতে পারেনি বিএনপি। এ নিয়ে হতাশা চেপেও রাখেনি দলটি। ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি গণমাধ্যমকে বলেছে, বৈঠকের ফলাফলে তারা একেবারেই সন্তুষ্ট নয়।

তবে নির্বাচন কোনোভাবেই ২০২৬ সালের জুনের পরে যাবে না– সরকারের দিক থেকে বিএনপিকে বারবার এমনটি আশ্বস্ত করা হয়েছে। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও সাংবাদিকদের তা-ই বলেছেন; ব্যাখ্যা করেছেন কারণও।  

গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে উভয় পক্ষ। দুপুর সোয়া ১২টায় এ বৈঠক শুরু হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল। তখন প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছিলেন। বিএনপি তাতে আশ্বস্ত হয়েছিল। কিন্তু পরে সরকার ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা জানায়। তার পর থেকে বিএনপি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা এবং নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানায়। সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে নানামুখী কথা শুরু হলে বিএনপি সরকারের সঙ্গে আবার বসার সিদ্ধান্ত নেয়।

গতকালের বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ছিলেন।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘হাতেনাতে ধরাপড়ল অনিয়ম-দুর্নীতি’। খবরে বলা হয়, দেশের ৩৫ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একযোগে অভিযান পরিচালনা করে অনিয়ম, দুর্নীতি, গ্রাহকদের সেবাবঞ্চিত করা অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিভিন্ন  অনিয়ম, দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল দুদকের বিভিন্ন জেলার সমন্বিত কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এ অভিযান শুরু করে ৩৫টি এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক সূত্র জানায়, দিনাজপুর চিরিরবন্দর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনাকালে একজন নকলনবিশের কাছে থেকে ২৪ হাজার টাকা ও একজন অফিস সহকারীর কাছে থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা হাতেনাতে উদ্ধার করা হয়। উক্ত টাকার বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় নকলনবিশকে সাময়িক বরখাস্ত এবং অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে মর্মে জেলা রেজিস্ট্রার টিমকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এছাড়া কুষ্টিয়ার খোকসা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে নাইট গার্ডের কাছে থেকে ৪০ হাজার টাকা পাওয়া যায়, যার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি।

এছাড়াও অফিস কার্যক্রমে অনিয়ম ও অসংগতির সত্যতা পাওয়া যায়। অন্যদিকে গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ৫২(খ) রশিদ বহিতে গরমিল এবং মোহরাদের দ্বারা দলিল প্রতি ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়।

নয়া দিগন্ত

‘শিল্পকারখানায় দ্রুত গ্যাস সংযোগের নির্দেশনা’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানায় দ্রুত গ্যাস সংযোগের নির্দেশনা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান। পাশাপাশি গ্যাস পেলেই উৎপাদনে যেতে পারবে এমন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই লোড বৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। গতকাল সচিবালয়ে গ্যাসের সিস্টেম লস হ্রাসসংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে শিল্পে গ্যাস সংযোগ নিয়ে একধরনের লুকোচুরি চলত। প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই ২০০৯ সালে আবাসিক ও শিল্পে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন বলা হয়, উৎপাদন বাড়লে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। কিন্তু উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর না দিয়ে কমিশন বাণিজ্যের জন্য আমদানির দিকেই বেশি নজর দেয়া হয়। এর ফলে দেশে গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে এলেও প্রাথমিক জ্বালানি নিশ্চিতের জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ২০০৯ সাল থেকেই আবাসিকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু সময়ে সময়ে শিল্পে গ্যাস সংযোগ চালু করা হয়।

তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকারভিত্তির কথা বলে আওয়ামীদলীয় সমর্থকের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। কিন্তু বিরোধী মতের ব্যবসায়ীদের অনেক প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হলেও গ্যাসের লোড বাড়ানো হয়নি। এর ফলে উৎপাদন যেতে না পারায় লোকসানের মুখে পড়েন তারা। এমনি পরিস্থিতিতে জ্বালানি উপদেষ্টা উৎপাদনে যেতে পারবে এমন শিল্প কারখানায় আগামী সপ্তাহের মধ্যেই গ্যাসের লোড বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘২০২৬ সালে রফতানি ছাড়াতে পারে ৫০ বিলিয়ন ডলার, আছে চ্যালেঞ্জও’। খবরে বলা হয়, দেশের রফতানি আয়ের বেশির ভাগ আসে তৈরি পোশাকের মাধ্যমে। রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে এখনো সফল হয়নি বাংলাদেশ। তবে বর্তমানেও যে সক্ষমতা আছে তাতে রফতানি আরো বেশি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রতিযোগী দেশগুলোর রফতানির পরিমাণ শত বিলিয়ন ডলারের বেশি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি ২০২৬ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। অবশ্য বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে এ রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এডিবি সম্প্রতি ‘রোডম্যাপ ফর ইনভেস্টমেন্ট পলিসি রিফর্মস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) তথ্যসূত্রের ভিত্তিতে ২০২৬ সালে তৈরি পোশাক রফতানি ৫১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে অতিরঞ্জিত পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। রফতানি আয়ের অতিরঞ্জিত তথ্যের কারণে প্রতি বছরই ব্যালান্স অব পেমেন্টে (বিওপি) ট্রেড ক্রেডিটে বড় অংকের ঘাটতি দেখা যেত। রফতানির অর্থ প্রত্যাবাসিত না হওয়ার কারণে এ ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে বিগত সরকারের সময়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে রফতানি আয়ের তথ্য সংশোধনের পর দেখা গেছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানির পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। সংশোধিত তথ্যানুসারে আলোচ্য অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এর আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা ছিল ৩৮ বিলিয়ন ডলারে।

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘Polls timing tops parties' talks with US officials’ অর্থাৎ ‘মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দলগুলোর আলোচনার মূল বিষয় ছিল নির্বাচনের সময়সূচি’

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও নতুন গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পৃথকভাবে মতবিনিময় করেছে। এই আলোচনার মূল বিষয় ছিল নির্বাচন কবে হবে।

বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের বলেছে, তারা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়, কারণ সংস্কারের কাজ এক মাসের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব।

দলের নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন আরও আগে হলেও সম্ভব, কারণ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত আছে।

অন্যদিকে, জামায়াত বলেছে তারা আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন চায়। তাদের মতে, জুনের পরে বর্ষা, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি বলেছে, তারা নির্বাচন চায় শুধু তখনই, যখন মৌলিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন হবে। তারা অভিযোগ করেছে, স্থানীয় প্রশাসন অনেক জায়গায় বিএনপির পক্ষে কাজ করছে এবং এনসিপির নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন যা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status