বিশ্বজমিন
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দাবি-দাওয়া পেশ করেছে রাশিয়া
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:২৮ অপরাহ্ন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করছে মস্কো। তারা এ বিষয়ে চুক্তি করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়ার একটি তালিকাও পেশ করেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানে এমন দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে মস্কো তাদের তালিকায় ঠিক কি অন্তর্ভুক্ত করেছে বা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
সূত্র জানিয়েছে, গত তিন সপ্তাহ ধরেই রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে এসব বিষয় নিয়ে দর কষাকষি চলছে। তবে এবার আরও বিস্তৃত শর্ত দিয়েছে ক্রেমলিন। যেমনটি এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন এবং ন্যাটোর কাছে উত্থাপন করা হয়েছিল। আগের শর্তগুলোর মধ্যে ছিলো- কিয়েভকে ন্যাটোভুক্ত না করা, ইউক্রেনে বিদেশী সেনা মেতায়েনের চুক্তি না করা এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্রিমিয়া এবং আরও চারটি প্রদেশ রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান।
এদিকে বুধবার সৌদি আরবে প্রাথমিকভাবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এখন রাশিয়ার সম্মতির জন্য অপেক্ষা করছেন। কেননা মস্কো রাজি না হলে এই চুক্তি বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়বে। প্রত্যাহার করে নেয়া সামরিক সহায়তা পুনর্বহালের নিশ্চয়তার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে কিয়েভ। তবে সম্ভাব্য এই যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রতি পুতিনের প্রতিশ্রুতি অনিশ্চিত, এখনও এ বিষয়ে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। কিছু মার্কিন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন এবং ইউরোপকে বিভক্ত করার চেষ্টা করবেন পুতিন। এ সংক্রান্ত আলোচনাকেও দুর্বল করার চেষ্টা করতে পারেন তিনি। তবে আলোচনার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাস এবং হোয়াইট হাউস।
সৌদি আরবে মার্কিন কর্মকতাদের সঙ্গে কিয়েভের কর্মকর্তাদের বৈঠককে গঠনমূলক বলে প্রশংসা করেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি একটি বৃহত্তর শান্তি চুক্তির খসড়া তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। গত দুই দশক ধরে মস্কোর কিছু দাবি উত্থাপিত হয়েছে, যেগুলোর কিছু যুক্তরাষ্ট্র অথবা ইউরোপের আনুষ্ঠানিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে।
পাঠকের মতামত
হায়রে ইউক্রেন। চোখের সামনে একটা রাষ্ট্র কি হয়ে গেল। জোর যার মুল্লুক তার। মনে হচ্ছে শক্তি থাকলে একটা দেশের একটা অংশ দখল করতেই পারে। পরবর্তীতে বলতে পারে এইটা আমার। মজার বিষয়। মাটির নিচেই হোক উপরেরই হোক এটা আমার চাই। পৃথিবীটা কেমন যেন হয়ে গেল। এরপর আছে প্যালেস্টাইন। ভারী দুঃখ লাগে। খনিজ পদার্থ আছে তো।
গরীবের বউ সবার ভাবী