অনলাইন
রাফাল যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ ছড়াতে দূতাবাসগুলোকে ব্যবহার করছে চীন, তোপ ফ্রান্সের
মানবজমিন ডিজিটাল
(৬ ঘন্টা আগে) ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ২:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২২ অপরাহ্ন

মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষের পর ফ্রান্সের তৈরি রাফাল জেটগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য চীন তার দূতাবাসগুলোকে ব্যবহার করছে। ফরাসি সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এই অভিযোগ তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, বেইজিং ফ্রান্সের ফ্ল্যাগশিপ ফাইটারের সুনাম এবং বিক্রয়কে আঘাত করতে এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের হাতে আসা একটি ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে বলা হয়েছে যে, চীনের বিদেশি দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেরা রাফাল বিক্রিতে আঘাত হানতে সচেষ্ট হয়েছেন। বিশেষ করে যে দেশগুলো ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের তৈরি যুদ্ধবিমানের অর্ডার দিয়েছে, যেমন- ইন্দোনেশিয়া। তাদের রাফাল যুদ্ধবিমান আরো বেশি না কিনতে এবং অন্যান্য সম্ভাব্য ক্রেতাদের চীনা তৈরি বিমান বেছে নিতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন। একজন ফরাসি সামরিক কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপির সাথে এই তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন। মে মাসে দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের সামরিক সংঘর্ষের সময়ে চীন এবং ফ্রান্সের তৈরি বিমান ব্যবহার করা হয়। ফরাসি সামরিক কর্মকর্তা এবং গবেষকরা তখন থেকেই চীনের অপপ্রচার নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।
রাফাল এবং অন্যান্য অস্ত্র বিক্রি ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য একটি বড় ব্যবসা। এর মাধ্যমে প্যারিস সরকার অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করে, যার মধ্যে এশিয়াও রয়েছে যেখানে চীন প্রভাবশালী আঞ্চলিক শক্তি হয়ে উঠছে। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, তাদের বিমান বাহিনী যুদ্ধের সময় পাঁচটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি রাফালও রয়েছে। শুরুতে পাকিস্তানের সেই দাবি নিয়ে ভারত মুখ খোলেনি। তবে পরে সেনার সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান মেনে নিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত যুদ্ধবিমান হারিয়েছে। তবে সংখ্যার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান জোর দেন, ত্রুটি খোঁজায়। সেনা সর্বাধিনায়কের বক্তব্যের পর এটা পরিষ্কার যে, ফ্রান্স থেকে আনা রাফাল যুদ্ধবিমান খোয়াতে হয়েছে ভারতকে। অর্থাৎ পাক দাবি আংশিক হলেও সত্যি। এটা ভারতের জন্য যেমন ধাক্কা, তেমনই ধাক্কা ফ্রান্সের সমরাস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা দাসাল্ট অ্যাভিয়েশনেরও। সার্বিকভাবে ফরাসি প্রযুক্তিই প্রশ্নের মুখে। ফরাসি কর্মকর্তারা বিমানটির সুনাম বজায় রাখতে নিজেদের চেষ্টা জারি রেখেছেন। তাদের অভিযোগ, রাফালের সুখ্যাতি নষ্ট করতে পাকিস্তান এবং তার মিত্র চীন অনলাইনে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছে। যেমন- সোশ্যাল মিডিয়ায় রাফালের ধ্বংসাবশেষের ভুয়ো ছবি দেখানো হয়েছে। এআই-জেনারেটেড কন্টেন্ট এবং ভিডিও-গেমের মাধ্যমে এগুলো তৈরি করা হয়েছে, কথিত যুদ্ধের অনুকরণে এই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে । ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর নতুন করে তৈরি হওয়া ১,০০০-এরও বেশি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট মারফত চীনের প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের আখ্যান ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন অনলাইনে ফরাসি বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : দ্য হিন্দু
পাঠকের মতামত
রাফাল যে একটা তৃতীয় শ্রেণির বিমান এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই । চীনের তৈরি J10 যুদ্ধবিমান তিন তিনটা রাফাল ভূপাতিত করে এর প্রমাণ দিয়েছে । আশা করি বাংলাদেশ অনতিবিলম্বে ১০০ টা J10 ও এর পরিবর্তি সিরিজের যুদ্ধবিমান ক্রয় করবে ।
হাতে পাঁজি - মঙ্গলবার