খেলা
মৃত ম্যারাডোনার কক্ষে কোনো চিকিৎসার সরঞ্জাম দেখেনি পুলিশ
স্পোর্টস ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ২:২৯ অপরাহ্ন

অতিরিক্ত মাদকাসক্তি এবং মদ্যপানের কারণে ২০২০-এর শেষদিকে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হয়ে দিয়েগো ম্যারাডোনার। এর সপ্তাহ দুয়েক পর ২৫শে নভেম্বর বুয়েনস এরিয়েসে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর সেখানে প্রথম যে ক’জন উপস্থিত হন, তাদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা লুকাস ফারিয়াস একজন। মঙ্গলবার সান ইসিদরো আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ফারিয়াস জানান, অস্ত্রোপচারের পর যে বাসায় ম্যারাডোনা চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, সেখানে তিনি কোনো চিকিৎসার সরঞ্জাম দেখেননি।
অবহেলার অভিযোগে ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত ৮ জনের মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে চলমান বিচারকার্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ফারিয়াস। হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এ ৭ জনের বিরুদ্ধে। আদালতে ম্যারাডোনার শেষ দিনগুলোতে অভিযুক্তদের ভূমিকা উল্লেখ করতে গিয়ে সেই পরিস্থিতিকে হরর থিয়েটারের সঙ্গে তুলনা করেন কৌঁসুলিরা। সাক্ষী দিতে গিয়ে ফারিয়াস বলেন, ‘ঘরে আমি কোনো চিকিৎসা সামগ্রী দেখিনি। আমি কোনো সিরাম (ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় প্রদানের ওষুধ) দেখিনি, যেটি ঘরোয়া হাসপাতালের অংশ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’
মূলত এই বিচারকার্য শুরু হয় গত সপ্তাহে। মঙ্গলবার চারজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে প্রমাণাদি দাখিল করেন, তাদেরই একজন ফারিয়াস। আদালতে তিনি বলেন, ‘দিয়েগো ম্যারাডোনার যে বিষয়টি আমার সবার আগে নজর কেড়েছে সেটি হলো, তার মুখের অবস্থান এবং তলপেট এতটাই ফুলে ছিল যে মনে হবে এখনই বিস্ফোরণ হবে। আমি ম্যারাডোনাকে ওভাবে দেখে চমকে যাই। আমি কখনও ভাবিনি যে এই দৃশ্য দেখতে হবে।’
বুয়েনস এরিয়েসের সান ইসিদরোতে শুরু হওয়া চার মাসব্যাপী এই বিচারকার্যে ম্যারাডোনার পরিবার, চিকিৎসকসহ ১০০ জনের বেশি সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা যায়। এ মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নিউরোসার্জন, একজন মনোরোগবিশেষজ্ঞ, একজন মনোবিজ্ঞানী, একজন মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর, একজন নার্স কো-অর্ডিনেটর, একজন চিকিৎসক ও রাতের নার্স। দিনে ম্যারাডোনাকে যে নার্স দেখভাল করতেন, তার বিচার হবে আলাদাভাবে।
সরকারি উকিলেরা দাবি করেন, চিকিৎসক দলটি ম্যারাডোনাকে বাড়িতেই চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন যা ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও সম্পূর্ণ ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ সিদ্ধান্ত। তাদের অভিযোগ, মৃত্যুর আগে তাকে ‘দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক সময়ের’ জন্য ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়। অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হলে জেল হতে পারে ৮ বছর থেকে ২৫ বছরের।