অনলাইন
১৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলা দিবস ঘোষণা করে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ওআইসি-র ৬০টি সদস্য রাষ্ট্র এই প্রস্তাব এনেছিল। ঘোষণার নথিতে জোর দেয়া হয়েছে যে সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থা কোনও ধর্ম, জাতীয়তা, সভ্যতা বা জাতিগত গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত হতে পারে না এবং হওয়া উচিত নয়। সেইসঙ্গে ধর্ম বা বিশ্বাসের ভিত্তিতে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের সহিংসতা এবং তাদের উপাসনালয়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত সকল ধরনের কর্মকাণ্ড এবং ধর্মীয় স্থান, উপাসনালয়ে আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনানুষ্ঠানিক পূর্ণাঙ্গ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত পি হরিশ বলেন, ধর্মীয় বৈষম্য, ঘৃণা এবং সহিংসতামুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলা জীবনের একটি উপায় বলে ভারত মনে করে। উপাসনালয় এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সহিংসতার উদ্বেগজনক বৃদ্ধিতে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হরিশ বলেন, এটি কেবলমাত্র সকল সদস্য রাষ্ট্রের সমান সম্মানের নীতির প্রতি টেকসই প্রতিশ্রুতি এবং দৃঢ় পদক্ষেপের মাধ্যমেই মোকাবেলা করা যেতে পারে।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনার নিন্দা জানাতে ভারত জাতিসংঘের সদস্যদের সাথে একমত পোষণ করার কথা জানিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটাও স্বীকার করা অপরিহার্য যে ধর্মীয় বৈষম্য একটি বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ যা সকল ধর্মের অনুসারীদের প্রভাবিত করছে।
জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পি হরিশ শুক্রবার বলেন, সব দেশকে তাদের সকল নাগরিকের প্রতি সমান আচরণের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে এবং ধর্মীয় বৈষম্যকে উৎসাহিত করে এমন নীতি অনুশীলন করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে শিক্ষা ব্যবস্থা যেন স্টেরিওটাইপগুলোকে স্থায়ী না করে বা ধর্মান্ধতাকে উৎসাহিত না করে।
হরিশ জানান, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই সব ধরনের ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে বৃহত্তর সংগ্রামের সাথে অবিচ্ছেদ্য। প্রতিটি ব্যক্তি, তাদের ধর্ম নির্বিশেষে মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং সম্মানের সাথে বসবাস করতে পারবে সেজন্য দেশগুলোকে এমন একটি ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
পাঠকের মতামত
ইসলামি ফোবিয়া শব্দটি আরও সহিংসতা বাড়াবে, আমার মনে হয় ধর্মীয় ফোবীয়া শব্দটি সবার জন্য প্রযোজ্য হতো। যেমন ভারতে এখন চলছে কট্টরপন্থী পন্থী হিন্দুত্ববাদ এটাও ধর্মীয়বাদ বা ফোবীয়ার মধ্যে পরে। জাতিসংঘের এই পদক্ষেপ বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে এতে করে সহিংসতা উগ্র ধর্মীয়বাদের উত্থান ঘটবে যা বিশ্ব শান্তির অন্তরায়।