শেষের পাতা
টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলা, সেনা মোতায়েন
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলার ঘটনা ঘটার পর পুলিশের নিরাপত্তায় সাঁজোয়া যান নিয়ে থানার সামনে অবস্থান করছে সেনাবাহিনী। এর আগে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু সমাধির পাশে খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পুলিশের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় টুঙ্গিপাড়া থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। হামলাকারীরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক বলে জানা যায়।
স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী সমর্থকরা। খবর পেয়ে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ বন্ধ করে তাদের আটক করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাধে। এ সময় পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মুদি দোকানি সাফায়েত হোসেনকে আটক করে। পরে আটককৃতকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে হামলা চালানো হয়।
খবর পেয়ে ওসিসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে তারাও আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে সারারাত অবস্থান করেছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়াও টুঙ্গিপাড়া থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈনুল হোসেন মানবজমিনকে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে কী কারণে এ ঘটনার সূত্রপাত তা সঠিকভাবে জানা নেই।
ওসি খোরশেদ আলম মানবজমিনকে বলেন, হামলায় আমিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
পাঠকের মতামত
গোপালগঞ্জে রোহীঙ্গা ঢুকিয়ে দেন,
এখনই সাপের বিষ দাত ভেঙে দিতে হবে।
আওয়ামী হঠকারী ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেড় পাশাপাশি যে সকল প্রেস এ এই সকল লিফলেট ছাপা হয়েছে, সেগুলো ও অনতি বিলম্বে বন্ধ করে দেয়া হোক এবং দ্রুত অপারেশন ক্লিন হার্ট টাইপের চিরুনি অভিযান চালিয়ে সকল নাশকতা সৃষ্টিকারীদের দ্রুত বিচার নিস্পত্তি আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের ব্যবস্থা করা হোক l
How dare!! All bastards, Killers of Killing Party Awameleague should be arrested immediately to be taken under Law & Order for ensuring exemplary punishment.
যত দ্রুত সম্ভব এদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
শাপের দাঁত সময়মত না ভাংলে বিপদ ডেকে আনবে। আওয়ামীলীগ কী জিনিষ সবকার আর বিএনপি এখনও বুঝেনি। যখন বুঝবে তখন বল কোটের বাইরে থাকবে।
পুলিশ রাব এদের দিয়ে যদি কোনো কাজ না হয় তাহলে এদের বেতন দিয়ে রেখে লাভ কি, অন্য আরো আপডেট বাহিনী গঠন করা হোক
কোন ধরনের মতামতের প্রয়োজন নাই। আওয়ামী কুকুর গুলোকে নির্বিচারে গুলি করে মারা দরকার। গত ১৬ বছর বহুত জ্বালিয়েছে।
এদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার
Clean Gopalgonj.Need clean heart operation.