অনলাইন
রাজনৈতিক আশ্রয় নিতেই কানাডায় পালিয়েছেন রাষ্ট্রদূত হারুন
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২৯ অপরাহ্ন

মরক্কোতে সদ্য বিদায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে কানাডায় পালিয়ে গেছেন। রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি সেখানে অবস্থান করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর তাকে দেশে ফিরে ‘অনতিবিলম্বে’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি দেশে না ফিরে কৌশলে কানাডা চলে যান। শুক্রবার তার একটি ফেসবুক পোস্ট সবার নজরকাড়ে। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘ড. ইউনূসের অধীনে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত বাংলাদেশ—বিশ্বের নীরবতা বেদনাদায়ক’।
‘৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।’ এমনটিও দাবি করেছেন এই কূটনীতিক।
কূটনীতিক হারুনের ফেসবুক পোস্ট সামনে আসার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কূটনীতিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মরক্কোতে বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি লেখা পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি পূর্ববর্তী নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের গুণকীর্তনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গত ৫ আগস্ট–পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমে নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে চিত্রিত করার অপচেষ্টা করেছেন। পোস্টে হারুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ, প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।
এতে বলা হয় , প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে ফেসবুকে এ ধরনের লেখা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিষয়বস্তু গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এরূপ রচনা লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয়।
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে তিনি কানাডায় চলে যান এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা মূলত বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের অভিপ্রায়ে করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে তার এবং তার পরিবারের পাসপোর্টগুলো বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, মন্ত্রণালয় তার কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনোভাবে প্রশ্রয় দেয় না এবং ভবিষ্যতেও যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ওদিকে দেশে ফেরার নোটিশ দেয়ার পরও এই কূটনীতিক দেশে না ফেরায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেনো এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
পাঠকের মতামত
মানবতা বিরোধী অপরাধী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর।
এই টাউটকে অবিলম্বে ধরে এনে ১০০ বছর আয়না ঘরে রাখতে হবে।
Government need to arrested this thief urgently.
জানার আগ্রহ থেকে বলছি- স্বৈরশাসকের পতনের পর পরই তাদেরই প্রেতাত্মা যারা বহিঃ বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো দায়িত্ব নিয়েছে ওনাদেরকে দেশে ফেরত আনা যেতো না? স্বৈরাচারী সরকারের আমলের দূর্ণীতিবাজ সকল রাজনৈতিক নেতা ও আমলাদের ব্যাংক একাউন্ট মোটা দাগে ফ্রিজ করা হয়েছে কি? তাদের অবৈধ অর্জিত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? তাদেরকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে কি? ধন্যবাদ।
এই হারুন চোরেরা অর্থনৈতিকভাবে এই দেশটাকে ফোকলা করে দিয়ে দেশে আসতে সাহস পাচ্ছে না।চোরের মন পুলিশ পুলিশ।দেশটাকে তারা ধ্বংস করার খুব চেষ্টা করেছে ছাত্র জনতার প্রতিরোধের মুখে তারা ধ্বংস হয়ে গেছে।কানাডার সরকারের উচিত এই সমস্ত চোরদের পাঠানো উচিত।
স্বৈরাচার ফেসিষ্ট ডাইনি বুড়ি হাসিনার আমলে বিদেশে থাকা বিভিন্ন মিশনে নিয়োগ কৃতদের অধিকাংশই আওয়ামীলীগের সকল ধরনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তাদের রক্ত আওয়ামী (+)। তারা কখনোই বাংলাদেশ এবং এদেশের মানুষের মোঙ্গল চাইতে পারে না। অতএব দেশের স্বার্থে বিদেশে হাসিনা সরকারের সময় নিয়োগ কৃত সকল কর্মচারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের স্থলে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালো বাসেন এমন পরীক্ষিতদের নিয়োগ নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।
বস্তি থেকে উঠানো সব সুবিধাভোগী তাবেদারী কুলাঙ্গারদের কেউ চিনেই না। তাদের নিয়ে বড় বড় খবর ছেপে তাদের ইউটিউব পরিচিতি না বাড়ানোর অনুরোধ রইল।
বাংলাদেশের জনগণ এক একটা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৌমাছি। তারা ফোটায় ফোটায় করে মধু সংগ্রহ করে মৌচাকে মধু জমিয়েছেন। আর ১৫ বছর ধরে হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা সেই মধু মজা করে খেয়েছেন। তথাকথিত এই কূটনীতিক হচ্ছেন সেই সাঙ্গপাঙ্গদের একজন। ৫ আগস্টের পর হঠাৎ মধু খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আর সহ্য করতে পারছেন না। তাই উল্টাপাল্টা আবোল তাবোল বকাবকি শুরু করেছেন। যেভাবে হোক তাকে ধরে এনে তার কঠোর বিচার নিশ্চিত করা দরকার।
এইসব বেইমানদের একদিন বিচারের সম্মুখীন করতেই হবে , এরা জনগনের ট্যাক্সের টাকার বেতনভোগী রাষ্ট্রের গোলাম - গোলামের বেঈমানি রাষ্ট্রের মালিক জনগন কিছুতেই ক্ষমা করবেনা ।
হারুন চোর বিচার চাই দালাল
উনি কি কুটনীতিবিদ??? নাকি খুনী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ক্যাডার!!!
Psycho killer Hasina n her perpetrators including supporters must be punished
এত রক্ত ঝড়ানোর পরো এদের এই মানসিকতা! এত শিশুর লাশ ফেলার পরেও তার কীসের তরে হাসিনার চ্যালা হয়ে থাকে! বড়ই অদ্ভুত এই খুনি ফ্যাসিষ্টের দোসরেরা।
এই কুলাঙ্গার ডিসেম্বরে ফিরে না আসলেও কেন এতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। বর্তমান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেও আওয়ামী লীগের এজেন্ট। এই লোক বাংলাদেশের সর্বনাশ করে নিজেও আমেরিকাতে নিরাপদে বাকি জীবন কাটাবে। আর দেশের মানুষ আজীবন ফ্যাসিস্টদের হাতে নির্যাতিত হতে থাকবে।
ফুটফুটে কুলাংগার।
খুনি হাসিনার দোসর ভারতের দালালদের বিশ্বের যেখানেই লুকিয়ে থাকুক বাংলার মাটিতে এনে বিচার করা হোক।
রাষ্ট্রদুত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা। দীর্ঘ পনের বছর ভোটবিহীন অবৈধ পতিত সরকার দেশে অরাজকতা, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অবশেষে ছাত্র জনতার আন্দোলনে পতন হয় হওয়ার পর সবাই পালিয়েছে উনিও পালিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার জন্য রিউমার ছড়াচ্ছেন দেশের জনগণ ও বর্হিবিশ্ব ভালোভাবে অবগত আছেন। নতুন করে উনার ফন্দি ফিকির কোন কাজে আসবেনা।
একজন কূটনীতিক এই ভাবে মন্তব্যে করা মোটেও ঠিক নয়।