অনলাইন
কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ও ভিসির পদত্যাগসহ পাঁচ দাবি শিক্ষার্থীদের
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ভিসির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- কোনো শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী কুয়েটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে, কোনো প্রকার রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবে না—উল্লেখ করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। পাশাপাশি অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে যে, এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি হিসেবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের থেকে ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। মঙ্গলবার কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থী এবং তাদেরকে প্রশ্রয়দাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কুয়েট প্রশাসন থেকে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে এবং জড়িত সবাইকে বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। জড়িতদের তালিকা শিক্ষার্থীরা দেবে। আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসের বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সামরিক বাহিনীর সদস্যের সহায়তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আহত সবার চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়ভার কুয়েট প্রশাসন থেকে বহন করতে হবে। আহতদের তালিকা শিক্ষার্থীরা দেবে। সব দাবি পূরণ করে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালককে (ছাত্র কল্যাণ) পদত্যাগ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণ করতে হবে। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা এবং একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কোনো ক্রমেই হল খালি করা যাবে না।
পাঠকের মতামত
গত ২০ বছর ধরে ছাএ রাজনীতি এদেশে অভিশাপ।
ইতিহাস বলে, যারা সাধারণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তারা শেষ পর্যন্ত নিজেরাই অস্তিত্ব হারায়।ছাত্রদল এখন ঠিক সেই পথেই হাঁটছে, যে পথে একসময় ছাত্রলীগ চলেছিল, যার পরিণতি সবাই দেখেছে।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও ধর্মকে বাহন হিসাবে ব্যবহার কইরা শিবির তাদের কর্মকান্ড ঠিকই পরিচালনা কইরা আসতেছে। এই জন্যই তাদের এই দাবী। আর ধর্ম আশ্রয় কইরা যারা পাওয়ার প্র্যাক্টিস করে, ওরা সবসময়, সবজায়গায় লিবারেল পরিবেশের বিরুদ্ধেই কথা বলে।
এরা দিন সমন্বয়ক শব্দটা কে হাসির শব্দে পরিনত করতেছে। আওয়ামীলিগ জেই রকম ৭১ এর জনতার অর্জন কে নিজেদের দাবি করে রাজনীতি করত। ছাত্রদের একটি অংশ ও ২৪ এর সকল ছাত্র জনতা, রাজনিতিক দলগুলোর অর্জন কে নিজেদের দাবি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তাঁরা নিজেরাই সবচেয়ে বেশি রাজনীতি করবে আর অন্যরা রাজনীতি করতে চাইলে সাধারণ ছাত্রের লেবাসে কান্নাকাটি করবে। এইসব ভণ্ডামি মানুষ বুঝে।
ছাত্রলীগের স্থান দখল করে নিলো ছাত্রদল।
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দামি মেনে নেয়া হোক
তদন্ত করে এর সঠিক কারন বের করতে হবে, দেখতে হবে কারা জড়িত এবং কি কারনে এই ঘটনা ঘটেছে?? অন্য কোন সংগঠন তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে কিনা?? নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি চেষ্টা কিনা??
খেলা শুরু।
শিক্ষার্থীরা নয় বলেন বৈসম্মবিরোধী ছাত্ররা (সরকারি ছাত্রসংগঠন)। ছাত্রদল প্রতিরোধ করছে , তাই নিষিদ্ধ করতে হবে। বাহ বাহ। খালি বৈসম্মবিরোধী ছাত্ররা (সরকারি ছাত্রসংগঠন) রাজনীতি করবে শিক্ষাঙ্গনে। বাহ