খেলা
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম ওয়ানডে আজ
এবারো কি ব্যর্থতার ব্যথা ভোলাবে ওয়ানডে!
স্পোর্টস রিপোর্টার
৫ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার
সবশেষ টানা ৫ ওয়ানডে সিরিজে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে তিনটিই বিদেশের মাটিতে। আইসিসি’র ওয়ানডে সুপার লীগে ১২০ পয়েন্টে টাইগারদের অবস্থান তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ১৮ ম্যাচে ১২ জয়। একই সমান জয়-পরাজয় হলেও মাত্র ৫ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ড। বলার অপেক্ষা রাখে না ৫০ ওভারের ফরম্যাটে সাফল্যে আলোকিত তামিম ইকবালের দল। শেষ পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় লড়াইয়ে টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডেতে জয় সেই ক্ষতে মলম হয়ে এসেছে। সবশেষ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও একই চিত্র। এবার জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের হারের ক্ষত জ্বলজ্বলে। তাই আজ টাইগার ভক্তদের প্রত্যাশা টি- টোয়েন্টি হারের ব্যথা ভোলাবে ওয়ানডে সিরিজ। তবে নিজেদের মাটিতে জিম্বাবুয়েও যে ছেড়ে দিবে না সেটি সবারই জানা। সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদের সক্ষমতার প্রমাণও দিয়েছে। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে ৩-০তে সিরিজ জিতে নিয়েছিল টাইগাররা। শুধু তাই নয়, ২০১৪ থেকে এই দলটির বিপক্ষে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে টানা ৫টি সিরিজে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না আত্মবিশ্বাস নিয়ে টানা ৬ষ্ঠ সিরিজ জয়ের মিশনে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে হবে ম্যাচটি। এই মুহূর্তে ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা দল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর নয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। এর মধ্যে সাতটিতেই জিতেছে তারা। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা ও ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে দু’টি সিরিজ হারে লাল সবুজের দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর টানা পাঁচটি সিরিজ জিতে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতে টাইগাররা। তাই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের শক্তি স্পষ্ট। জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশ সিরিজ হারলে সেটি হবে বড় ধরনের অঘটন। সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫০টিতে জিতেছে টাইগাররা। হেরেছে ২৮টিতে।
কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের ধারাকে কি আটকাতে পারবে টি-২০ সিরিজ জয় করা জিম্বাবুয়ে? প্রশ্নটি অবশ্যই তাড়া করছে বাংলাদেশি ভক্তদের। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি সংঘবদ্ধ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এক দল জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের কাছে টি-২০ সিরিজ হারকে অসম্মানজনক বলে অভিহিত করে খেলোয়াড়দের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি জানান, দলের জয়ের জন্য ঝুঁকি নিয়ে না খেলে নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য খেলেছেন তারা। মাহমুদ বলেন, জিম্বাবুয়ের কাছে হারবো আমি আশা করিনি। আমরা তাদের চেয়ে ভালো দল। আমি এটাকে অপমানজনক বলবো। মাহমুদ আরও বলেছেন, ‘যখন আমাদের প্রতি ওভারে ১০ বা ১২ রানের প্রয়োজন ছিল ঐ সময় প্রতি ওভারে ছয় বা সাত করে রান নিয়েছি। কেউ ছক্কা মারার চেষ্টাও করেনি। সকলেই এক-দুই রানের জন্য খেলেছিল। নিজেদের জায়গা রক্ষা করার মতো ব্যাটিং করেছিল তারা।’
অন্যদিকে ওয়ানডেতে শক্তিশালী একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। যথারীতি ওপেনার হিসেবে থাকবেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং লিটন কুমার দাস। সবশেষ ডিপিএলে ওয়ানডে ফরম্যাটে বেশ দারুণ পারফরমেন্স দেখিয়েছেন এনামুল হক বিজয়! তাই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে গেলে, তার একাদশে ফিরে আসার সম্ভাবনাটা অনেকটাই নিশ্চিত! কিন্তু সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি দলে থাকলেও ওয়ানডে একাদশে জায়গাই পাননি। তবে ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশন বিবেচনায় নিলে বিজয়ের নয়া জায়গা হতে পারে নাজমুল হোসেন শান্তরও। ওয়ানডের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ফিরছেন দলে। যদিও এরই মধ্যে রিয়াদ খেলেছেন একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, বিশ্রাম থাকা সত্ত্বেও! স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে আর থাকবেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। একাদশে থাকতে পারেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। এ ছাড়াও ব্যাটিংয়ের গভীরতা যদি আরও বাড়াতে চায় টাইগাররা তবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সম্ভাবনা আছে কিছুটা। কারণ বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে দুজন স্পিনার খেলানোর, যেখানে নাসুম আহমেদ জায়গা পেতে পারেন একাদশে। সম্ভাবনা রয়েছে একাদশের তিনজন ফাস্ট বোলারকে নিয়ে মাঠে নামার। হাছান মাহমুদের একাদশে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা কম, যদি তিনি আসেন, তবে বাদ পড়তে পারেন তাসকিন আহমেদ! এ ছাড়া বাকি দুজন ফাস্ট বোলার শরিফুল ইসলাম এবং মুস্তাফিজুর রহমানের থাকা নিশ্চিত।