অনলাইন
অন্তর্বর্তী সরকার সফল হতে পারছে না: মান্না
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৬:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৫১ অপরাহ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সফল হতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘শাসন ব্যবস্থায় গুনগত পরিবর্তন ও নির্বাচন' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোববার ও সোমবার আওয়ামী লীগের লোকজন লিফলেট বিতরণ করেছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, কিভাবে করতে পারল তারা? আমাদের পুলিশ কি করেছে? তারপর দেখলাম আমাদের প্রশাসনের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন- এরপর কেউ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। তারা তো ঘোষণা দিয়েছে ১৫ দিন আগে, ১৫ দিন ধরে আপনারা কি করলেন? আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রশাসন এখনো তৈরি করতে পারেনি। আমরা সফলতা কামনা করছি, কিন্তু তারা সফল হতে পারছে না। তারা যদি সফল হতে পারতো তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন প্রস্তাবটি খুবই সুন্দর উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রস্তাবটি সুন্দর হলেও জাতির তথা বৃহত্তর স্বার্থে এটিকে আমি আপাতত সমর্থন করছি না। আমার জন্য বেশি সুন্দর, কিন্তু সমগ্র জাতির জন্য নয়। এতে করে আওয়ামী লীগের যদি ৪০টা এমপি আসে। তারপর আমি এমপি থাকতে পারব কি না সন্দেহ আছে। তারা বলবে, জনগণের রায় আমাদের পক্ষে, তুমি কে? কয়টা ভোট পেয়েছ তুমি? তোমার কয়টা এমপি আছে?
স্বৈরাচারের (আওয়ামী লীগ) ভোটের হার এখনো অনেক বেশি উল্লেখ করে মান্না বলেন, সংখ্যানুপাতিক হারে ভোট হলে তারা (আওয়ামী লীগ) অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে। এছাড়া ওই দল যদি ভোট করবার সুযোগ পায়, তাদের পদত্যাগ বিষয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু সরকার বলছে, আমরা নিষিদ্ধ করবো না। নিষিদ্ধ যদি না করেন তাহলে তারা নির্বাচন করবে না কেন?
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গণমুক্তি জোটের সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, লে. জেনারেল (অব.) আমিনুল করিম প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
সরকার যদি সফল না হয়, তাহলে এর ব্যর্থতার জন্য আওয়ামী বিরোধী সকলকেই ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।তাই এখনও সময় ফুরিয়ে যায়নি, আওয়ামী বিরোধী সকল দলের উচিত অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা। বিএনপির জন্য দুঃখ হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিনই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলেন,দিনে দিন তারেক রহমানের মামলাগুলো ও তুলে নিচ্ছেন, তারপরও তারা নির্বাচনের জন্য ধৈর্য হারা হয়ে যাচ্ছেন। তারা যদি জনগণের সেবার জন্য ই ক্ষমতায় যেতে চান,তবে এখন সেবা করতে সমস্যা কোথায়? তারা প্রথমে বলেছিল সরকার বা জামায়াতের সাথে তারা সংঘর্ষে যাবেনা। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি তারা এই কথাটা রাখেনি। যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৬মাস ও হয়নি সেখানে তারা অনন্ত কালের কথাটা বলে কিভাবে? আমার মতে বিএনপির কিছু নেতা কর্মীদের চাঁদাবাজিতে দলের যা ক্ষতি হচ্ছে শীর্ষ নেতাদের দ্রুত নির্বাচনের দাবি আরো বেশী ক্ষতি হচ্ছে।তারা বলতেছেন ফুটবল খেলার প্লেয়ার দিয়ে ক্রিকেট খেলা যায় না, তাদের বলছি, বিএনপিতো ফুটবল ক্রিকেট কোনটাই ভালো পারছেনা।
টকশোতে টেবিল গরম করা আর দেশ চালানো এক না!! ৬ মাস হতে চলছে এখনও হবে আর হচ্ছের মধ্যেই আটকে আছে সব!! মাঠ গরম করা, পরিবেশবাদী যখন লাল গালিচা মাড়িয়ে ভেকুতে উঠে উদ্বোধন করার জন্য, তখন মানুষের বুঝতে অসুবিধা হয়না, পাগল কখনো ক্ষমতায় যায়না, ক্ষমতায় যাওয়ার পরেই পাগল হয়!! আরম আয়েসে যদি ভুলে যান এই জাতি কি পরিমান বিশ্বাস আর ভালোবেসে, এক বড় দায়িত্ব আপনাদের দিয়েছে, দেশকে নতুন করে গড়ার, এগিয়ে যাওয়ার পথে যদি আপনি বাধা হন, তাহলে ইতিহাসের ঘৃণার পাত্র তো হবেনই, সাথে নগদ বিপদ তো আছেই !! যদি মনে করেন আপনি দায়িত্ব পালনের যোগ্য না তাহলে উচিত হবে মানসন্মান নিয়ে এখনই চলে যাওয়া।..