অনলাইন
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার ঢেউ কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশের’ রান্নাঘরে
মানবজমিন ডিজিটাল
(৭ ঘন্টা আগে) ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১:৪৯ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’- এর রান্নাঘরেও বিপ্লব ডেকে এনেছে। একসময় ওপার বাংলার সুস্বাদু খাবারের উপর বিশেষায়িত এই অঞ্চলের রেস্তোরাঁগুলো এখন তাদের গ্রাহকদের পরিবর্তিত স্বাদের সাথে তাল মিলিয়ে ওপার বাংলার পাশাপাশি চাইনিজ এবং তন্দুরি আইটেমও পরিবেশন করতে শুরু করেছে। মধ্য কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, মার্কুইস স্ট্রিট এবং সাদার স্ট্রিটের রেস্তোরাঁগুলো একসময় বাংলাদেশের খাদ্য প্রেমিকদের দ্বারা কানায় কানায় পূর্ণ থাকতো। তবে কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে, এই অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশিদের আনাগোনা তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে। যদিও রেস্তোরাঁগুলো সীমান্তের ওপারের রান্নাঘরের স্বাদ পরিবর্তন করেনি তবে তারা তাদের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। কেউ কেউ বলছেন, যদি ছয় মাসের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে রেস্তোরাঁর জন্য নতুন মেনু কার্ড ছাপাতে হতে পারে।
১৯৯৪ সাল থেকে মার্কুইস স্ট্রিটের কস্তুরি হোটেলে বাংলাদেশি খাবার অগ্রাধিকার পেয়ে এসেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। একসময় যে থালায় ভাপানো মোরগ পোলাও পরিবেশন করা হতো, এখন সেখানে পরিবেশন করা হচ্ছে চাউমিন।
কস্তুরির ম্যানেজার রশিদ আহমেদ মল্লিক জানান, এখন আমাদের ৮০% ব্যবসা এপার বাংলার উপর নির্ভরশীল। যে কয়েকজন বাংলাদেশি ভ্রমণে আসেন তারা তাদের স্থানীয় বন্ধুদের সাথে এখানে আসেন। আমরা মোরগ পোলাও এবং মাছ ভর্তার মতো খাবারের আইটেম তৈরি ৪০% পর্যন্ত কমিয়ে এনেছি। নতুন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য আমরা চাউমিন এবং কিছু তন্দুরি আইটেম চালু করেছি।

সাদার স্ট্রিটের ভোজ কোম্পানির গল্পটাও একই রকম। রেস্তোরাঁর ম্যানেজার সুবীর দাস বলছেন, 'আগে আমরা প্রতিদিন ১৫টিরও বেশি ইলিশ কিনতাম, এখন আমরা খুব কমই দুটি বা একটি কিনে থাকি। আমরা একসময় যে পরিমাণ গ্রাহক পেতাম তার এক-তৃতীয়াংশও খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছি।
ম্যানেজারের কথায়, 'আমরা বাংলাদেশি আইটেম খাবারের মেনু থেকে সরিয়ে ফেলিনি। তবে আমরা এপার বাংলা এবং কিছু চাইনিজ আইটেমের উপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।
কর্মীরা বলছেন, এই রেস্তোরাঁর ব্যবসা প্রায় ৫০% কমে গেছে। মারকুইস স্ট্রিটের ইছামতি রেস্তোরাঁয় প্রতিদিন ২ কেজি মাটন ডাক বাংলো, ৪ কেজি চিকেন ভুনা এবং ৪ কেজি শুঁটকি ভর্তা তৈরি করা হত। হোটেলের ম্যানেজার কেশব সরকার বলছেন, ‘আমরা এই পরিমাণ অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে এনেছি। এখন এই খাবারগুলো কেবল অর্ডার করলে তবেই তৈরি করা হয়। অ্যাগ্রিগেটর অ্যাপে অর্ডার করা লোকেরাও এপার বাংলার আইটেমই বেছে নিচ্ছেন।’
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া
পাঠকের মতামত
গরুর গোস্ত ম্যানু কার্ডে ছাপিয়ে মোদীকে খাওয়ানো হোক