অনলাইন
ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে ভারত কি প্রতিশোধ নেবে?
মানবজমিন ডিজিটাল
(৩ দিন আগে) ৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ১২:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৪২ অপরাহ্ন

বুধবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ডনাল্ড ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ আমেরিকার পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছে। ভারতও সেই পথে হাঁটবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স মোদি সরকারের এক পদস্থ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পথে হাঁটছে না ভারত। কারণ, এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা চলছে। ভারতের ওপর ২৬% শুল্কের বোঝা চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারত-সহ একাধিক দেশ ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে দর কষাকষি শুরু করে দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আদেশের একটি ধারা খতিয়ে দেখছে যা অ-পারস্পরিক বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রতিকারের জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণকারী বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য সম্ভাব্য অবকাশ প্রদান করে। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে যে, বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে দ্রুত বোঝাপড়া শুরু করে পড়শি চীন ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়ার চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাইছে ভারত। চীন ইতিমধ্যে মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছে। রাশ টেনেছে আমেরিকায় পণ্য রফতানিতে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পরপরই ভারত পাল্টা শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছে। যেখানে ইউরোপীয় কমিশনও চীনের পর মার্কিন পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুল্ক নিয়ে অচলাবস্থা দূর করার জন্য, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শরৎকালের মধ্যে একটি প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছিল। যদিও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রধানমন্ত্রী মোদির কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে মোদির প্রশাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে -যেমন উচ্চমানের বাইক এবং বোর্বনের উপর শুল্ক কমানো। আমেরিকান টেক জায়ান্টদের উপর প্রভাব ফেলে এমন একটি ডিজিটাল পরিষেবা কর-ও বাতিল করা হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন যে, ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক এই আর্থিক বছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ২০-৪০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত ব্যাহত করতে পারে। বিশেষ করে হীরা শিল্পের উপর আঘাত হানতে পারে, যা তার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি রপ্তানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়, হাজার হাজার কর্মসংস্থানকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস