কোন পথে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক?

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আজ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার, ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে বৈঠক করবেন উভয় দেশের কূটনীতিকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের এমন কোনো বৈঠক হয়নি। তাই উভয় দেশের এমন বৈঠক বিশ্ব রাজনীতির জন্যও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। 

এতে বলা হয়, আজকের বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করবেন উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা। বলা হচ্ছে রাশিয়াকে একঘরে করার যে মার্কিন নীতি রয়েছে সেই নীতিতে পরিবর্তন আনতে ট্রাম্প প্রশাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে আজকের বৈঠক। এখানে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয় হচ্ছে আজকের বৈঠকে ইউক্রেনের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র যে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে তাতে কিয়েভ এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্ররা আলোচনার টেবিলে বসতে হিমশিম খাচ্ছে। কেননা ওয়াশিংটন ও মস্কো এমন একটি চুক্তিতে এগিয়ে যেতে পারে যা কিয়েভের অনুকূলে নাও যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নেতারা। সোমবার ফ্রান্সে ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার। তারা ওয়াশিংটন-মস্কোর একান্ত বৈঠকের প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেখাবেন সে বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে, ইতিমধ্যেই রিয়াদে পৌঁছেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং পুতিনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেনকে বাদ রেখে সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবেন তারা। উভয় দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদি আরবে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উশাকভ। 

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, এই বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রতিনিধিত্ব করবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও। তার সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ এবং বিশেষ কূটনীতিক স্টিভ উইটকফ।