শেষের পাতা
অতিরিক্ত শুল্ককর আরোপ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ফল আমদানি
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবারফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ককর আরোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার থেকে এ আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে।
ফল আমদানিকারক আব্দুল মান্নান জানান, ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে এর আগে বাংলাদেশ ফ্রেস ফুড এসোসিয়েশন আল্টিমেটাম দিয়েছে। যেহেতু সেটা সরকার প্রত্যাহার করেননি। সেজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। আসন্ন রমজান উপলক্ষে ফল আমদানিতে শুল্ককর যদি কমানো না হয় তাহলে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বাজারে। এতে করে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ফলের দাম।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, হঠাৎ করে গত মাসের ৯ই জানুয়ারি আমদানিকৃত ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে সরকার। যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের ওপর। যে কারণে ফল আমদানি শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে আমদানিকৃত ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের ফলের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া শুধু ফল আমদানিতে এই বন্দর থেকে সরকারের প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো। ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর কমানো না হলে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল জানান, ফল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকে কোনো ফলের ট্রাক প্রবেশ করেনি। অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছে ফল ব্যবসায়ীরা। তিনি জানান, আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। এখন তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। এভাবে চললে আসন্ন রমজান মাসে ফলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
পাঠকের মতামত
বিদেশী ফলের উপর ট্যাক্স আরও বাড়ানো উচিত। সামনে মধু মাসের সূচনালগ্ন। দেশীয় ফলের দাম কৃষক যেন যথাযথ পায় তার নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। রমজান আত্মশুদ্ধি ও সংযমের মাস। তাওয়াক্কালতু ইলাল্লাহ।
দুই মাস হল আমদানি বন্ধ থাক। রমজান মাসে ফল না আসলে মানুষের মৃত্যু হয়ে যাবে অথবা রোজা পালন হবে না বিষয়টা এমনটি না। তবুও হল ব্যবসায়ীরাও শিক্ষা পাক এবং দেশীয় মুদ্রা হাতে বিশেষ করে ভারতের হাতে না যাক। বিকল্প হিসেবে আমাদের দেশীয় ফল গুলোর সঠিক মূল্যায়ন হোক এবং পৃথিবীতে ফল উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ হিসেবে বিকল্প অনেকগুলো দেশ আছে।
মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিলো কোন সময়....? রমজান উপলক্ষে দাম বাড়ানো নিয়ম ও রীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে