বাংলারজমিন
২০০ আসনে জিতলেও বিএনপি একা সরকার গঠন করবে না: আমীর খসরু
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
২২ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবারবিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপিকে সংস্কার শেখাতে হবে না। সংস্কারের রাজনীতির মধ্যদিয়ে বিএনপি’র জন্ম। ১৯৭৫ পরবর্তী দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার পথকে সুগম করেছিলেন। বিএনপি মনে করে দেশে যদি সুশাসন, ন্যায়বিচার এবং সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে আর কোনো সংস্কারের প্রয়োজন নেই। এই জন্যই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির সামনে ৩১ দফার রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এর আগেই বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০-৩০ ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক তথা গণতান্ত্রিক
মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করেছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের একটি হোটেল ওরিয়নে ‘খুলনা বিভাগের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’- শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, বিএনপি মনে করে, দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই সব রকমের সংস্কার করা এবং তাকে অর্থবহ করা সম্ভব। কোনো সংস্কারই অর্থবহ হবে না যদি পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার তা গ্রহণ না করে। এই কারণে বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার সংস্কার প্রস্তাবে জাতীয় সরকারের যে রূপরেখা প্রদান করেছেন তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে। বিএনপি যদি আগামী জাতীয় নির্বাচনে ২০০ আসনেও জয়লাভ করে তবুও একা সরকার গঠন করবে না। বিএনপি সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামীতে একটি জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করবে। গত ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘোষিত বাজেট রিভাইজ না করে বর্তমান সরকার অতিরিক্ত ভ্যাট ও ট্যাক্সের বোঝা বাড়িয়ে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। বিএনপি অবশ্য এর অতিরিক্ত ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। যশোর চেম্বার
অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের সভাপতি আলহাজ মিজানুর রহমান খান। সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় মতবিনিময় করেন খুলনার হাফিজুল ইসলাম চন্দন, কুষ্টিয়ার খন্দকার জাহিদুল হক, সাতক্ষীরার নাসির ফারুক খান মিঠু, বাগেরহাটের শেখ মঈনুদ্দিন আহমেদ, মেহেরপুরের এ কে এম আনোয়ারুল হক, ঝিনাইদহের মোয়াজ্জেম হোসেন, চুয়াডাঙ্গার শরিফুজ্জামান শরিফ, নড়াইলের মনিরুল ইসলাম, যশোরের সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল, শাহ জালাল, এস এম আক্তারুজ্জামান তুহিন, বেনাপোলের আলহাজ শামসুর রহমান, বাগেরহাটের শেখ ফরিদুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মাহামুদ হাসান খান বাবু ও মাগুরা চেম্বারের সভাপতি সাবেক এমপি সলিমুল হক কামাল।