অনলাইন
'তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে, ফেরতের দায় জনগণের'
আলী রীয়াজ
(১ বছর আগে) ২ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ১২:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৩৩ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের চাওয়া সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের 'বেইল আউট' নিয়ে আইএমএফ'-এর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। প্রায় নয় দিন ধরে আলোচনার পর এই অগ্রগতির ফলে এখন দ্বিতীয় প্রতিনিধি দল ঢাকা আসবে। ইতিমধ্যেই আইএমএফ-এর শর্তগুলো সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে যা বলা হচ্ছে সেগুলো নতুন কিছু নয় এই অর্থে যে এগুলো নিয়ে দেশের ভেতরে গত কয়েক বছর ধরেই বলা হচ্ছিলো। যারা বলছিলেন তাদের কথা সরকার শোনেন নি, সরকার সমর্থকরা এই বক্তব্যগুলোকে 'দেশ বিরোধী' 'উন্নয়ন বিরোধী', এমন কি 'রাষ্ট্র বিরোধী' বলেও অভিহিত করেছেন। দুর্ভাগ্যজনক যে, যাদের এই প্রশ্নগুলো করা দরকার ছিল সেই অর্থনীতিবিদদের এক বড় অংশ এই প্রশ্নগুলো এড়িয়ে গেছেন।
আইএমএফ-এর প্রাথমিক শর্তগুলোর মোদ্দা কথা হচ্ছে দুর্নীতি, বেহিসেবি ব্যয় এবং অবাধ লুন্ঠনের যে মহোৎসব চলেছে তা বন্ধ করতে হবে। ঠিক এই ভাষায় আইএমএফ বলতে পারেনা, তাদের সেই এখতিয়ার নেই; ফলে তাদের ভাষায় এখন হিসেব চাওয়া হয়েছে জ্বালানি খাতে দেয়া ভর্তুকি কোথায় কীভাবে ব্যয় হয়েছে, কোভিড মোকাবেলায় প্রণোদনার নামে যে টাকা দেয়া হয়েছে তার হিসেব কোথায়, আর মেগা প্রকল্পে 'অতি-মুল্যায়ন' - সহজ ভাষায় অতিরিক্ত ব্যয় - কেনো হয়েছে। এগুলোতে স্বচ্ছতার কথাও বলা হয়েছে। এই সব শর্ত আলোচনার প্রথম ধাপেই এসেছে, সামনে আর কী কী তাতে যুক্ত হবে আমরা তা জানিনা।
শর্তগুলোর যৌক্তিকতা আছে কীনা সেটা বিবেচনা করুন। আইএমএফ-এর কাছে অর্থ নেয়ার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে কেনো সেটা ভাবুন।
একটি অস্বচ্ছ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এই সব ঋণ নেয়া হচ্ছে। এর জবাবদিহিতার ব্যবস্থা নেই। এমন কি সাজানো সংসদে এই নিয়ে কোনও ধরনের আলোচনা পর্যন্ত হচ্ছে না। এইসব হচ্ছে এমন এক সময়ে যখন আমরা জানি যে ইতিমধ্যে যে ঋণ আছে সেগুলোর কারণে আগামী তিন বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। এই সব অর্থ ফেরত দেয়ার দায় জনগণের। আগামীতে প্রতিটি পয়সা হিসেব করে ফেরত দিতে হবে। কিন্ত এই নিয়ে তাদের জানানোর পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেই। সংকটের মাত্রাটা বোঝা দরকার, সামনে কী ধরণের পরিস্থিতির সূচনা হতে পারে সেই বিষয়ে ভাবা দরকার।
[লেখকঃ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট। লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া]
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন/ খোকন সভাপতি, সম্পাদক মঞ্জুরুল হক
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন / মালদ্বীপের মতো ভারত-বিরোধী প্রচার বাংলাদেশেও, নেপথ্যে কি অন্য রাষ্ট্রের ইন্ধন, কী ভাবছে নয়াদিল্লি?
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]