ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

বিলুপ্তির ১২ হাজার বছর পর ডায়ার উলফের ‘পুনর্জন্ম’ ঘটালেন বিজ্ঞানীরা

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ সপ্তাহ আগে) ৮ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৫:৪১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

mzamin

আজ থেকে সাড়ে ১২ হাজার বছর আগে পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু আর নয়। বিজ্ঞানের দৌলতে আবার তাদের পুনর্জন্ম হয়েছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ১২,৫০০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ডায়ার উলফ প্রজাতিকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। নেকড়ের যে দু’টি শাবক বৈজ্ঞানিক জগতে ঝড় তুলেছে তাদের নাম রোমুলাস ও রেমাস। তাদের বয়স মাত্র ছয় মাস, কিন্তু ইতিমধ্যেই তাদের উচ্চতা প্রায় চার ফুট এবং ওজন ৩৬ কেজিরও বেশি। টেক্সাসের একটি সংস্থা কলোসাল বায়োসায়েন্সেস এই অভাবনীয় কীর্তিটি সম্পন্ন করেছে।

প্রাণীর জিনগত পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে থাকে সংস্থাটি। একটি প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এটি বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি মাইলফলক। অন্যান্য বিশেষ প্রজাতির প্রাণীকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফেরানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

‘নন-ইনভেসিভ ব্লাড ক্লোনিং’ কৌশল ব্যবহার করে কলোসাল বায়োসায়েন্সেস বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন নেকড়ে প্রজাতির দু’টি শাবকের সফলভাবে ক্লোন তৈরি করেছে। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ডায়ার উলফের তিনি শাবকের জন্ম দেয়া হয়েছে। রোমুলাস এবং রেমাস পুরুষ এবং খালিসি মেয়ে। সংস্থার তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১০ হাজার বছরেরও বেশি সময় পর পৃথিবীর বুকে ডাকছে ডায়ার উলফ। একসময় উত্তর আমেরিকার শিকারি প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম ছিল এই ডায়ার উলফ। এর বিশাল আকার, শক্তিশালী চোয়াল এবং ঘন পশম এই প্রাণীকে  অনন্য করে তুলেছিল।

কলোসাল বায়োসায়েন্সেস জানিয়েছে, তারা ১৩,০০০ বছর পুরনো একটি দাঁত এবং ৭২,০০০ বছর পুরনো একটি খুলি থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে সফলভাবে ডায়ার উলফের তিনটি শাবকের জন্ম দিতে পেরেছে।হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) উভয়েরই জেনেটিক্সের অধ্যাপক এবং কলোসালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জর্জ চার্চ টাইম ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘ক্লোনিং-এর ধারণাটি আমাদের কাছে গেম চেঞ্জার বলে মনে হয়েছে।’

এই অভাবনীয় সাফল্য কেবল কলোসাল বায়োসায়েন্সেসের জন্যই একটি বিশাল মাইলফলক নয়, বরং এটি সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে আধুনিক জিন-সম্পাদনা এবং ক্লোনিং প্রযুক্তির সাহায্যে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিদেরও ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এর আগে কলোসাল প্রাথমিকভাবে ম্যামথ, ডোডো পাখি এবং তাসমানিয়ান বাঘের পুনরুজ্জীবনের কাজ শুরু করলেও, ডায়ার উলফ ছিল তাদের প্রথম সফল বাস্তবায়ন। বর্তমানে এই ডায়ার উলফের শাবকগুলোকে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘেরাটোপে একটি সুরক্ষিত পরিবেশে রাখা হয়েছে। ড্রোন ও লাইভ ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের ওপর সারাক্ষণ নজরদারি করা হচ্ছে।  

সূত্র: এনডিটিভি
 

পাঠকের মতামত

এতদিন পর্যন্ত যত কিছু আবিষ্কার হয়েছে তার মধ্যে এটিই শ্রেষ্ঠ।

Humayun Kabir
৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status